বনকাটি গ্রামের মন্দির, বনকাটি, কাঁকসা, পশ্চিম বর্ধমান
শ্যামল কুমার ঘোষ
পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা থানার অন্তর্গত একটি প্রাচীন ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম বনকাটি। বাসে পানাগড়-ইলামবাজার রাস্তার ১১ মাইল স্টপেজে নেমে টোটোতে এই গ্রামে যাওয়া যায়। ঘন জঙ্গল কেটে বসতি স্থাপন করা হয়েছিল বলে গ্রামের নাম হয় বনকাটি। বনকাটির পঞ্চরত্ন গোপালেশ্বর মন্দির সম্বন্ধে আগেই লিখেছি। এখানে অন্যান্য মন্দিরগুলি সম্বন্ধে আলোচনা করব। গোপালেশ্বর মন্দির সম্বন্ধে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন।
পঞ্চরত্ন গোপালেশ্বর মন্দির, বনকাটি
গ্রামের মন্দিরতলায় এখন পাঁচটি শিব মন্দির ও একটি কালী মন্দির আছে। রায় বংশের আদি পুরুষ লক্ষ্মীকান্ত রায় এই মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাস্তা থেকে মন্দির ক্ষেত্রে ঢুকলে বাঁ দিকে দেখা যাবে একই ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত তিনটি দেউল। প্রথম মন্দিরটি গোপেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের দরজার খিলানের উপর কালী মূর্তি মহাদেবের বুকের উপর দণ্ডায়মান। দ্বিতীয় উমেশ্বর মন্দিরের দরজার খিলানের উপর সপরিবারে দুর্গা মূর্তির টেরাকোটা ফলক দেখা যায়। তৃতীয় মন্দিরটি কালীশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের দরজার খিলানের উপর ষোড়শী মূর্তি দেখা যায়। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, তিনটি মান্দিরই পূর্বমুখী এবং প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৫৬ শকাব্দ বা ১৮৩৪ খ্রীষ্টাব্দ।
এই মন্দির তিনটি ছাড়িয়ে ডান দিকে ঘুরলে বাঁ দিকে কালী মন্দির এবং ডান একই ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত দুটি আটচালা শিব মন্দির দেখা যাবে। প্রথম মন্দিরটি উমেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের দরজার খিলানের উপর গনেশ মূর্তির টেরাকোটা ফলক দেখা যায়। দ্বিতীয় মন্দিরটি বিশ্বেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের দরজার খিলানের উপর মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি দেখা যায়। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, দুটি মান্দিরই উত্তরমুখী এবং প্রতিষ্ঠাকাল ১৭০৪ শকাব্দ বা ১৭৮২ খ্রীষ্টাব্দ।
মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ১৩.১২.২০১৯
********
পঞ্চরত্ন গোপালেশ্বর মন্দির, বনকাটি
গ্রামের মন্দিরতলায় এখন পাঁচটি শিব মন্দির ও একটি কালী মন্দির আছে। রায় বংশের আদি পুরুষ লক্ষ্মীকান্ত রায় এই মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাস্তা থেকে মন্দির ক্ষেত্রে ঢুকলে বাঁ দিকে দেখা যাবে একই ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত তিনটি দেউল। প্রথম মন্দিরটি গোপেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের দরজার খিলানের উপর কালী মূর্তি মহাদেবের বুকের উপর দণ্ডায়মান। দ্বিতীয় উমেশ্বর মন্দিরের দরজার খিলানের উপর সপরিবারে দুর্গা মূর্তির টেরাকোটা ফলক দেখা যায়। তৃতীয় মন্দিরটি কালীশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের দরজার খিলানের উপর ষোড়শী মূর্তি দেখা যায়। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, তিনটি মান্দিরই পূর্বমুখী এবং প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৫৬ শকাব্দ বা ১৮৩৪ খ্রীষ্টাব্দ।
পূর্বমুখী তিনটি দেউল |
গোপেশ্বর শিব মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
গোপেশ্বর শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাফলক |
দ্বিতীয় শিব মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
দ্বিতীয় শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাফলক |
কালীশ্বর শিব মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
কালীশ্বর শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাফলক |
এই মন্দির তিনটি ছাড়িয়ে ডান দিকে ঘুরলে বাঁ দিকে কালী মন্দির এবং ডান একই ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত দুটি আটচালা শিব মন্দির দেখা যাবে। প্রথম মন্দিরটি উমেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের দরজার খিলানের উপর গনেশ মূর্তির টেরাকোটা ফলক দেখা যায়। দ্বিতীয় মন্দিরটি বিশ্বেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরের দরজার খিলানের উপর মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি দেখা যায়। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, দুটি মান্দিরই উত্তরমুখী এবং প্রতিষ্ঠাকাল ১৭০৪ শকাব্দ বা ১৭৮২ খ্রীষ্টাব্দ।
উত্তরমুখী দুটি শিব মন্দির |
উমেশ্বর শিব মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
উমেশ্বর শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাফলক |
বিশ্বেশ্বর শিব মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি |
বিশ্বেশ্বর শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাফলক |
মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ১৩.১২.২০১৯
********
খুব সুন্দর তথ্য সমৃদ্ধ লেখা, অনেক ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন