মহামায়া মন্দির, মহামায়াতলা ( মহামায়াপুর ), দক্ষিণ ২৪ পরগনা
শ্যামল কুমার ঘোষ
গড়িয়া ৫ নম্বর বাসস্ট্যাণ্ডের এক কিমি দক্ষিণে গড়িয়া-বারুইপুর বাস রাস্তায় ২২৮ নম্বর বাসস্ট্যাণ্ড। এই বাসস্ট্যাণ্ডের আগে একটা গলির মধ্যে মহামায়ার মন্দির অবস্থিত। জায়গাটির নাম মহামায়াপুর। কিন্তু লোকমুখে জায়গাটি মহামায়াতলা নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, দক্ষিণমুখী মূল মন্দিরটি আটচালা শৈলীর। গর্ভগৃহে প্রবেশের দুটি দরজা। একটি দক্ষিণ দিকে, আর একটি পূর্ব দিকে। মন্দিরের সামনে মন্দিরের সংযুক্ত একটি সমতল ছাদবিশিষ্ট নাটমন্দির ও পূর্ব দিকে একটি সমতল ছাদবিশিষ্ট ভোগ ঘর পরবর্তী কালে নির্মাণ করা হয়েছে।
মন্দিরটি আগে ছিল টালির ছাদবিশিষ্ট কাঁচা মন্দির। ১২১০ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে রাজপুরের জমিদার দুর্গারাম করচৌধুরী ( ১৭৫৬-১৮১৬ ) স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পাকা মন্দিরটি তৈরি করে দেন। সাগর চট্টোপাধ্যায় লিখিত 'দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পুরাকীর্তি' গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠালিপি ছিল। প্রতিষ্ঠালিপির পাঠ ছিল - 'শুভমস্তু শকাব্দ / .... ১২১০ / সন। ..শ্রী দুর্গারাম / কর দাসস্য '।
গর্ভগৃহে একটি বেদির উপর নিমকাঠের তৈরি দেবী মহামায়া দণ্ডায়মানা। দ্বিভুজা মূর্তি। দেবীর গায়ের রং হলুদ বর্ণ। মাথায় মুকুট, গায়ে নানা অলঙ্কার।
মন্দির প্রাঙ্গন পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। মন্দির চত্বরের এক ধারে একটি বিশাল বটগাছ। বটগাছের গোড়ার চার দিক গোল করে বাঁধানো। গাছের গোড়ায় মনস্কামনায় আশায় রঙিন সুতো জড়ানো। নিত্য পূজা ছাড়াও ২৩ শে জানুয়ারি মা মহামায়ার মহা সমারোহে বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বহু মানুষের সমাগম হয়।
![]() |
মহামায়া মন্দির |
![]() |
মন্দিরের শিখর |
![]() |
মন্দিরের গর্ভগৃহের দৃশ্য |
![]() |
মা মহামায়া - ১ |
![]() |
মা মহামায়া - ২ |
কী ভাবে যাবেন ?
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
joy mata durga bless me Yours Pranamika devi Nagaon Assam
উত্তরমুছুন