শ্রীশ্রী রাধারমণ জিউ মন্দির, দীনদয়াল বাবুর বাড়ি, শান্তিপুর, নদিয়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
এই বাড়ির পূর্বপুরুষরা আগে সমুদ্রগড়ে বাস করতেন। প্রায় তিনশো বছর আগে ব্যবসার কারণে তাঁরা শান্তিপুরে চলে আসেন। তাঁদের রেশম ও বস্ত্রের ব্যবসা ছিল। এঁদেরই পূর্বপুরুষ রামচন্দ্র প্রামাণিক ১২০৭ বঙ্গাব্দে একটি ঠাকুর দালান নির্মাণ করে গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করেন কষ্টিপাথরের শ্রীরাধারমণ ও অষ্টধাতুর শ্রীমতি বিগ্রহ। পরে তাঁর পৌত্র দাশুবাবু প্রচুর অর্থব্যয়ে এই ঠাকুর দালানের আমূল সংস্কার করেন। মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত। মন্দিরের সামনে বাঁধান ফাঁকা উঠোন এবং তাকে ঘিরে চকমিলানো অন্যান্য ঘর। বিগ্রহের নিত্য পূজা ছাড়াও অন্যান্য বৈষ্ণব-উৎসব ও রাস উৎসব পালন করা হয়। রাসের সময় প্রাচীনকালের বেলোয়ারি ঝাড়বাতিতে মোমবাতির স্নিগ্ধ আলোয় এখানকার রাস উৎসব পালন করা হয়।
দাশুবাবুর পুত্রই জমিদার দীনদয়াল প্রামাণিক। দীনজনের প্রতি তিনি অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন বলে তাঁর নাম হয় দীনদয়াল। এক সময় অর্থাভাবে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে তিনি সেই বেতনের দায়িত্ব নেন। এই বাড়ির বংশধর যশোদানন্দন প্রামাণিক ছিলেন অসাধারণ পণ্ডিত। তিনি ১৮৭১ খ্রীষ্টাব্দে এম-এ পরীক্ষায় ইতিহাসে প্রথম বিভাগে প্রথমস্থান পান। যশোদাবাবু যথাক্রমে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়, ভবানীপুরের সাউথ সুবার্বান স্কুল ও কান্দি স্কুলের প্রধান শিক্ষক রূপে কাজ করেন। স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ও রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী তাঁর ছাত্র ছিলেন। তাঁর গ্রন্থাগারের সমস্থ বই তিনি শান্তিপুরের সাধারণ গ্রন্থাগারে দান করেন। তাঁর নামেই ঠাকুর বাড়ির সামনের রাস্তার নাম যশোদানন্দন স্ট্রীট।
শান্তিপুরের দীনদয়াল বাবুর বাড়িতে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন। রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই। স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান পটেশ্বরী পাড়ার কাছে অবস্থিত দীনদয়াল বাবুর বাড়ি। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে। তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন।
সহায়ক গ্রন্থাবলি :
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
২. শান্তিপুর - পরিচয় ( ২ য় ভাগ ) : কালীকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
-----------------------
শ্যামল কুমার ঘোষ
এই বাড়ির পূর্বপুরুষরা আগে সমুদ্রগড়ে বাস করতেন। প্রায় তিনশো বছর আগে ব্যবসার কারণে তাঁরা শান্তিপুরে চলে আসেন। তাঁদের রেশম ও বস্ত্রের ব্যবসা ছিল। এঁদেরই পূর্বপুরুষ রামচন্দ্র প্রামাণিক ১২০৭ বঙ্গাব্দে একটি ঠাকুর দালান নির্মাণ করে গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করেন কষ্টিপাথরের শ্রীরাধারমণ ও অষ্টধাতুর শ্রীমতি বিগ্রহ। পরে তাঁর পৌত্র দাশুবাবু প্রচুর অর্থব্যয়ে এই ঠাকুর দালানের আমূল সংস্কার করেন। মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত। মন্দিরের সামনে বাঁধান ফাঁকা উঠোন এবং তাকে ঘিরে চকমিলানো অন্যান্য ঘর। বিগ্রহের নিত্য পূজা ছাড়াও অন্যান্য বৈষ্ণব-উৎসব ও রাস উৎসব পালন করা হয়। রাসের সময় প্রাচীনকালের বেলোয়ারি ঝাড়বাতিতে মোমবাতির স্নিগ্ধ আলোয় এখানকার রাস উৎসব পালন করা হয়।
দাশুবাবুর পুত্রই জমিদার দীনদয়াল প্রামাণিক। দীনজনের প্রতি তিনি অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন বলে তাঁর নাম হয় দীনদয়াল। এক সময় অর্থাভাবে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে তিনি সেই বেতনের দায়িত্ব নেন। এই বাড়ির বংশধর যশোদানন্দন প্রামাণিক ছিলেন অসাধারণ পণ্ডিত। তিনি ১৮৭১ খ্রীষ্টাব্দে এম-এ পরীক্ষায় ইতিহাসে প্রথম বিভাগে প্রথমস্থান পান। যশোদাবাবু যথাক্রমে শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়, ভবানীপুরের সাউথ সুবার্বান স্কুল ও কান্দি স্কুলের প্রধান শিক্ষক রূপে কাজ করেন। স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ও রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী তাঁর ছাত্র ছিলেন। তাঁর গ্রন্থাগারের সমস্থ বই তিনি শান্তিপুরের সাধারণ গ্রন্থাগারে দান করেন। তাঁর নামেই ঠাকুর বাড়ির সামনের রাস্তার নাম যশোদানন্দন স্ট্রীট।
শান্তিপুরের দীনদয়াল বাবুর বাড়িতে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন। রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই। স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান পটেশ্বরী পাড়ার কাছে অবস্থিত দীনদয়াল বাবুর বাড়ি। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে। তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন।
দীনদয়াল বাবুর ঠাকুরবাড়ির সদর দরজা |
দীনদয়াল বাবুর বাড়ির ঠাকুরদালান ও ঠাকুরবাড়ি |
শ্রীরাধারমণ ও শ্রীমতি বিগ্রহ - ১ |
শ্রীরাধারমণ ও শ্রীমতি বিগ্রহ - ২ |
সহায়ক গ্রন্থাবলি :
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
২. শান্তিপুর - পরিচয় ( ২ য় ভাগ ) : কালীকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
-----------------------
আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন