শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ জিউ মন্দির, আশানন্দ বাড়ি, শান্তিপুর, নদিয়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
উনবিংশ শতকের প্রথম ভাগে শান্তিপুরে আশানন্দ মুখোপাধ্যায় নামে এক বীরপুরুষ জন্মগ্রহণ করেন । তিনি যেমন সরল প্রকৃতি ও সহৃদয় ছিলেন তেমনই ছিলেন অসীম শক্তির অধিকারী । একবার তিনি অতিথি হয়ে জনৈক ধনী গৃহস্থের বাড়িতে রাত কাটাচ্ছিলেন । ঐ বাড়িতে রাতে হঠাৎ একদল ডাকাত পড়ে । আশ্রয়দাতা গৃহস্বামীর এরূপ বিপদ দেখে বীর আশানন্দ হাতের কাছে অন্য অস্ত্র না পেয়ে কাছের একটি ঢেঁকিশাল থেকে এক প্রকাণ্ড ঢেঁকি নিয়ে ডাকাতদের মোকাবিলা করেন এবং তাদের তাড়িয়ে দেন । এই কাজের জন্য তিনি জনসমাজে 'আশানন্দ ঢেঁকি' নামে পরিচিত হন । ১৩৩৯ বঙ্গাব্দে বীর আশানন্দের স্মৃতি রক্ষার জন্য তাঁর বাসভবনের সামনে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয় ।
আশানন্দের কোন এক পূর্বপুরুষ আনুমানিক পাঁচশো বছর আগে নিজগৃহে শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন । বিগ্রহ বর্তমানে শিখরযুক্ত এক দালান মন্দিরে স্থাপিত । আশানন্দের বংশধরদের মধ্যে কেউ জীবিত না থাকায় এবং তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনের অবস্থাও দুর্বল হওয়ায় এই পল্লীর জনসাধারণ ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দের ২০ শে সেপ্টেম্বর একটি ট্রাষ্টিবোর্ড গঠন করে এই বিগ্রহ পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন । মন্দিরে রাধাবল্লভ জিউর নিত্যপূজা ছাড়াও রাস পূর্ণিমায় সাড়ম্ভরে রাসোৎসব পালন করা হয় । ভাঙ্গারাসের উৎসবে আশানন্দ পল্লীর শোভাযাত্রায় ঢেঁকি হাতে আশানন্দের দীর্ঘকায় পট সর্বাগ্রে রাখা হয় । এখানে উল্লেখ্য, আশানন্দ পল্লীই রাসের শোভাযাত্রায় প্রথম মানুষ সঙ বার করে যা আজও চলে আসছে ।
শান্তিপুরের আশানন্দের বাড়িতে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন । রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই । স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান পটেশ্বরী পাড়ার কাছে অবস্থিত আশানন্দের বাড়ি । ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে । তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন ।
আশানন্দের স্মৃতিস্তম্ভ |
আশানন্দের কোন এক পূর্বপুরুষ আনুমানিক পাঁচশো বছর আগে নিজগৃহে শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন । বিগ্রহ বর্তমানে শিখরযুক্ত এক দালান মন্দিরে স্থাপিত । আশানন্দের বংশধরদের মধ্যে কেউ জীবিত না থাকায় এবং তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনের অবস্থাও দুর্বল হওয়ায় এই পল্লীর জনসাধারণ ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দের ২০ শে সেপ্টেম্বর একটি ট্রাষ্টিবোর্ড গঠন করে এই বিগ্রহ পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন । মন্দিরে রাধাবল্লভ জিউর নিত্যপূজা ছাড়াও রাস পূর্ণিমায় সাড়ম্ভরে রাসোৎসব পালন করা হয় । ভাঙ্গারাসের উৎসবে আশানন্দ পল্লীর শোভাযাত্রায় ঢেঁকি হাতে আশানন্দের দীর্ঘকায় পট সর্বাগ্রে রাখা হয় । এখানে উল্লেখ্য, আশানন্দ পল্লীই রাসের শোভাযাত্রায় প্রথম মানুষ সঙ বার করে যা আজও চলে আসছে ।
শান্তিপুরের আশানন্দের বাড়িতে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন । রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই । স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান পটেশ্বরী পাড়ার কাছে অবস্থিত আশানন্দের বাড়ি । ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে । তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন ।
আশানন্দের বাড়ির গেট ও শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ জিউ মন্দির |
শ্রী শ্রী রাধাবল্লভ জিউ মন্দির |
শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ - ১ |
শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ - ২ মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ১২.০১.২০১৬ |
সহায়ক গ্রন্থাবলি :
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
২. বাংলায় ভ্রমণ ( ১ম খণ্ড ) : পূর্ববঙ্গ রেলপথের প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
২. বাংলায় ভ্রমণ ( ১ম খণ্ড ) : পূর্ববঙ্গ রেলপথের প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত
----------------------
আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন