বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭

Raghunath Temple, Baksa, Janai Road, Hooghly, West Bengal


     রঘুনাথ মন্দির,  বাকসা,  জনাই,  হুগলি

                               শ্যামল  কুমার  ঘোষ 

            হাওড়া-বর্ধমান  কর্ড  লাইনে  জনাই  রোড  একটি  রেলস্টেশন।  হাওড়া  থেকে  জনাই  রোড  সপ্তম  রেলস্টেশন।  রেলপথে  হাওড়া  থেকে  দূরত্ব  ২০  কিমি। 

            জনাই  গ্রামের  প্রান্তে  অবস্থিত  বাকসা  একটি  সমৃদ্ধ  গ্রাম।  এই  গ্রামের  চৌধুরী,  মিত্র  ও  সিংহ  বংশ  ( এই  বংশে  কালীপ্রসন্ন  সিংহ  জন্ম  গ্রহণ  করেন )  বিশেষ  প্রসিদ্ধ।  এই  গ্রামের  শ্রীশ্রী  রঘুনাথ  জিউর  মন্দির  বাংলার  প্রাচীন  মন্দিরগুলির  মধ্যে  অন্যতম।  বাকসার  মিত্র  বংশের  ভ্রুকুটরাম  মিত্র  ১৭৯২  খ্রীষ্টাব্দে ( বাং  ১১৯৯ )  এই  মন্দির  প্রতিষ্ঠা  করেন  এবং  দৈনিক  সেবার  জন্য  জমি  দান  করেন।  মিত্র  বংশের  কুলদেবতা  রঘুনাথ  শিলার  নামানুসারে  এই  মন্দির  রঘুনাথের  মন্দির  রূপে  পরিচিত।   মন্দিরটি  উঁচু  ভিত্তি  বেদির  উপর  প্রতিষ্ঠিত,  পূর্বমুখী  ও  নবরত্ন  শৈলীর।  সামনে  তিনটি  খিলান  প্রবেশপথ।  গর্ভগৃহের  সামনে  ঢাকা  বারান্দা।  নবরত্নের  চূড়াগুলি  শীর্ণ  ও  লম্বাটে।  পূর্বে   মন্দিরটিতে  টেরাকোটা  কারুকার্য  ছিল।  সংস্কারের  সময়  এই  কাজ  অপসারিত  হয়েছে।  তবে  সামান্য  একটু  কাজ  এখনও  অবশিষ্ট  আছে।  মন্দিরটিতে  প্রতিষ্ঠাকালীন  একটি  প্রতিষ্ঠাফলক  থাকলেও  তাতে  এখন  প্রতিষ্ঠা-সালটির  শেষ  দুটি  অঙ্ক  অনুপস্থিত।  

            গর্ভগৃহে  কাঠের  সিংহাসনে  শ্রীশ্রী  রঘুনাথ  জিউ   ও  রাধিকা  বিগ্রহ  নিত্য  পূজিত। 

শ্রীশ্রী রঘুনাথ  জিউর  মন্দির

মন্দিরের  শিখরদেশ

টেরাকোটা  কাজ  সহ  প্রতিষ্ঠাফলক

প্রতিষ্ঠাফলক

শ্রীশ্রী রঘুনাথ  জিউ  ও  রাধিকা  বিগ্রহ

            
বাকসার  অপর  উল্লেখযোগ্য  পুরাকীর্তি  দ্বাদশ  শিবমন্দির।  স্থানীয়রা  বলেন  বারোমন্দির।  দেওয়ান  ভবানীচরণ  মিত্র  ১৭৮০  খ্রীষ্টাব্দে  মন্দিরগুলি  প্রতিষ্ঠা  করেন।  ছয়টি  করে  দুটি  সারিতে  
মন্দিরগুলি  অবস্থিত।  উঁচু  ভিত্তিবেদির  উপর  স্থাপিত  মন্দিরগুলি  আটচালা  শৈলীর।  প্রতিটি  মন্দিরের  উচ্চতা  ৬০  ফুট (  প্রায়  ১৮  মিটার ) ।  সামনে  উঁচু  রোয়াক  দ্বারা  মন্দিরগুলি  সংযুক্ত।  চৈত্র  মাসের  সংক্রান্তির  দিন  মন্দির  প্রাঙ্গণে  মেলা  বসে। 

এক  সারিতে  ছয়টি  শিবমন্দির

            
ভবানীচরণ  মিত্র  দ্বাদশ  শিবমন্দির  ছাড়াও  আরও  ছয়টি  আটচালা  শিবমন্দির  প্রতিষ্ঠা  করেন।  দুটি  করে  তিনটি  বিভিন্ন  স্থানে  মন্দিরগুলি  অবস্থিত।


            বাকসার  মন্দিরগুলিতে  যেতে  হলে  হাওড়া  থেকে  হাওড়া-কর্ড  লাইনের  ট্রেন  ধরুন।  নামুন  জনাই  রোড  স্টেশন।  স্টেশন  থেকে  মশাট  গামী  অটোতে  উঠে  বাকসা  ষষ্ঠীতলায়  নামুন।  সেখান  থেকে  হেঁটে  মন্দির।  প্রথমে  দ্বাদশ  শিবমন্দির  পড়বে।  তারপর  রঘুনাথ  মন্দির।   

  সহায়ক  গ্রন্থ :

                 ১)  হুগলি  জেলার  ইতিহাস  ও  বঙ্গসমাজ ( ২ য়  খণ্ড ) :  সুধীর  কুমার  মিত্র                    

            ---------------------------------------

রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মুদ্রিত মূল্য - ৫৯৯ টাকা।


 বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন :  9038130757 এই নম্বরে। 

কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।

          প্রকাশনীতে বইটা বেস্টসেলার হয়েছে।


মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

Gopinath and Shib Temple, Belmuri, Hooghly, West Bengal


গোপীনাথ  ও  শিব  মন্দির,  বেলমুড়ি,  হুগলি 

                           শ্যামল  কুমার  ঘোষ 

            হাওড়া-বর্ধমান  কর্ড  লাইনে  বেলমুড়ি  একটি  রেলস্টেশন।  হাওড়া  থেকে  বেলমুড়ি  পঞ্চদশ  রেলস্টেশন।  রেলপথে  হাওড়া  থেকে  দূরত্ব  ৪৬.৪  কিমি।

            বেলমুড়ির  পূর্ব  নাম  ছিল  কৃষ্ণরামবাটি।  কিংবদন্তি  যে  মহানাদ  থেকে  মুসলমানদের  অত্যাচারে  উৎপীড়িত  হয়ে  বসুবংশের  তিন  ভ্রাতা  রাজারাম  বসু ,  বিশ্বেশ্বর  বসু  ও  কামদেব  বসু  বেলমুড়িতে  চলে  আসেন।  তাঁরা  এখানে  এসে  গ্রামের  উন্নতিতে  মনোনিবেশ  করেন।  বিশ্বেশ্বর  বসুর  পুত্র  প্রীতরাম  ওরফে  চিন্তামণি  বেলমুড়িতে   যাবতীয়  দেবালয়  স্থাপন  করেন।  বসুবংশের  কুলদেবতা  গোপীনাথ  জিউর  প্রথম  মন্দিরটি  তিনিই  প্রতিষ্ঠা  করেন।  মূল  মন্দিরটি  বিনষ্ট  হয়ে  গেল  তাঁরই  বংশধর  বৈকুণ্ঠদাস  বসু  ১৮৫৫  খ্রীষ্টাব্দে  মন্দিরটি  পুনর্নির্মাণ  করে  দেন।  মন্দিরটি  সমতল  ছাদযুক্ত  একটি  দালান।  ছাদের  সামনের  দিকের  মাঝখানে  একটি  শিখর  বর্তমান।  এখানে  উল্লেখ্য,  প্রীতরাম  বসু  বর্ধমান  রাজের  একজন  উচ্চপদস্থ  কর্মচারী  ছিলেন।

গোপীনাথের  মন্দির,  বেলমুড়ি

            বেলমুড়ির  গ্রন্থাগারের  কাছে  দুটি  আটচালা  শিবমন্দির  আছে।  শোনা  যায়,  এখানে  দ্বাদশ  শিবমন্দির  ছিল।  এখন  তার  দুটি  অবশিষ্ট  আছে।  একটি  পূর্বমুখী  ও  অন্যটি  পশ্চিমমুখী।   পশ্চিমমুখী  মন্দিরটির  
টেরাকোটা  সংস্কারের  সময়  অপসারিত  হয়েছে।  পূর্বমুখী  মন্দিরটির  টেরাকোটা  এখনও  ভালই  আছে।  যদিও  মন্দিরটিতে  অযত্নের  ছাপ  রয়েছে। 

শিবমন্দির,  বেলমুড়ি 

শিবমন্দিরের  সামনের  বিন্যাস

খিলানের  উপরের  কাজ 

তিনটি  টেরাকোটার  ফুল

টেরাকোটার  একটি  ফুল ( বড়  করে )

            বেলমুড়ির  উপরোক্ত  
মন্দিরগুলিতে  যেতে  হলে  হাওড়া  থেকে  হাওড়া-কর্ড  লাইনের  ট্রেন  ধরুন।  নামুন  বেলমুড়ি    স্টেশনে।  স্টেশনের  দক্ষিণ  থেকে  বাস  বা  টোটোতে  উঠুন।   নামুন  স্কুল  মোড়ে।  সেখান  থেকে  ডান  দিকের  রাস্তা  ধরে  গেলে প্রথমে  পাঠাগারের  কাছে  পাবেন  দুটি  শিবমন্দির।  আরও  এগিয়ে  গেলে  পাবেন  গোপীনাথ  মন্দির।    


 সহায়ক  গ্রন্থ :

                 ১)  হুগলি  জেলার  ইতিহাস  ও  বঙ্গসমাজ ( ২ য়  খণ্ড ) :  সুধীর  কুমার  মিত্র

              --------------------------------------

রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মুদ্রিত মূল্য - ৫৯৯ টাকা।


 বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন :  9038130757 এই নম্বরে। 

কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
 
          প্রকাশনীতে বইটা বেস্টসেলার হয়েছে।


Shib Temple, Bagnan Chaitanyabati, Hooghly



     শিব  মন্দির,  বাগনান  চৈতন্যবাটি,  হুগলি  
         শ্যামল  কুমার  ঘোষ 

            হাওড়া-বর্ধমান  কর্ড  লাইনে  বেলমুড়ি  একটি  রেলস্টেশন।  হাওড়া  থেকে  বেলমুড়ি  পঞ্চদশ  রেলস্টেশন।  রেলপথে  হাওড়া  থেকে  দূরত্ব  ৪৬.৪  কিমি।  বেলমুড়ি  স্টেশনের  দেড়  কিমি  দূরের  গ্রাম  বাগনান  চৈতন্যবাটি।  এখানে  স্থানীয়  বিশ্বাস  বংশ  কর্তৃক  ১৭১৮  শকাব্দে  ( ১৭৯৬  খ্রিস্টাব্দে )  প্রতিষ্ঠিত  একটি  শিবমন্দির  আছে।  হুগলি  জেলার  পুরাকীর্তি  গ্রন্থে  এটি  ১৭১৮  খ্রীষ্টাব্দ  বলে  উল্লেখ  করা  হয়েছে।  মন্দিরে  একটি  প্রতিষ্ঠা-ফলক  বর্তমান।  এই  বিশ্বাস  পরিবার  এখন  আর  এখানে  থাকেন  না।

            মন্দিরটি  অল্প  উঁচু  ভিত্তিবেদির  উপর  প্রতিষ্ঠিত,  পূর্ব  মুখী,  একদ্বারবিশিষ্ট  ও  আটচালা  শৈলীর।  মন্দিরের  সামনের  দেওয়াল  টেরাকোটা  অলংকরণে  অলংকৃত।  যদিও  সেই  টেরাকোটার  অনেক  ফলক  নষ্ট  হয়ে  গেছে।  যা  অবশিষ্ট  আছে  তাও  সংস্কারের  সময়  রঙের  প্রলেপ  দেওয়ায়  অনেকটাই  আজ  ম্লান। মন্দিরটি  অজয়  কুমার  মুখার্জী,  তারক  নাথ  দে  ও  শীতল  চন্দ্র  বিশ্বাস  কর্তৃক  বাং  ১৪১১  সালে  সংস্কার  করা  হয়।  মন্দিরের গর্ভগৃহের  সামনে  পত্রাকৃতি  খিলান।   খিলানের  উপরে  ফুল  ও  লতাপাতার  কাজ।  মন্দিরে  মৃৎফলকের  কয়েকটি  সুন্দর  বড়  ফুল  ও  কুলুঙ্গির  মধ্যে  কয়েকটি  মূর্তি  ও  নকশা  বর্তমান।  ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  টেরাকোটার  নকশাগুলিও  সুন্দর।  গর্ভগৃহে  কাল  কষ্টিপাথরের  শিবলিঙ্গ  নিত্য  পূজিত।

শিবমন্দির

মন্দিরের  সামনের  বিন্যাস

মন্দিরের  সামনের  বিন্যাস ( বড়  করে )

খিলানের  উপরের  কাজ 

খিলানের  উপরের  কাজ ( বড়  করে )

মন্দিরের  প্রতিষ্ঠা-ফলক

মন্দিরের  এক  দিকের  কোনাচ 

মন্দিরের  আর  এক  দিকের  কোনাচ 

কুলুঙ্গির  মধ্যের  কাজ - ১

কুলুঙ্গির  মধ্যের  কাজ - ২

ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  নকশা - ১

ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  নকশা - ২

কষ্টিপাথরের  শিবলিঙ্গ

            এই  মন্দিরের  কিছুটা  উত্তরে  স্থানীয়  বসু  পরিবার  কর্তৃক  প্রতিষ্ঠিত  একটি   পঞ্চরত্ন  শিবমন্দির  বর্তমান।  
মন্দিরটি  সামান্য  উঁচু  ভিত্তিবেদির  উপর  প্রতিষ্ঠিত,  পূর্ব  মুখী  ও  একদ্বারবিশিষ্ট।  এর  ছাদের  চারকোণে  চারটি  চূড়া  এবং  মাঝখানে  অপেক্ষাকৃত  বড়  একটি  চূড়া।  মন্দিরের  সামনের  দেওয়াল  টেরাকোটা  অলংকরণে  অলংকৃত।  যদিও  সেই  টেরাকোটার  অনেক  ফলক  নষ্ট  হয়ে  গেছে।  যা  অবশিষ্ট  আছে  তাও  সংস্কারের  সময়  রঙের  প্রলেপ  দেওয়ায়  অনেকটাই  ম্লান।  মন্দিরের গর্ভগৃহের  সামনে  পত্রাকৃতি  খিলান।  খিলানের  উপরে  আটটি  প্রতীক  শিবালয়  ও  তার  মধ্যে  শিবলিঙ্গ।  মন্দিরে  কুলুঙ্গির  মধ্যে  টেরাকোটার  কয়েকটি  মূর্তি বর্তমান।  এ  ছাড়া  টেরাকোটা  নকশাও  আছে।   মন্দিরের  দক্ষিণ  দিকের  দেওয়ালে  একটি  মাত্র  টেরাকোটা  ফলক  বর্তমান  এবং  সেটি  মিথুন  মূর্তি।  মন্দিরের  গর্ভগৃহে  কাল  পাথরের  শিবলিঙ্গ  নিত্য  পূজিত।

পঞ্চরত্ন  শিবমন্দির 

মন্দিরের  সামনের  বিন্যাস 

খিলানের  উপরের  কাজ

মিথুন  মূর্তি

কুলুঙ্গির  মধ্যের  মূর্তি - ১

কুলুঙ্গির  মধ্যের  মূর্তি - ২

কুলুঙ্গির  মধ্যের  মূর্তি - ৩

কুলুঙ্গির  মধ্যের  মূর্তি - ৪

মন্দিরের  কোনাচ

            এই  মন্দিরের  বিপরীতে  বসু  পরিবার  কর্তৃক  প্রতিষ্ঠিত  আর  একটি  পশ্চিম  মুখী,  পঞ্চরত্ন  মন্দির  বর্তমান। মন্দিরটি  বর্তমানে  
ভগ্ন  ও  পরিত্যক্ত।  এর  সামনের  দেওয়ালে  যেটুকু  টেরাকোটা  অলংকরণ  এখনও  অবশিষ্ট  আছে  তা  থেকে  বোঝা  যায়  যে  এই  টেরাকোটা  খুবই  উন্নতমানের।


পরিত্যক্ত  পঞ্চরত্ন  শিবমন্দির

মন্দিরের  খিলানের  উপরের  কাজ

মন্দিরের  খিলানের  উপরের  কাজ ( বড়  করে )

ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  টেরাকোটা  ফলক

মন্দিরে  টেরাকোটা  নকশা - ১

মন্দিরে  টেরাকোটা  নকশা - ২

মন্দিরে  টেরাকোটা  মূর্তি - ১

মন্দিরে  টেরাকোটা  মূর্তি - ২

            এছাড়া  এখানে  আগে  ঘোষ  বংশ  প্রতিষ্ঠিত  দ্বাদশ  শিবের  মন্দির  ছিল।  এই  মন্দিরগুলির  একটি  ছাড়া  সবগুলিই  ভূমিসাৎ  হয়ে  গেছে।  যে  মন্দিরটি  অবশিষ্ট  আছে  তাও  এখন  ভগ্ন  ও  পরিত্যক্ত।  মন্দিরগুলির  শিবলিঙ্গগুলি  বর্তমানে  একটি  নতুন  তৈরি  দালান-গৃহে  নিত্য  পূজিত  হচ্ছেন। 



পরিত্যক্ত  শিবমন্দির 

পরিত্যক্ত  শিবমন্দিরের  খিলানের  উপরের  কাজ 

দ্বাদশ  শিবমন্দিরের  কয়েকটি  শিবলিঙ্গ

            বাগনান  চৈতন্যবাটির  উপরোক্ত  মন্দিরগুলিতে  যেতে  হলে  হাওড়া  থেকে  হাওড়া-কর্ড  লাইনের  ট্রেন  ধরুন।  নামুন  বেলমুড়ি  স্টেশনে।  স্টেশনের  উত্তর  দিক  থেকে  রিকশায়  বা  হেঁটে  পৌঁছে  যান  বাগনান  চৈতন্যবাটি। 

                 
   সহায়ক  গ্রন্থ
             ১)  হুগলি  জেলার  পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ  ভট্টাচার্য 

              -------------------------------------

রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মুদ্রিত মূল্য - ৫৯৯ টাকা।


 বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন :  9038130757 এই নম্বরে। 

কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।

          প্রকাশনীতে বইটা বেস্টসেলার হয়েছে।