শ্রীশ্রীভদ্রকালী মন্দির, রামসীতা ঘাট স্ট্রিট, দোলতলা, ভদ্রকালী, উত্তরপাড়া, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
হাওড়া-ব্যাণ্ডেল রেলপথে উত্তরপাড়া চতুর্থ স্টেশন। রেলপথে হাওড়া থেকে দূরত্ব ৯.৭ কিমি। স্টেশন থেকে পূর্ব দিকে এক কিলোমিটার দূরে ভদ্রকালী দোলতলায় শ্রীশ্রীভদ্রকালীর মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির প্রতিষ্ঠিত, দক্ষিণমুখী, পিরামিড আকৃতি ছাদ যুক্ত একটি ঘর মাত্র। সামনে অলিন্দ। মন্দিরের মেঝেতে শ্বেতপাথর ও বাহিরের দেওয়ালে পাথর লাগানো। মন্দিরটি ১৭৩০ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত। বলা বাহুল্য, মন্দিরটির নবীকরণ হয়েছে। কারণ বর্তমান মন্দিরটি বেশি পুরানো নয়।
একটি পুকুর খোঁড়ার সময় মন্দিরের বিগ্রহটি পাওয়া যায়। এক সন্ন্যাসী বিগ্রহটির পূজা করতেন। সন্ন্যাসী পরলোকগমন করলে রাজা মনোহর রায় বর্তমান স্থানে একটি মন্দির নির্মাণ করে ভদ্রকালী বিগ্রহটি প্রতিষ্ঠা করেন। দেবীর নামে জায়গারটির নাম হয় ভদ্রকালী। অন্য মতে, বিগ্রহটি পাওয়া যায় গঙ্গা থেকে। মন্দিরের সামনে একটি ফলক লাগানো আছে।
কাল পাথরের চতুর্ভুজা মূর্তি। খুবই ছোট মূর্তি। খালি চোখে খুব কাছে না গেলে বোঝা যায় না। শিবের শায়িত দেহের উপর দেবী উপবিষ্টা। দেহ সম্পুর্ণ নিরাভরণ। বাম দিকের উপরের হাতে খড়্গ ও নিচের হাতে নরমুণ্ড। দক্ষিণের দু হাত দিয়ে বর ও অভয় দান করছেন। পাথরের মূর্তি কিন্তু সজীবতাপূর্ণ। বিগ্রহ নিত্য পূজিত।
******
একটি পুকুর খোঁড়ার সময় মন্দিরের বিগ্রহটি পাওয়া যায়। এক সন্ন্যাসী বিগ্রহটির পূজা করতেন। সন্ন্যাসী পরলোকগমন করলে রাজা মনোহর রায় বর্তমান স্থানে একটি মন্দির নির্মাণ করে ভদ্রকালী বিগ্রহটি প্রতিষ্ঠা করেন। দেবীর নামে জায়গারটির নাম হয় ভদ্রকালী। অন্য মতে, বিগ্রহটি পাওয়া যায় গঙ্গা থেকে। মন্দিরের সামনে একটি ফলক লাগানো আছে।
কাল পাথরের চতুর্ভুজা মূর্তি। খুবই ছোট মূর্তি। খালি চোখে খুব কাছে না গেলে বোঝা যায় না। শিবের শায়িত দেহের উপর দেবী উপবিষ্টা। দেহ সম্পুর্ণ নিরাভরণ। বাম দিকের উপরের হাতে খড়্গ ও নিচের হাতে নরমুণ্ড। দক্ষিণের দু হাত দিয়ে বর ও অভয় দান করছেন। পাথরের মূর্তি কিন্তু সজীবতাপূর্ণ। বিগ্রহ নিত্য পূজিত।
উপরোক্ত মন্দিরে যেতে হলে হাওড়া থেকে পূর্বরেলের মেন লাইনের লোকালে উঠুন। নামুন উত্তরপাড়া স্টেশনে। স্টেশনের পূর্ব দিক থেকে রিকশায় উঠে পৌঁছে যান ভদ্রকালী দোলতলার মন্দিরে। জি. টি. রোড দিয়ে গাড়িতেও যেতে পারেন।
![]() |
শ্রীশ্রী ভদ্রকালী মন্দির |
![]() |
মন্দিরে লাগানো ফলক |
![]() |
শ্রীশ্রী ভদ্রকালী মাতা - ১ |
![]() |
শ্রীশ্রী ভদ্রকালী মাতা - ২ |
সহায়ক গ্রন্থ / সূত্র :
১) হুগলি জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ ( ৩ য় খণ্ড ): সুধীর কুমার মিত্র
২) পশ্চিম বঙ্গ ভ্রমণ ও দর্শন : ভূপতিরঞ্জন দাস
৩) ভদ্রকালী মন্দিরে লাগানো প্রস্তর ফলক ২) পশ্চিম বঙ্গ ভ্রমণ ও দর্শন : ভূপতিরঞ্জন দাস
******
পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য কালী মন্দির সম্বন্ধে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন / লিংকের উপর আঙুল দিয়ে টোকা দিন :
----------------------------------------------------------
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
প্রকাশনীতে বইটি সেরা বইয়ের সম্মান স্বর্ণকলম ২০২৫ পেয়েছে ।
--------------------------------------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন