নীলকন্ঠেশ্বরী মন্দির, গোন্দলপাড়া, চন্দননগর, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
হাওড়া-ব্যাণ্ডেল রেলপথে চন্দননগর ত্রয়োদশতম রেলস্টেশন। রেলপথে হাওড়া থেকে দূরত্ব ৩২.৬ কিমি। চন্দননগর নামটি সম্ভবত 'চন্দ্র নগর' নাম থেকে এসেছে। কেউ কেউ বলেন যে গঙ্গানদী এখানে চন্দ্রাকার বলে প্রথমে 'চন্দ্রনগর' এবং তার থেকে 'চন্দননগর' হয়েছে। আবার অনেকের মতে একসময় এখানে চন্দনকাঠের বড় বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। তা থেকে 'চন্দননগর' নামটির উদ্ভব। এক সময় শহরটি ফরাসীদের অধিকারে থাকার জন্য নাম হয় 'ফরাসডাঙা'।
চন্দননগরের গোন্দলপাড়ায় নীলকন্ঠেশ্বরীর মন্দির ১৮৩৫ শকাব্দে, ইং ১৯১৩ সালের ১০ ই জুলাই ( ১৩২০ বঙ্গাব্দের ২৬ শে আষাঢ় ) শিবনাথ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী শরৎকুমারী দেবী প্রতিষ্ঠা করেন। উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, দক্ষিণমুখী, সমতল কার্নিসযুক্ত পঞ্চশিখর মন্দির। বাংলায় ইংরেজ রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলার মন্দির শিল্পে ইউরোপীয় প্রভাবের সূত্রপাত হয় এবং তার ফলে বাংলা মন্দিরে বক্র চালের পরিবর্তে সমতল ছাদের সৃষ্টি হয়। গর্ভগৃহের ছাদের নিচের দিকটি গম্বুজাকৃতি। দ্বিতলের পঞ্চশিখরযুক্ত কক্ষটি গর্ভগৃহের আবরণ হিসাবে নির্মিত। উপরের কক্ষের দুপাশে দুটি চালামন্দির স্থাপন করা হয়েছে। এর নিচে দুটি ছোট ছোট ঘর। বাঁদিকের ঘরে বাণেশ্বর নামক কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ নিত্য পূজিত। ডান দিকের ঘরটিতে বর্তমানে কোন বিগ্রহ নেই। মন্দিরের সামনে উঠোন ও তিন দিকে চকমিলানো অনেকগুলি ঘর। উঠোনে কয়েকটি গাছ। চূড়াগুলি যদি না থাকতো তবে মন্দিরের পরিবর্তে এটিকে বাসভবন বলে মনে হত। মন্দিরটি নির্মাণে প্রায় এক লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।
মন্দিরের গর্ভগৃহে কষ্টিপাথরের নীলকন্ঠেশ্বরী কালীর সুন্দর মূর্তি নিত্য পূজিত।
চন্দননগরের গোন্দলপাড়ায় নীলকন্ঠেশ্বরীর মন্দির ১৮৩৫ শকাব্দে, ইং ১৯১৩ সালের ১০ ই জুলাই ( ১৩২০ বঙ্গাব্দের ২৬ শে আষাঢ় ) শিবনাথ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী শরৎকুমারী দেবী প্রতিষ্ঠা করেন। উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, দক্ষিণমুখী, সমতল কার্নিসযুক্ত পঞ্চশিখর মন্দির। বাংলায় ইংরেজ রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলার মন্দির শিল্পে ইউরোপীয় প্রভাবের সূত্রপাত হয় এবং তার ফলে বাংলা মন্দিরে বক্র চালের পরিবর্তে সমতল ছাদের সৃষ্টি হয়। গর্ভগৃহের ছাদের নিচের দিকটি গম্বুজাকৃতি। দ্বিতলের পঞ্চশিখরযুক্ত কক্ষটি গর্ভগৃহের আবরণ হিসাবে নির্মিত। উপরের কক্ষের দুপাশে দুটি চালামন্দির স্থাপন করা হয়েছে। এর নিচে দুটি ছোট ছোট ঘর। বাঁদিকের ঘরে বাণেশ্বর নামক কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ নিত্য পূজিত। ডান দিকের ঘরটিতে বর্তমানে কোন বিগ্রহ নেই। মন্দিরের সামনে উঠোন ও তিন দিকে চকমিলানো অনেকগুলি ঘর। উঠোনে কয়েকটি গাছ। চূড়াগুলি যদি না থাকতো তবে মন্দিরের পরিবর্তে এটিকে বাসভবন বলে মনে হত। মন্দিরটি নির্মাণে প্রায় এক লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।
মন্দিরের গর্ভগৃহে কষ্টিপাথরের নীলকন্ঠেশ্বরী কালীর সুন্দর মূর্তি নিত্য পূজিত।
মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ২৩.০৯.২০১৭
******
![]() |
নীলকন্ঠেশ্বরীর মন্দির |
![]() |
মন্দিরের শিখর - ১ |
![]() |
মন্দিরের শিখর - ২ |
![]() |
নীলকন্ঠেশ্বরী বিগ্রহ - ১ |
![]() |
নীলকন্ঠেশ্বরী বিগ্রহ - ২ |
সহায়ক গ্রন্থ :
১) হুগলি জেলার দেব দেউল : সুধীর কুমার মিত্র
পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য কালী মন্দির সম্বন্ধে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন / লিংকের উপর আঙুল দিয়ে টোকা দিন :
--------------------------------------------------------------
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
--------------------------------------------------------------
Mandir e batsorik puja kobe hoy?
উত্তরমুছুন