শ্রীশ্রী নন্দদুলাল জিউ মন্দির, গুড়াপ, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
ধনিয়াখালি থানা ও ব্লকের অন্তর্গত গুড়াপ একটি গ্রাম। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে গুড়াপ একটি রেলস্টেশন। হাওড়া থেকে গুড়াপ ১৮ তম রেলস্টেশন। রেলপথে হাওড়া থেকে দূরত্ব ৫৭.৪ কিমি। গুড়াপ নামটি বহু জায়গায় গুরুপ, গুড়োপ বলেও লেখা আছে।
গুড়াপে অনেক দেবালয় আছে। তারমধ্যে বর্ধমান রাজের অমাত্য রামদেব নাগ প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী নন্দদুলাল মন্দির বিখ্যাত। নন্দদুলাল মন্দিরটি অল্প উঁচু ভিত্তিবেদির উপর দণ্ডায়মান, ত্রিখিলানবিশিষ্ট, অলিন্দযুক্ত, পূর্বমুখী, বাংলা আটচালা শৈলীর। গর্ভগৃহে ঢোকার একটিই দরজা। মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। মন্দিরের গঠনে দৃঢ়তা ও স্থাপত্য গাম্ভীর্য দর্শককে মুগ্ধ করে। মন্দিরটি ১৬৭৩ শকাব্দে ( ১৭৫১ খ্রীষ্টাব্দে ) প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠা-ফলক লাগানো আছে।
মন্দিরের সামনের দুটি স্তম্ভে, দেওয়াল সংলগ্ন দুটি অর্ধ স্তম্ভে, ও তিনটি খিলানের উপরে ও বর্গাকার কুলুঙ্গিতে পোড়া মাটির বিচিত্র লতাপাতা, ফুল, জীবজন্তু ও পৌরাণিক দেব দেবীর মূর্তি ও কল্পলতা বা মৃত্যুলতা উৎকীর্ণ আছে। ( 'কল্পলতা' হল উপর থেকে নিচে লতার মত কোণাচ। হাতি, সিংহ, লতা-পাতা অরণ্যের প্রতীক। এইভাবে মন্দির হয় অভীষ্ট ফলপ্রদ 'কল্পতরু'। আবার সমস্ত মায়ার মৃত্যু ঘটায় বলে একে 'মৃত্যুলতা'-ও বলা হয়। - পশ্চিমবঙ্গের মন্দির : শম্ভু ভট্টাচার্য ) এই টেরাকোটার অনেক ফলক নষ্ট হয়ে গেছে। সংস্কারের সময় এর কিছু কিছু ফলক তৈরী করে লাগানো হয়েছে। পুরানো ও নতুন ফলকের তফাৎ সহজেই বোঝা যায়।
গর্ভগৃহে কাল কষ্টিপাথরের নন্দদুলাল ও অষ্টধাতুর রাধারানি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত ও নিত্য পূজিত। ১৯৬০ খ্রীষ্টাব্দে রাধারানির মূর্তি চুরি গেলে নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অনেক দিন আগে নন্দদুলালের আগের মূর্তি পুরোহিতের অসাবধানতায় ভেঙে গেলে নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পুরানো বিগ্রহ মন্দিরের একটি ঘরে এখনও পূজিত হন। মন্দিরে গোপালের দুটি মূর্তি আছে। একটি মূর্তি রামদেব নাগের কন্যা স্থাপন করেন। প্রতি বছর কালীপুজোর পরদিন প্রতিপদের অমাবস্যায় খুব ধুমধামের সঙ্গে নন্দদুলাল জিউ'র অন্নকূট উৎসব পালন করা হয়।
নন্দদুলালের নাটমন্দির ১৩৫০ সালের ১৪ ই জ্যৈষ্ঠ করুণাময় নাগ তাঁর পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করে দেন। এই নাটমন্দির নির্মাণ করাতে মন্দিরের সৌন্দর্য অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। মন্দিরের সামনে থেকে মন্দিরের পুরা ছবি নেওয়ার ক্ষেত্রেও অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। মন্দিরটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিকার কর্তৃক সংরক্ষিত। মন্দিরটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা।
শ্যামল কুমার ঘোষ
ধনিয়াখালি থানা ও ব্লকের অন্তর্গত গুড়াপ একটি গ্রাম। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে গুড়াপ একটি রেলস্টেশন। হাওড়া থেকে গুড়াপ ১৮ তম রেলস্টেশন। রেলপথে হাওড়া থেকে দূরত্ব ৫৭.৪ কিমি। গুড়াপ নামটি বহু জায়গায় গুরুপ, গুড়োপ বলেও লেখা আছে।
গুড়াপে অনেক দেবালয় আছে। তারমধ্যে বর্ধমান রাজের অমাত্য রামদেব নাগ প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী নন্দদুলাল মন্দির বিখ্যাত। নন্দদুলাল মন্দিরটি অল্প উঁচু ভিত্তিবেদির উপর দণ্ডায়মান, ত্রিখিলানবিশিষ্ট, অলিন্দযুক্ত, পূর্বমুখী, বাংলা আটচালা শৈলীর। গর্ভগৃহে ঢোকার একটিই দরজা। মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। মন্দিরের গঠনে দৃঢ়তা ও স্থাপত্য গাম্ভীর্য দর্শককে মুগ্ধ করে। মন্দিরটি ১৬৭৩ শকাব্দে ( ১৭৫১ খ্রীষ্টাব্দে ) প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠা-ফলক লাগানো আছে।
মন্দিরের সামনের দুটি স্তম্ভে, দেওয়াল সংলগ্ন দুটি অর্ধ স্তম্ভে, ও তিনটি খিলানের উপরে ও বর্গাকার কুলুঙ্গিতে পোড়া মাটির বিচিত্র লতাপাতা, ফুল, জীবজন্তু ও পৌরাণিক দেব দেবীর মূর্তি ও কল্পলতা বা মৃত্যুলতা উৎকীর্ণ আছে। ( 'কল্পলতা' হল উপর থেকে নিচে লতার মত কোণাচ। হাতি, সিংহ, লতা-পাতা অরণ্যের প্রতীক। এইভাবে মন্দির হয় অভীষ্ট ফলপ্রদ 'কল্পতরু'। আবার সমস্ত মায়ার মৃত্যু ঘটায় বলে একে 'মৃত্যুলতা'-ও বলা হয়। - পশ্চিমবঙ্গের মন্দির : শম্ভু ভট্টাচার্য ) এই টেরাকোটার অনেক ফলক নষ্ট হয়ে গেছে। সংস্কারের সময় এর কিছু কিছু ফলক তৈরী করে লাগানো হয়েছে। পুরানো ও নতুন ফলকের তফাৎ সহজেই বোঝা যায়।
গর্ভগৃহে কাল কষ্টিপাথরের নন্দদুলাল ও অষ্টধাতুর রাধারানি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত ও নিত্য পূজিত। ১৯৬০ খ্রীষ্টাব্দে রাধারানির মূর্তি চুরি গেলে নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অনেক দিন আগে নন্দদুলালের আগের মূর্তি পুরোহিতের অসাবধানতায় ভেঙে গেলে নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পুরানো বিগ্রহ মন্দিরের একটি ঘরে এখনও পূজিত হন। মন্দিরে গোপালের দুটি মূর্তি আছে। একটি মূর্তি রামদেব নাগের কন্যা স্থাপন করেন। প্রতি বছর কালীপুজোর পরদিন প্রতিপদের অমাবস্যায় খুব ধুমধামের সঙ্গে নন্দদুলাল জিউ'র অন্নকূট উৎসব পালন করা হয়।
নন্দদুলালের নাটমন্দির ১৩৫০ সালের ১৪ ই জ্যৈষ্ঠ করুণাময় নাগ তাঁর পিতার স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করে দেন। এই নাটমন্দির নির্মাণ করাতে মন্দিরের সৌন্দর্য অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে। মন্দিরের সামনে থেকে মন্দিরের পুরা ছবি নেওয়ার ক্ষেত্রেও অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। মন্দিরটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিকার কর্তৃক সংরক্ষিত। মন্দিরটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা।
মন্দিরটির পরিদর্শনের তারিখ : ০৩.০১.২০১৭
শ্রীশ্রী নন্দদুলাল জিউ মন্দির, গুড়াপ |
মন্দিরের সামনের বিন্যাস |
মন্দিরের এক পাশের খিলানের উপরের কাজ |
মন্দিরের মাঝের খিলানের উপরের কাজ |
মন্দিরের অন্য পাশের খিলানের উপরের কাজ |
মন্দিরের প্রতিষ্ঠা-ফলক |
ভিত্তিবেদি সংলগ্ন টেরাকোটার কাজ - ১ ( জমিদারের অন্যত্র গমন ) |
ভিত্তিবেদি সংলগ্ন টেরাকোটার কাজ - ২ ( অনন্ত শয়ানে বিষ্ণু ) |
ভিত্তিবেদি সংলগ্ন টেরাকোটার কাজ - ৩ ( বসুদেব-দেবকী কর্তৃক চতুর্ভূজ কৃষ্ণ ( বিষ্ণু ) বন্দনা ) |
ভিত্তিবেদি সংলগ্ন টেরাকোটার কাজ - ৪ ( কুবলয়পীড়, চানুরা, মুষ্টিক ও কংস বধ ) |
ভিত্তিবেদি সংলগ্ন টেরাকোটার কাজ - ৫ |
মন্দিরের একটি স্তম্ভ |
স্তম্ভের গায়ের টেরাকোটার কাজ -১ |
স্তম্ভের গায়ের টেরাকোটার কাজ -২ |
স্তম্ভের গায়ের টেরাকোটার কাজ -৩ |
স্তম্ভের গায়ের টেরাকোটার কাজ -৪ |
স্তম্ভের গায়ের টেরাকোটার কাজ -৫ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ১ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ২ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ৩ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ৪ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ৫ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ৬ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ৭ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ৮ |
চৌকো কুলুঙ্গির মধ্যের টেরাকোটার কাজ - ৯ |
কল্পলতা বা মৃত্যুলতা -১ |
কল্পলতা বা মৃত্যুলতা -২ |
কল্পলতা বা মৃত্যুলতা -৩ |
কল্পলতা বা মৃত্যুলতা -৪ |
মন্দিরের দরজার কাজ |
শ্রীশ্রী নন্দদুলাল ও অন্যান্য বিগ্রহ |
বালগোপাল ও নাড়ুগোপাল বিগ্রহ |
শ্রীশ্রী গোপেশ্বর শিবমন্দির |
শ্রীশ্রী গোপেশ্বর শিবলিঙ্গ |
নন্দদুলালের দোলমঞ্চ |
-------------------------------------------
আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
--------------------------------------------
খুব ভালো লাগলো। বর্ণনা ও ছবি দুটোই। বিশেষ করে ছবিগুলোর তুলনা নেই।
উত্তরমুছুন