শ্রীশ্রী গোপীকান্ত জিউ মন্দির, খাঁ বাড়ি, শান্তিপুর, নদিয়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
খাঁ দের পূর্বপুরুষ গোবিন্দ ( তন্তুবায় ) শ্রীঅদ্বৈতের সঙ্গী হয়ে শ্রীহট্ট থেকে শান্তিপুরে আসেন। ইঁহারা সমুদ্রপথে বাণিজ্য করতেন। গোবিন্দের পুত্র গৌরী ব্যবসায়ে অর্থবান হয়ে 'ভাগ্যবন্ত' উপাধি পান। গৌরীপুত্র শ্রীমন্ত নবাব সরকারে ঋণদান করতেন। সেজন্য 'খাঁ' উপাধি পান। কেউ কেউ বলেন যে শ্রীশ্রী শ্যামচাঁদ মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় নদিয়ারাজ খাঁ- দের 'চৌধুরী' উপাধি প্রদান করেন এবং মহারাজ দুলক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। আবার কেউ কেউ বলেন যে এই উপাধি নবাব প্রদত্ত। উড়িষ্যার রাজার সঙ্গে যখন মুর্শিদাবাদের নবাবের যুদ্ধ হয় তখন যাত্রাপথে নবাবের সৈন্যবাহিনীকে আঠার দিন বর্ষা প্রভৃতি কারণে শান্তিপুরের চরে আটকে থাকতে হয়। সেই সময় রামগোপালের ( শ্যামচাঁদ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ) পিতামহ যাবতীয় রসদ সরবরাহ করেন এবং তিনি অর্থ গ্রহণে অসম্মত হওয়ায় নবাব তাঁহাকে চৌধুরী উপাধি প্রদান করেন। সেই সময় থেকে দুটি বংশ হয় -- খাঁ এবং খাঁচৌধুরী। পরে কেবল খাঁ বংশই বর্তমান থাকে।
এই বংশের জ্যেষ্ঠ রামগোপাল খাঁ ১৪৪৮ শকাব্দে শ্যামচাঁদ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর অপর তিন ভাই রামজীবন, রামচরণ ও রামভদ্র পৃথক পৃথক শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। রামচরণ খাঁ শ্রীশ্রী গোপীকান্ত বিগ্রহ শ্রীরাধিকা সহ প্রতিষ্ঠা করেন। মতান্তরে, শ্রীমন্ত খাঁর পুত্র কৃষ্ণবল্লভ এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর প্রতিষ্ঠিত, অলিন্দযুক্ত এক দালান মন্দির। মন্দির সংলগ্ন অন্যান্য ঘরও আছে।
এখানে উল্লেখ্য, মথুরেশের সময় থেকে শান্তিপুরে রাস উৎসবের প্রচলন থাকলেও ভাঙ্গারাসের উৎসব প্রচলন করেন এই খাঁ বংশ। তাঁরা ১৬৪৯ শকাব্দে ভাঙ্গারাস নামে খ্যাত শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকা বিগ্রহের নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠানের প্রচলন করেন। ক্রমে তাঁরা বড় গোস্বামী বাড়িকে আমন্ত্রণ করে তাঁদের পুরোভাগে রেখে নিজেরা তাঁদের অনুগমন করেন। পরে অন্য গোস্বামীরা এসে যোগ দেন এবং এবং খাঁচৌধুরীদের অনুগমন করেন।
শান্তিপুরের খাঁ বাড়িতে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন। রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই। স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান বড় গোস্বামী বাড়ির কাছে অবস্থিত খাঁ বাড়ি। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে। তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন।
খাঁ দের পূর্বপুরুষ গোবিন্দ ( তন্তুবায় ) শ্রীঅদ্বৈতের সঙ্গী হয়ে শ্রীহট্ট থেকে শান্তিপুরে আসেন। ইঁহারা সমুদ্রপথে বাণিজ্য করতেন। গোবিন্দের পুত্র গৌরী ব্যবসায়ে অর্থবান হয়ে 'ভাগ্যবন্ত' উপাধি পান। গৌরীপুত্র শ্রীমন্ত নবাব সরকারে ঋণদান করতেন। সেজন্য 'খাঁ' উপাধি পান। কেউ কেউ বলেন যে শ্রীশ্রী শ্যামচাঁদ মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় নদিয়ারাজ খাঁ- দের 'চৌধুরী' উপাধি প্রদান করেন এবং মহারাজ দুলক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। আবার কেউ কেউ বলেন যে এই উপাধি নবাব প্রদত্ত। উড়িষ্যার রাজার সঙ্গে যখন মুর্শিদাবাদের নবাবের যুদ্ধ হয় তখন যাত্রাপথে নবাবের সৈন্যবাহিনীকে আঠার দিন বর্ষা প্রভৃতি কারণে শান্তিপুরের চরে আটকে থাকতে হয়। সেই সময় রামগোপালের ( শ্যামচাঁদ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ) পিতামহ যাবতীয় রসদ সরবরাহ করেন এবং তিনি অর্থ গ্রহণে অসম্মত হওয়ায় নবাব তাঁহাকে চৌধুরী উপাধি প্রদান করেন। সেই সময় থেকে দুটি বংশ হয় -- খাঁ এবং খাঁচৌধুরী। পরে কেবল খাঁ বংশই বর্তমান থাকে।
এই বংশের জ্যেষ্ঠ রামগোপাল খাঁ ১৪৪৮ শকাব্দে শ্যামচাঁদ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর অপর তিন ভাই রামজীবন, রামচরণ ও রামভদ্র পৃথক পৃথক শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। রামচরণ খাঁ শ্রীশ্রী গোপীকান্ত বিগ্রহ শ্রীরাধিকা সহ প্রতিষ্ঠা করেন। মতান্তরে, শ্রীমন্ত খাঁর পুত্র কৃষ্ণবল্লভ এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর প্রতিষ্ঠিত, অলিন্দযুক্ত এক দালান মন্দির। মন্দির সংলগ্ন অন্যান্য ঘরও আছে।
এখানে উল্লেখ্য, মথুরেশের সময় থেকে শান্তিপুরে রাস উৎসবের প্রচলন থাকলেও ভাঙ্গারাসের উৎসব প্রচলন করেন এই খাঁ বংশ। তাঁরা ১৬৪৯ শকাব্দে ভাঙ্গারাস নামে খ্যাত শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকা বিগ্রহের নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠানের প্রচলন করেন। ক্রমে তাঁরা বড় গোস্বামী বাড়িকে আমন্ত্রণ করে তাঁদের পুরোভাগে রেখে নিজেরা তাঁদের অনুগমন করেন। পরে অন্য গোস্বামীরা এসে যোগ দেন এবং এবং খাঁচৌধুরীদের অনুগমন করেন।
শান্তিপুরের খাঁ বাড়িতে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন। রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই। স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান বড় গোস্বামী বাড়ির কাছে অবস্থিত খাঁ বাড়ি। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে। তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন।
খাঁ বাড়ির ফটক ও বাড়ি |
খাঁ বাড়ির ঠাকুর দালান |
শ্রীশ্রী গোপীকান্ত ও রাধিকা বিগ্রহ |
সহায়ক গ্রন্থাবলি :
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
২. শান্তিপুর - পরিচয় ( ১ ম ভাগ ) : কালীকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
২. শান্তিপুর - পরিচয় ( ১ ম ভাগ ) : কালীকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
-------------------------
আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন