শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ জিউ মন্দির, আশানন্দ বাড়ি, শান্তিপুর, নদিয়া
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
শ্যামল কুমার ঘোষ
উনবিংশ শতকের প্রথম ভাগে শান্তিপুরে আশানন্দ মুখোপাধ্যায় নামে এক বীরপুরুষ জন্মগ্রহণ করেন । তিনি যেমন সরল প্রকৃতি ও সহৃদয় ছিলেন তেমনই ছিলেন অসীম শক্তির অধিকারী । একবার তিনি অতিথি হয়ে জনৈক ধনী গৃহস্থের বাড়িতে রাত কাটাচ্ছিলেন । ঐ বাড়িতে রাতে হঠাৎ একদল ডাকাত পড়ে । আশ্রয়দাতা গৃহস্বামীর এরূপ বিপদ দেখে বীর আশানন্দ হাতের কাছে অন্য অস্ত্র না পেয়ে কাছের একটি ঢেঁকিশাল থেকে এক প্রকাণ্ড ঢেঁকি নিয়ে ডাকাতদের মোকাবিলা করেন এবং তাদের তাড়িয়ে দেন । এই কাজের জন্য তিনি জনসমাজে 'আশানন্দ ঢেঁকি' নামে পরিচিত হন । ১৩৩৯ বঙ্গাব্দে বীর আশানন্দের স্মৃতি রক্ষার জন্য তাঁর বাসভবনের সামনে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয় ।
আশানন্দের কোন এক পূর্বপুরুষ আনুমানিক পাঁচশো বছর আগে নিজগৃহে শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন । বিগ্রহ বর্তমানে শিখরযুক্ত এক দালান মন্দিরে স্থাপিত । আশানন্দের বংশধরদের মধ্যে কেউ জীবিত না থাকায় এবং তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনের অবস্থাও দুর্বল হওয়ায় এই পল্লীর জনসাধারণ ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দের ২০ শে সেপ্টেম্বর একটি ট্রাষ্টিবোর্ড গঠন করে এই বিগ্রহ পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন । মন্দিরে রাধাবল্লভ জিউর নিত্যপূজা ছাড়াও রাস পূর্ণিমায় সাড়ম্ভরে রাসোৎসব পালন করা হয় । ভাঙ্গারাসের উৎসবে আশানন্দ পল্লীর শোভাযাত্রায় ঢেঁকি হাতে আশানন্দের দীর্ঘকায় পট সর্বাগ্রে রাখা হয় । এখানে উল্লেখ্য, আশানন্দ পল্লীই রাসের শোভাযাত্রায় প্রথম মানুষ সঙ বার করে যা আজও চলে আসছে ।
শান্তিপুরের আশানন্দের বাড়িতে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন । রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই । স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান পটেশ্বরী পাড়ার কাছে অবস্থিত আশানন্দের বাড়ি । ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে । তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন ।
![]() |
আশানন্দের স্মৃতিস্তম্ভ |
আশানন্দের কোন এক পূর্বপুরুষ আনুমানিক পাঁচশো বছর আগে নিজগৃহে শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন । বিগ্রহ বর্তমানে শিখরযুক্ত এক দালান মন্দিরে স্থাপিত । আশানন্দের বংশধরদের মধ্যে কেউ জীবিত না থাকায় এবং তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনের অবস্থাও দুর্বল হওয়ায় এই পল্লীর জনসাধারণ ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দের ২০ শে সেপ্টেম্বর একটি ট্রাষ্টিবোর্ড গঠন করে এই বিগ্রহ পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন । মন্দিরে রাধাবল্লভ জিউর নিত্যপূজা ছাড়াও রাস পূর্ণিমায় সাড়ম্ভরে রাসোৎসব পালন করা হয় । ভাঙ্গারাসের উৎসবে আশানন্দ পল্লীর শোভাযাত্রায় ঢেঁকি হাতে আশানন্দের দীর্ঘকায় পট সর্বাগ্রে রাখা হয় । এখানে উল্লেখ্য, আশানন্দ পল্লীই রাসের শোভাযাত্রায় প্রথম মানুষ সঙ বার করে যা আজও চলে আসছে ।
শান্তিপুরের আশানন্দের বাড়িতে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন । রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই । স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান পটেশ্বরী পাড়ার কাছে অবস্থিত আশানন্দের বাড়ি । ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে । তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন ।
![]() |
আশানন্দের বাড়ির গেট ও শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ জিউ মন্দির |
![]() |
শ্রী শ্রী রাধাবল্লভ জিউ মন্দির |
![]() |
শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ - ১ |
![]() |
শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ - ২ মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ১২.০১.২০১৬ |
সহায়ক গ্রন্থাবলি :
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
২. বাংলায় ভ্রমণ ( ১ম খণ্ড ) : পূর্ববঙ্গ রেলপথের প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
২. বাংলায় ভ্রমণ ( ১ম খণ্ড ) : পূর্ববঙ্গ রেলপথের প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত
----------------------
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন