শ্রী শ্রী রাধারমণ জিউ মন্দির, মঠ বাড়ি, শান্তিপুর, নদিয়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
শান্তিপুরের বিগ্রহ বাড়িগুলোর মধ্যে মঠবাড়ি অন্যতম। এই বাড়ির ইষ্টদেব শ্রী শ্রী রাধারমণ মঠ বাড়ির ঠাকুর দালানে অবস্থিত একটি কাঠের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত। কথিত আছে যে এই বাড়ির পূর্বপুরুষরা হুগলি জেলার জাহ্নবীনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ঐ বংশের কেউ গঙ্গা তীরে রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি পরিত্যক্ত অবস্থায় পান। সেই মূর্তি বাড়িতে এনে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁরা ছিলেন তিলি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তণ্ডুল ব্যবসায়ী। ঠাকুর প্রতিষ্ঠার পর ব্যবসায়ে তাঁদের প্রভূত উন্নতি হয়। শোনা যায় যে এক সময় বখতিয়ার খিলজী তাঁর সৈন্যদের জন্য রসদের সমস্যায় পড়লে এঁরা সেই সংকট থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। কৃতজ্ঞতাবশত তিনি এই পরিবারকে 'মঠ' উপাধি প্রদান করেন, শান্তিপুরে নিয়ে এসে প্রচুর জমিজমা দান করেন এবং 'মঠবাড়ি' নির্মাণ করে দেন।
বিগ্রহের নিত্য পূজা ছাড়াও এখানে অন্যান্য বৈষ্ণব-উৎসব ও সাড়ম্বরে রাসোৎসব পালন করা হয়। এই বাড়ির রাসোৎসবের বিশেষত্ব হল, বিদ্যুৎ বর্জিত আলো। রাস-অঙ্গন সেজে ওঠে প্রাচীনকালের বেলোয়ারি ফানুস এবং মোমবাতির স্নিগ্ধ আলোয়। ভাঙ্গারাসের শোভাযাত্রায় এই বাড়ি অংশ নেয় না।
শান্তিপুরের মঠবাড়ি যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন। রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই। স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান পটেশ্বরী পাড়ার কাছে অবস্থিত মঠবাড়ি। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে। তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন।
সহায়ক গ্রন্থ :
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
শান্তিপুরের বিগ্রহ বাড়িগুলোর মধ্যে মঠবাড়ি অন্যতম। এই বাড়ির ইষ্টদেব শ্রী শ্রী রাধারমণ মঠ বাড়ির ঠাকুর দালানে অবস্থিত একটি কাঠের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত। কথিত আছে যে এই বাড়ির পূর্বপুরুষরা হুগলি জেলার জাহ্নবীনগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ঐ বংশের কেউ গঙ্গা তীরে রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি পরিত্যক্ত অবস্থায় পান। সেই মূর্তি বাড়িতে এনে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁরা ছিলেন তিলি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং তণ্ডুল ব্যবসায়ী। ঠাকুর প্রতিষ্ঠার পর ব্যবসায়ে তাঁদের প্রভূত উন্নতি হয়। শোনা যায় যে এক সময় বখতিয়ার খিলজী তাঁর সৈন্যদের জন্য রসদের সমস্যায় পড়লে এঁরা সেই সংকট থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। কৃতজ্ঞতাবশত তিনি এই পরিবারকে 'মঠ' উপাধি প্রদান করেন, শান্তিপুরে নিয়ে এসে প্রচুর জমিজমা দান করেন এবং 'মঠবাড়ি' নির্মাণ করে দেন।
বিগ্রহের নিত্য পূজা ছাড়াও এখানে অন্যান্য বৈষ্ণব-উৎসব ও সাড়ম্বরে রাসোৎসব পালন করা হয়। এই বাড়ির রাসোৎসবের বিশেষত্ব হল, বিদ্যুৎ বর্জিত আলো। রাস-অঙ্গন সেজে ওঠে প্রাচীনকালের বেলোয়ারি ফানুস এবং মোমবাতির স্নিগ্ধ আলোয়। ভাঙ্গারাসের শোভাযাত্রায় এই বাড়ি অংশ নেয় না।
শান্তিপুরের মঠবাড়ি যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন। রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই। স্টেশন থেকে রিকশায় বা টোটোতে পৌঁছে যান পটেশ্বরী পাড়ার কাছে অবস্থিত মঠবাড়ি। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে। তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন।
![]() |
মঠ বাড়ির ঠাকুর দালান |
![]() |
শ্রীশ্রী রাধারমণ ও রাধিকা বিগ্রহ |
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
---------------------------
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন