শ্রীশ্রী মদনমোহন বলরাম জিউ মন্দির, রুদ্রাণী, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
হুগলি জেলার ধনিয়াখালি ব্লকের একটি গ্রাম রুদ্রাণী। এখানকার মদনমোহন বলরাম মন্দির বিখ্যাত। কথিত আছে, ঠাকুর বৈরাগ্য নামে এক সাধক বৃন্দাবন থেকে মদনমোহনকে এখানে এনে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বৃন্দাবনের গিরিগোবর্ধনের গুহায় এই দারু বিগ্রহ পেয়েছিলেন। রুদ্রাণীতে তিনি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে বিগ্রহের সেবা-পুজো করতে থাকেন। পাঠান নৃপতি দাউদ খাঁ মোঘলদের তাড়া খেয়ে তাঁর আশ্রমে এসে আশ্রয় নেন। তিনি এখানে কিছুদিন নিরাপদে থাকেন। যাবার সময় তিনি ঠাকুর বৈরাগ্যকে বেশ কিছু অর্থ দিয়ে যান। সেই অর্থে মন্দির নির্মিত হয়।
বহুবার সংস্কৃত মন্দিরটি দালান ধরণের। ২০১৭ সালে বর্তমান মন্দিরটি সোমসপুরের প্রফেসর ( ডঃ ) গোপাল চন্দ্র ভর ও শ্রী দুলাল চন্দ্র ভর তাঁদের বাবা-মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে পুনরায় নির্মাণ করে দেন। মন্দিরের একটি কক্ষে নীলবর্ণ মদনমোহন ও শুভ্রবর্ণ বলরাম ও অন্য একটি কক্ষে স্বর্ণবর্ণ রাধিকা ও রেবতী মূর্তি প্রতিষ্ঠিত। চারটিই দারুমূর্তি। মন্দিরে ঠাকুর বৈরাগ্যের সমাধি আছে।
হাওড়া-বর্ধমান ( কর্ড ) লাইনের একটি স্টেশন ধনিয়াখালি হল্ট। রেলপথে দূরত্ব ৪৮ কিমি। এই স্টেশন থেকে অটোতে সহজেই মন্দিরে যাওয়া যায়। ১৭ নম্বর ( চুঁচুড়া-ধনিয়াখালি ) বাসে রুদ্রাণীর মল্লিকপুর বাজারে নেমে উত্তর দিকের রাস্তা ধরে কিছুটা হাঁটলেই মন্দির।
সহায়ক গ্রন্থাবলী :
১) হুগলি জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ ( ২ য় খণ্ড ) : সুধীরকুমার মিত্র
২) হুগলি জেলার পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
--------------------------------------------------------
বহুবার সংস্কৃত মন্দিরটি দালান ধরণের। ২০১৭ সালে বর্তমান মন্দিরটি সোমসপুরের প্রফেসর ( ডঃ ) গোপাল চন্দ্র ভর ও শ্রী দুলাল চন্দ্র ভর তাঁদের বাবা-মায়ের স্মৃতি রক্ষার্থে পুনরায় নির্মাণ করে দেন। মন্দিরের একটি কক্ষে নীলবর্ণ মদনমোহন ও শুভ্রবর্ণ বলরাম ও অন্য একটি কক্ষে স্বর্ণবর্ণ রাধিকা ও রেবতী মূর্তি প্রতিষ্ঠিত। চারটিই দারুমূর্তি। মন্দিরে ঠাকুর বৈরাগ্যের সমাধি আছে।
হাওড়া-বর্ধমান ( কর্ড ) লাইনের একটি স্টেশন ধনিয়াখালি হল্ট। রেলপথে দূরত্ব ৪৮ কিমি। এই স্টেশন থেকে অটোতে সহজেই মন্দিরে যাওয়া যায়। ১৭ নম্বর ( চুঁচুড়া-ধনিয়াখালি ) বাসে রুদ্রাণীর মল্লিকপুর বাজারে নেমে উত্তর দিকের রাস্তা ধরে কিছুটা হাঁটলেই মন্দির।
![]() |
মদনমোহন বলরাম মন্দির |
সহায়ক গ্রন্থাবলী :
১) হুগলি জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ ( ২ য় খণ্ড ) : সুধীরকুমার মিত্র
২) হুগলি জেলার পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
----------------------------------------------------------
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন