রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

Panihati Rasbari and Radhagobinda Jiu Temple, Panihati, North 24 Parganas

পানিহাটি  রাসবাড়ি  এবং  রাধাগোবিন্দ  জিউ  মন্দির,  পানিহাটি,  উত্তর  ২৪ পরগনা

                          শ্যামল  কুমার  ঘোষ 

            পানিহাটির  দণ্ডমহোৎসবতলার  কিছুটা  আগে  বাজারের  ঘাট।  লর্ড  ক্লাইভের  আমলে  রানি  ভবানীর  দেওয়ান  গৌরীচরণ  রায়চৌধুরী  ( সাবর্ণ  গোত্র )  পানিহাটির  জমিদারি  পান।  গৌরীচরণের  ছেলে  জয়গোপাল  রায়চৌধুরী  এই  বাজার  ও  ঘাট  প্রতিষ্ঠা  করেন।  বাজারের  কাছেই  একটি  পুরান  দোতালা  দালান।  দোতালার  একটি  ঘরে  রায়চৌধুরীদের  রাধাগোবিন্দ  বিগ্রহ  রয়েছেন।  রাধাগোবিন্দের  প্রাচীন  মন্দির  ভেঙে  যাওয়ার  পর  থেকেই  ঠাকুর  এই  দোতালায়  আশ্রয়  নিয়েছেন।  গোবিন্দ  বিগ্রহ  কষ্টিপাথরের।  রাধা  মূর্তি   অষ্টধাতুর।  কাছেই  একটি  আটকোনা  ও  নয়  চূড়াযুক্ত রাসমঞ্চ  ও  চারটি  আটচালা  শিবমন্দির  আছে।

             মন্দিরে  নিত্য  পূজা  ছাড়াও  জন্মাষ্টমী,  দোলযাত্রা,  স্নানযাত্রা,  ঝুলন,  রাসযাত্রা  ইত্যাদি  উৎসব  অনুষ্ঠিত  হয়।  রাসের  সময়  বিগ্রহ  রাসমঞ্চে  বসিয়ে  রাসযাত্রা  উৎসব  পালন  করা  হয়। 

কী  ভাবে  যাবেন ?

            যদি  আপনি  পানিহাটির  গিরিবালা  ঠাকুরবাড়ি  দেখে  এখানে  আসতে  চান  তবে  হাওড়া,  শিয়ালদহ  বা  শ্যামবাজার  থেকে  বি. টি. রোড  গামী  বাসে  উঠে  পানিহাটির  মোল্লার  হাটে  নামুন।  সেখান  থেকে  টোটোতে  গিরিবালা  ঠাকুরবাড়ি।  হেঁটেও  আসতে  পারেন।  শিয়ালদহ  থেকে  ট্রেনে  এলে  আগরপাড়ায়  নামুন।  সেখান  থেকে  অটোতে  গিরিবালা  ঠাকুরবাড়ি।  গিরিবালা  ঠাকুরবাড়ি  দেখে  গঙ্গার  ধার  দিয়ে  হেঁটে  পানিহাটি  বাজারের  ঘাট।  কাছেই  রাসমঞ্চ। 

            যদি  আপনি  কেবল  রাসমঞ্চ,  শিবমন্দির  ও  রাধাগোবিন্দ  বিগ্রহ  দেখতে  চান  তবে  হাওড়া,  শিয়ালদহ  বা  শ্যামবাজার  থেকে  বি. টি. রোড  গামী  বাসে  উঠে  সোদপুরে  নামুন।  সেখান  থেকে  অটোতে  পানিহাটি  ফেরিঘাট।  শিয়ালদহ  থেকে  ট্রেনে  এলে  সোদপুরে  নামুন।  সেখান  থেকে  অটোতে  পানিহাটি  ফেরিঘাট।  কাছেই  রাসমঞ্চ।  কোন্নগর  ফেরিঘাট  থেকে  গঙ্গা  পেড়িয়ে  পানিহাটি  ফেরিঘাটে  আসতে  পারেন।      

            মন্দিরটি  পরিদর্শনের  তারিখ :  ২৫.০৮.২০২১  

রাসমঞ্চ 

দোতালা দালান ( এখানেই দোতালায় রাধাগোবিন্দ থাকেন ) 

দেওয়ালে লাগানো ফলক 

রাধাগোবিন্দ বিগ্রহ - ১

রাধাগোবিন্দ বিগ্রহ - ২

চারটি আটচালা শিবমন্দির 

  সহায়ক  গ্রন্থ /  সূত্র : 

                 ১)  পশ্চিমবঙ্গ  ভ্রমণ  ও  দর্শন :  ভূপতিরঞ্জন  দাস         

                                               *********  

Giribala Thakurbari, Kamarhati, Panihati, North 24 Parganas

 গিরিবালা  ঠাকুরবাড়ি,  কামারহাটি,  পানিহাটি,  উত্তর  ২৪  পরগনা

                               শ্যামল  কুমার  ঘোষ

            ব্যারাকপুর  ট্রাঙ্ক  রোডে  অবস্থিত  আগরপাড়ার  মোল্লার  হাটের  মোড়  থেকে  হলধর  বোস  রোড  ধরে  গঙ্গার  দিকে  হাঁটলে  গঙ্গার  ধারে  পড়বে  গিরিবালা  ঠাকুরবাড়ি।  অনেকে  একে  ছোট  দক্ষিনেশ্বর  বলে  থাকেন।  এই  মন্দিরের  অবস্থান  দক্ষিণেশ্বরের  মত  গঙ্গাতীরে  এবং  শিবমন্দিরগুলির  গঠনশৈলী  মোটামুটি  একই  রকম।  দক্ষিণেশ্বরের  মূল  দেবতা  দক্ষিণাকালী,  কিন্তু  এখানকার  মূল  দেবতা  রাধাগোবিন্দ  জিউ।  মন্দিরের  পশ্চিম  দিকে  গিরিবালা  ঘাট।  আছে  নহবত  খানা,  নাটমন্দির।  মন্দিরটি  নির্মাণ  করতে  সেই  সময়ে  প্রায়  সাড়ে  তিন  লক্ষ  টাকা  খরচ  হয়েছিল।   

            মন্দিরটি  বাংলা  ১৩১৮  সালের  (  ১৯১১  খ্রিষ্টাব্দে )  ১৮ই  জ্যৈষ্ঠ  রানি  রাসমনির  নাতবৌ,  কলকাতার  জানবাজারের  গোপালকৃষ্ণ  দাসের  বিধবা  স্ত্রী  গিরিবালা  দাসী  প্রতিষ্ঠা  করেন।  পাঁচিল  দিয়ে  ঘেরা  মন্দির  প্রাঙ্গণের  ঠিক  মাঝখানে  রাধাগোবিন্দজির  মন্দির।  উঁচু  ভিত্তিবেদির  উপর  স্থাপিত,  ত্রিখিলান  প্রবেশপথযুক্ত,  দক্ষিণমুখী  মন্দিরটি  পঞ্চরত্ন  শৈলীর।  গর্ভগৃহের  সামনে  অলিন্দ।  মন্দিরে  ওঠার  সিঁড়ির  দুপাশে  দুটি  পাথরের  নারীমূর্তি,  হাতে  কাচের  বাতিদান।  মন্দিরের  চারিদিকে  বাঁকানো  কার্নিসের  নিচে  সুন্দর  পঙ্খের  কাজ  আছে।  

            মন্দিরের  সামনে  বড়  নাটমন্দির।  প্রাঙ্গণের  পশ্চিমদিকে   ছটি  আটচালা  শিবমন্দির।  শিবমন্দিরগুলির  নাম  ( দক্ষিণ  দিক  থেকে  উত্তরে ) :  রামেশ্বর,  রাজেশ্বর,  গোপেশ্বর,  তারকেশ্বর,  ভুবনেশ্বর  ও  গিরিশ্বর।  ১ নং  রামেশ্বর  শিবমন্দিরের  পূর্ব  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  যুগলমিলন  মূর্তি  এবং  পশ্চিম  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  কৃষ্ণ-বলরাম  মূর্তি।  ২ নং  রাজেশ্বর  শিবমন্দিরের  পূর্ব  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  মূর্তিটি  ভেঙে  গেছে।  এই  শিবমন্দিরের  পশ্চিম  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  রামরাজার  মূর্তি।  ৩ নং  গোপেশ্বর  শিবমন্দিরের  পূর্ব  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  রাইরাজার  মূর্তি।  এই  শিবমন্দিরের  পশ্চিম  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে নন্দীর  পিঠে  হরপার্বতী  মূর্তি,  এ  ছাড়াও  রয়েছেন  একজন  শিঙ্গাবাদক  ও  একজন  শঙ্খবাদক।  ৪ নং  তারকেশ্বর  শিবমন্দিরের  পূর্ব  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  অনন্ত  শয়ানে  বিষ্ণু।  ৫ নং  ভুবনেশ্বর  শিব মন্দিরের  পূর্ব  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  রাইমিলন  মূর্তি।  এই  মন্দিরের  পশ্চিম  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  শিব  ও  অন্নপূর্ণার  মূর্তি।  ৬ নং  গিরিশ্বর  মন্দিরের  পূর্ব  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  কৃষ্ণের  কালীয়  দমন  মূর্তি।  এই  মন্দিরের  পশ্চিম  দিকের  দরজার  খিলানের  উপর  রয়েছে  শিবের বাহন নন্দীর  পিঠে  শিব-গণেশজননী  ও  ইন্দ্রের বাহন  ঐরাবতের  পিঠে  ইন্দ্র-শচি।  এখানে বৃষ-গজের  একই মাথা।

            মন্দিরের  গর্ভগৃহে  কষ্টিপাথরের  কৃষ্ণ,  অষ্টধাতুর  রাধা,  গণেশ,  নারায়ণ  শিলা  ও  অন্যান্য  দেবদেবীর  মূর্তি  প্রতিষ্ঠিত  ও  নিত্যপূজিত।  মন্দির  প্রতিষ্ঠার  সময়  যে  রাধারানির  মূর্তিটি  ছিল  সে  মূর্তিটি  চুরি  হওয়ার  পরে  শ্বেতপাথরের  একটি  রাধারানি  মূর্তি  পূজা  করা  হত।  রাধারানিকে  স্নান  করানোর  সময়  পুরোহিতের  অসাবধানতায়  তা  ভেঙে  যায়।  সেই  ভাঙা  মূর্তিটি  জোড়া  দিয়ে  দীর্ঘদিন  পূজা  করা  হয়।  ১৯৮৫  সালের  ২০ শে  জানুয়ারি  গিরিবালা  দাসীর  বংশধররা  মন্দিরের  রক্ষণাবেক্ষণের  দায়িত্ব  ভোলাগিরি  আশ্রম  কর্তৃপক্ষের  হাতে  অর্পণ  করেন।  তারপর  স্বামী  শিবানন্দ  গিরি  মহারাজ  এই  মন্দিরে  ভারপ্রাপ্ত  হয়ে  আসেন।  তিনি  বৃন্দাবন  ধাম  থেকে  একটি  অষ্টধাতুর  রাধারানির  মূর্তি  এনে  অভিষেক  করিয়ে  পূজার  ব্যবস্থা  করেন।  এখনও  সেই  মূর্তিই  পূজিত  হচ্ছেন।

            মন্দিরে  নিত্য  পূজা  ছাড়াও  মন্দিরের  প্রতিষ্ঠা  দিবসের  উৎসব,  রাধাষ্টমী,  জন্মাষ্টমী,  দোলযাত্রা,  স্নানযাত্রা,  ঝুলন,  রাসযাত্রা  ইত্যাদি  উৎসব  অনুষ্ঠিত  হয়।  তবে  আগেকার  মত  এখন  আর  সেরকম  জাঁকজমক  হয়  না।  শিবরাত্রির  দিন  সারারাত  শিবমন্দিরগুলিতে  পূজা  অনুষ্ঠিত  হয়।

            মন্দিরের  পূর্ব  দিকে  সারি  সারি  ঘর।  এগুলি  নানা  কাজে  ব্যবহৃত  হয়।  মন্দিরের  পরিবেশ  খুবই  সুন্দর।  এক  দিনের  ভ্রমণের  জন্য  অবশ্যই  এটি  নির্বাচন  করা  যেতে  পারে। 

  কী  ভাবে  যাবেন ?

            হাওড়া,  শিয়ালদহ  বা  শ্যামবাজার  থেকে  বি. টি. রোড  গামী  বাসে  উঠে  পানিহাটির  মোল্লার  হাটে  নামুন।  সেখান  থেকে  টোটো  পাবেন।  হেঁটেও  যেতে  পারেন।  শিয়ালদহ  থেকে  ট্রেনে  এলে  আগরপাড়ায়  নামুন।  সেখান  থেকে  অটো। 

            মন্দিরটি  পরিদর্শনের  তারিখ :  ২৫.০৮.২০২১

গোপেশ্বর শিবমন্দিরের সামনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( রাইরাজা )

রাধাগোবিন্দ মন্দির 

মন্দিরের সামনের নিচের দিকের বিন্যাস 

সিঁড়ির এক পাশের নারীমূর্তি

সিঁড়ির অপর পাশের নারীমূর্তি

মন্দিরের সামনের বাঁকানো কার্নিসের নিচের কাজ 

সামনের বাঁকানো কার্নিসের নিচের কাজ ( বড় করে )

পশ্চিম দিকের দেওয়ালের কাজ 

পশ্চিম দিকের খিলানের উপরের কাজ 

উত্তর দিকের খিলানের উপরের কাজ 


পূর্ব দিকের দেওয়ালের কাজ

রামেশ্বর শিবমন্দির 

রামেশ্বর শিবমন্দিরের সামনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( যুগলমিলন ) 

রামেশ্বর শিবমন্দিরের পিছনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( কৃষ্ণ ও বলরাম )

রাজেশ্বর শিবমন্দিরের পিছনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( রামরাজা )

গোপেশ্বর শিবমন্দির 

গোপেশ্বর শিবমন্দিরের সামনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( রাইরাজা )

গোপেশ্বর শিবমন্দিরের পিছনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( নন্দী পৃষ্ঠে শিব-পার্বতী )

তারকেশ্বর শিবমন্দিরের সামনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( অনন্ত শয়ানে বিষ্ণু )

তারকেশ্বর শিবমন্দিরের পিছনের দরজার খিলানের উপরের কাজ


ভুবনেশ্বর শিবমন্দিরের সামনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( রাইমিলন )

গিরিশ্বর শিবমন্দিরের পিছনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
                ( শিব ও অন্নপূর্ণা )               
গিরিশ্বর শিবমন্দিরের সামনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( কৃষ্ণের কালীয় দমন )

ভুবনেশ্বর শিবমন্দিরের পিছনের দরজার খিলানের উপরের কাজ
( হরিহর )

রাধাগোবিন্দ ও অন্যান্য বিগ্রহ 

রাধা ও গোবিন্দ বিগ্রহ - ১

রাধা ও গোবিন্দ বিগ্রহ - ২

 সহায়ক  গ্রন্থ /  সূত্র : 

                 ১)  পশ্চিমবঙ্গ  ভ্রমণ  ও  দর্শন :  ভূপতিরঞ্জন  দাস 
                 ২)  পানিহাটি  পৌরসভার  ওয়েবসাইট 
                 ৩)  শতবর্ষে  গিরিবালা  ঠাকুরবাড়ী :  কৃশানু  ভট্টাচার্য্য 

                                               ********* 

শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১

Bhabani Kali Temple / Trananath Babu's Kali Bari, Panihati, North 24 Parganas

ভবানী  কালীমন্দির /  ত্রাণনাথ  কালী  বাড়ি,  পানিহাটি,  উত্তর  ২৪  পরগনা  

                   শ্যামল  কুমার  ঘোষ

            ভবানী  কালী  মন্দির  পানিহাটি  ফেরিঘাটের  কাছে অবস্থিত  একটি  প্রাচীন  কালী  মন্দির।  যদিও  মন্দিরটি  ত্রাণনাথ  বাবুর  কালীবাড়ি  নামেই  বেশি  পরিচিত।  উঁচু  ভিত্তিবেদির  স্থাপিত,  ত্রিখিলান  প্রবেশপথযুক্ত,  দক্ষিণমুখী  মন্দিরটি  পঞ্চরত্ন  শৈলীর।  পঞ্চরত্নের  শিখরগুলি  রেখ  ধরণের  খাঁজ  কাটা।  মন্দিরের  কার্নিস  সোজা।  গর্ভগৃহের  সামনে  অলিন্দ।  গর্ভগৃহে  মা  ভবানীর  কষ্টিপাথরে  নির্মিত  বিগ্রহ  একটি  কাঠের  সিংহাসনে  প্রতিষ্ঠিত  ও  নিত্যপূজিত।  বিগ্রহ  আগে  ছিল  একটি  রুপোর  সিংহাসনে।  ১৯৭৫  সালে  সিংহাসনটি  চুরি  যায়।  মন্দিরে  তিনটি  আটচালা,  পশ্চিমমুখী  শিবমন্দিরে  তিনটি  শিবলিঙ্গ  প্রতিষ্ঠিত।  দুটি  শিবলিঙ্গ  কষ্টিপাথরের,  তৃতীয়টি  একটু  অন্যরকম।  গৌরীপট্ট  শ্বেতপাথরের  এবং  লিঙ্গভাগ  কষ্টিপাথরের।  এখানে  শিবশক্তি  রূপের  প্রকাশ  ঘটেছে।  মন্দিরের  কাছেই  আছে  ত্রাণনাথ  বাবুর  ঘাট।  গঙ্গার  ধারে  অবস্থিত  মন্দিরটির  প্রাকৃতিক  পরিবেশ  খুব  সুন্দর। 

            খ্রিষ্টীয়  তৃতীয়  শতকে  বেড়াচাঁপার  রাজা  চন্দ্রকেতু  গড়  স্থাপন  করে  তার  ভিতরে  ভবানী  নাম  এক  কালিকা  মূর্তি  প্রতিষ্ঠা  করেন।  মুসলমান  আক্রমণের  সময়  চন্দ্রকেতুর  বংশধরেরা  নিহত  হন।  জনৈক  ব্রহ্মচারী  বিগ্রহ  নিয়ে  বেড়াচাঁপা  থেকে  পালিয়ে  আসেন  এখানকার  গঙ্গাতীরে।  পঞ্চমুন্ডি  আসন  স্থাপন  করে  মায়ের  পূজা  আরাম্ভ  করেন।  ব্রহ্মচারীর  শিষ্য  পরম্পরায়  ওই  বিগ্রহ  পূজিত  হচ্ছিল।  শেষ  ব্রহ্মাচারী  ত্রাণনাথ  বাবুর  বাবা  নসীরাম  ( অন্যমতে,  মসিরাম )  বন্দোপাধ্যায়ের  হাতে  পূজার  ভার  দিয়ে  দেহ  রাখেন।  নসীরাম  বাবুর  পর  ত্রাণনাথ  বাবু  এই  মন্দির  নির্মাণ  করে  বিগ্রহ  প্রতিষ্ঠা  করেন।  অন্যমতে,  রাজা  চন্দ্রকেতু  পানিহাটিতে  একটি  গড়  বা  কেল্লা  তৈরি  করেন।  আর  সেই  গড়ে  মন্দির  স্থাপন  করে  প্রতিষ্ঠা  করেন  ভবানীর  মূর্তি।  কেল্লার  নাম  হয়  গড়  ভবানী।  পানিহাটির  উত্তর  অংশের  নাম  হয়  ভবানীপুর। মুসলিম  আক্রমণের  সময়  সেই  কালী  মূর্তি  হারিয়ে  যায়।  পরে  কলকাতার  বাগবাজারের  গাঙ্গুলি  পরিবারে  সেই  মূর্তি  খুঁজে  পাওয়া  যায়  এবং  গঙ্গা  তীরে  মন্দির  তৈরি  করে  প্রতিষ্ঠা  করা  হয়। 

     কী  ভাবে  যাবেন ?

            হাওড়া,  শিয়ালদহ  বা  শ্যামবাজার  থেকে  বি. টি. রোড  গামী  বাসে  উঠে  পানিহাটিতে  নামুন।  সেখান  থেকে  অটো  পাবেন।  শিয়ালদহ  থেকে  ট্রেনে  এলে  সোদপুরে  নামুন।  সেখান  থেকে  অটো। 

            মন্দিরটি  পরিদর্শনের  তারিখ :  ২৫.০৮.২০২১ 


ভবানী মন্দিরের  শিখর 

ভবানী কালীমন্দির ( পিছনের দিক থেকে তোলা )

ভবানী কালীমন্দির ( সামনে থেকে তোলা )

মা ভবানী - ১

মা ভবানী - ২

সহায়ক  গ্রন্থ /  সূত্র : 
                 ১)  পশ্চিমবঙ্গ  ভ্রমণ  ও  দর্শন :  ভূপতিরঞ্জন  দাস 
                 ২)  পানিহাটি  পৌরসভার  ওয়েবসাইট 

                                               *********
            পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য কালী মন্দির সম্বন্ধে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন / লিংকের উপর আঙুল দিয়ে টোকা দিন : 

         

শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১

Bramhamoyee Kali Temple / Pramanik Kali Bari, Kuthighat, Baranagar, North 24 Parganas

 প্রামাণিক  কালী  বাড়ি  /  ব্রহ্মময়ী  কালী  মন্দির,  কুঠিঘাট,  বরানগর,  উত্তর  ২৪  পরগনা 

                  শ্যামল  কুমার  ঘোষ             

            ব্রহ্মময়ী  কালী  মন্দির  বরাহনগরের  কুঠিঘাট  এলাকায় অবস্থিত  একটি  প্রাচীন  কালী  মন্দির।  যদিও  মন্দিরটি  প্রামাণিক  কালী  বাড়ি  নামেই  বেশি  পরিচিত।  ১২৫৯  বঙ্গাব্দের  ( ১৮৫৩ খ্রীষ্টাব্দ )  মাঘী  পূর্ণিমার  দিন  মন্দিরটি  প্রতিষ্ঠিত  হয়।  প্রতিষ্ঠা  করেন  স্থানীয়  দে  প্রামাণিক  পরিবারের  দুই  সদস্য  দুর্গাপ্রসাদ  দে  প্রামাণিক  ও  রামগোপাল  দে  প্রামাণিক।  সম্পর্কে  তাঁরা  কাকা-ভাইপো।  মন্দিরের  অধিষ্ঠাত্রী  দেবী  দক্ষিণা  কালী।  শ্রীরামকৃষ্ণ  এই  মন্দিরে  কয়েকবার  এসেছেন।  তিনি  ব্রহ্মময়ী  মাকে  'মাসি'  বলে  ডাকতেন।  এখানে  উল্লেখ্য,  দক্ষিণেশ্বরের  মন্দির  প্রতিষ্ঠিত  হয়  ১৮৫৫ খ্রীষ্টাব্দে।  অর্থাৎ,  দক্ষিণেশ্বরের  মন্দিরের  দু'  বছর  আগে  এই  মন্দির  প্রতিষ্ঠিত  হয়।  

           উঁচু  ভিত্তিবেদির  স্থাপিত,  ত্রিখিলান  প্রবেশপথযুক্ত,  দক্ষিণমুখী  মন্দিরটি  নবরত্ন  শৈলীর।  নবরত্নের  শিখরগুলি  রেখ  ধরণের  খাঁজ  কাটা।  মন্দিরের  কার্নিস  সোজা।  মন্দিরের  সামনে  লোহার  ফটক।  এই  ফটক  দিয়ে  ঢুকলে  দুপাশে  দুটি  ছোট  শিব  মন্দির।  আরও  একটু  সামনে  দুপাশে  পড়বে  দুটি  বড়  শিব  মন্দির।  শিব  মন্দিরগুলি  আটচালা  শৈলীর।  প্রতিটি  শিব  মন্দিরে  শিবলিঙ্গ  প্রতিষ্ঠিত।  মন্দিরের  সামনে  একটি  তুলসীমঞ্চ  আছে।

             মন্দিরের  বিগ্রহ  কষ্টিপাথরে  নির্মিত।  নির্মাণ  করেন  পূর্ব  বর্ধমান  জেলার  কাটোয়া  মহকুমার  অন্তর্গত  দাঁইহাটের  নবীন  ভাস্কর।  তিনি  তিনটি  মায়ের  মূর্তি  নির্মাণ  করেন।  প্রথম  মূর্তিটি  শিবচন্দ্র  গোহ  ১২৫৭  বঙ্গাব্দে ( ১৮৫০ খ্রীষ্টাব্দে )  উত্তর  কলকাতার  হাতিবাগান  অঞ্চলে  তাঁদের  পৈতৃক  বাড়ির  মন্দিরে  প্রতিষ্ঠা  করেন।  বাড়ির  ঠিকানা  ১১,  বৃন্দাবন  বসু  লেন।  এই  বিগ্রহের  নাম  'নিস্তারিণী'।  দ্বিতীয়  মূর্তিটি  প্রতিষ্ঠিত  হয়  এই  প্রামাণিক  কালী  বাড়িতে।  বলা  বাহুল্য,  তৃতীয়  মূর্তিটি  মা  ভবতারিনী  রূপে  প্রতিষ্ঠিত  হয়  দক্ষিণেশ্বরে। 

             মন্দিরে  বর্তমানে  দুজন  পুরোহিত  আছেন।  সকালের  জন্য  সোমনাথ  বড়াল  ও  সন্ধ্যায়  থাকেন  শম্ভুনাথ  ব্যানার্জী।  নিত্য  পূজা  ছাড়াও  মাঘী  পূর্ণিমার  প্রতিষ্ঠা-তিথিতে  ও  দীপাবলী  অমাবস্যায়  বিশেষ  পূজা  অনুষ্ঠিত  হয়।  এই  মন্দিরের  একটি  প্রথা  আছে।  কালীপূজার  দিন  অমাবস্যা  পড়ার  পর  পুরোহিত  আগে  দে  প্রামাণিকদের  কোন  শরিকের  বাড়িতে  লক্ষ্মী  পূজা  করবেন,  পরে  তিনি  মা  ব্রহ্মাময়ী  মন্দিরে  এসে  কালী  পূজা  করবেন।  অর্থাৎ  কালী  পূজার  রাতে  মা  ব্রহ্মময়ীর  পূজার  আগে  লক্ষ্মী  পূজা  করা  হয়।  কালের  নিয়মে  মন্দিরে  এখন  পশুবলি  হয়  না।  মন্দিরটি  "শ্রীশ্রীব্রহ্মময়ী  ট্রাস্ট " দ্বারা  পরিচালিত  হয়।

            মন্দিরে  প্রবেশ  করে  ডান  দিকের  দেওয়ালে  তাকালে  একটি  শ্বেতপাথরের  ফলক  দেখা  যায়।  তাতে  লেখা  কিছু  অংশ  এখানে  তুলে  দিলাম :

                    "মোহন  মূরতি  মার  যেন  গো  বালিকা। 

                    ব্রহ্মময়ী  নামে  খ্যাত  হইলা  কালিকা।। 

                    রাসমণির  মা  কালী,  এই  কালী  মাতা। 

                    এক  ব্যক্তি  উভয়ের  আছিলা  নির্মাতা।। 

                    সুমিষ্ট  মা,  মাসী  নাম  দিলা  সে  কারণে। 

                    প্রভু  রামকৃষ্ণ  ইহা  শুনেছি  শ্রবণে।। 

                    নির্মাতা  ও  প্রতিষ্ঠাতা  মহা  ভাগ্যবান। 

                    যাঁহাদের  কীর্ত্তি  হেরি  তুষ্ট  ভগবান।। "    

      কী  ভাবে  যাবেন ?

            হাওড়া,  শিয়ালদহ  বা  শ্যামবাজার  থেকে  বি. টি. রোড  গামী  বাসে  উঠে  সিঁথির  মোড়ে  নামুন।  সেখান  থেকে  কুঠিঘাট  গামী  অটোতে  উঠে  কুঠিঘাটে  নামুন।  সেখান  থেকে  কাছেই  মন্দির। 

            মন্দিরটি  পরিদর্শনের  তারিখ :  ১৮.০৮.২০২১


প্রামাণিক কালী বাড়ি, কুঠিঘাট, বরানগর 

ব্রহ্মময়ী মা - ১

ব্রহ্মময়ী মা - ২

ব্রহ্মময়ী মা - ৩

সিংহাসনের উপরের অংশ 

মন্দিরের সামনে তুলসীমঞ্চ 

মন্দিরে লাগানো শ্বেতপাথরের ফলক
 
তথ্যসূত্র :
           ১)  মন্দিরের  দেওয়ালে  টাঙানো  একটি  প্রতিবেদন 

                                                   *******                                           পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য কালী মন্দির সম্বন্ধে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন / লিংকের উপর আঙুল দিয়ে টোকা দিন : 

শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১

Kripamoyee Kali Temple / Joy Mitra Kali Bari, BaraNagar, North 24 Parganas

জয়  মিত্র  কালী  বাড়ি  /  কৃপাময়ী  কালী  মন্দির,  বরানগর,  উত্তর  ২৪  পরগনা 

                  শ্যামল  কুমার  ঘোষ 


            কৃপাময়ী  কালী  মন্দির  বরাহনগরের  কুঠিঘাটে  অবস্থিত  একটি  প্রাচীন  কালী  মন্দির।  যদিও  মন্দিরটি  জয়  মিত্র  কালী  বাড়ি  নামেই  বেশি  পরিচিত।  ১২৫৭  বঙ্গাব্দের  ( ১৮৫০ খ্রীষ্টাব্দ )  চৈত্র  সংক্রান্তির  দিন  মন্দিরটি  প্রতিষ্ঠিত  হয়।  প্রতিষ্ঠা  করেন  কলকাতার  শোভাবাজারের  বিখ্যাত  ধনী  রামচন্দ্র  মিত্রের  ছেলে  জয়নারায়ণ  মিত্র।  মন্দিরের  অধিষ্ঠাত্রী  দেবী  দক্ষিণা  কালী।  বিগ্রহ  কষ্টিপাথরে  নির্মিত।  নির্মাণ  করেন  পূর্ব  বর্ধমান  জেলার  কাটোয়া  মহকুমার  অন্তর্গত  দাঁইহাটের  নবীন  ভাস্কর।  এখানে  উল্লেখ্য,  দক্ষিণেশ্বরের  মন্দির  প্রতিষ্ঠিত  হয়  ১৮৫৫ খ্রীষ্টাব্দে।  অর্থাৎ, দক্ষিণেশ্বরের  মন্দিরের  পাঁচ  বছর  আগে  এই  মন্দির  প্রতিষ্ঠিত  হয়।  শ্রীরামকৃষ্ণ  এই  মন্দিরে  কয়েকবার  এসেছেন।  তিনি  কৃপাময়ী  মাকে  'মাসি'  বলে  ডাকতেন।

            উঁচু  ভিত্তিবেদির  স্থাপিত,  ত্রিখিলান  প্রবেশপথযুক্ত,  দক্ষিণমুখী  মন্দিরটি  নবরত্ন  শৈলীর।  এক  একটি  স্তম্ভ  'কলাগেছ্যা'  রীতির  গোল  স্তম্ভগুচ্ছের  সমষ্টি।  নবরত্নের  শিখরগুলি  রেখ  ধরণের  খাঁজ  কাটা।  মন্দিরের  কার্নিস  সোজা।  দ্বিতলে  ওঠার  সিঁড়ি  আছে।  মন্দিরটির  সঙ্গে  মূলাজোড়ের  ব্রহ্মময়ী  কালী  মন্দিরের  খুবই  সাদৃশ্য  আছে।  গর্ভগৃহে  ঢোকার  একটিই  দরজা,  সামনে।  আর  আছে  দুটি  নকল  দরজা।  মন্দিরের  বাকি  তিন  দিকে  তিনটি  করে  নকল  দরজা  আছে।  গর্ভগৃহের  সামনে  অলিন্দ।  মন্দিরের  দ্বিতলের  ছোট  দালানের  গায়ে  ভিনিসীয়  দরজা-জানলার  চিহ্ন,  ওপরে  ফ্যান লাইট ( fanlight )।  খিলানের  উপরে পঙ্খের  কাজ  আছে।  গর্ভগৃহে  দেবী  কৃপাময়ী  নামক  দক্ষিণাকালীর  মূর্তি  প্রতিষ্ঠিত  ও  নিত্যপূজিত। 

            মন্দিরের  সামনে  একটি  নাটমন্দির  ছিল।  অনেক  দিন  আগে  উপরের  ছাদ  পড়ে  গিয়েছিল।  এখন  আবার  নতুন  করে  নির্মাণ  করা  হয়েছে।  কয়েক  বছর  আগে  মিত্র  পরিবার  মন্দিরের  জমির  কিছু  অংশ  এক  প্রমোটারকে  বিক্রি  করে  দেন।  চুক্তি  অনুযায়ী  তিনি  মন্দিরটি  সংস্কার  করে  দেন।  

            মন্দিরটি  পাঁচিল  দিয়ে  ঘেরা।  পশ্চিম  দিকে  গঙ্গার  পাশে  রাস্তা।  তারপরই  মন্দিরে  ঢোকার  প্রধান  ফটক।  ফটকের  দুদিকের  স্তম্ভের  মাথায়  দুটি  মাঝারি  আকারের  সিংহ  মূর্তি।  এই  ফটক    দিয়ে  ঢুকলে  দুপাশে  ছয়টি  করে  মোট  বারোটি  আটচালা  শৈলীর  শিব  মন্দির।  প্রতিটি  শিব  মন্দিরে  শিবলিঙ্গ  প্রতিষ্ঠিত।  প্রতিটি  শিবলিঙ্গের  আলাদা-আলাদা  নাম।  উত্তরদিকের  শিব  মন্দিরগুলির  নাম  ( পূর্ব  থেকে  পশ্চিমে ) :  পশুপতিনাথ,  বিশ্বনাথ,  বৈদ্যনাথ,  চন্দ্রনাথ,  অমরনাথ  ও  ভুবনেশ্বর।  দক্ষিণ  দিকের  শিব  মন্দিরগুলির  নাম  ( পশ্চিম   থেকে  পূর্ব ) :  রামেশ্বর, উমানন্দ,  কেদারনাথ,  সোমনাথ,  তারকনাথ  ও  আদিনাথ।  শিব  মন্দির  প্রাঙ্গণে  সারি  সারি  তুলসীমঞ্চ  আছে।               

            কৃপাময়ী  কালীর  মন্দিরে  অনেক  আগে  পশুবলি  হত।  ১৩০৭  বঙ্গাব্দে  ( ১৯০০  খ্রি. )  বালানন্দ  ব্রহ্মচারীর  নির্দেশে  সেই  বলিদান  প্রথা  বন্ধ  হয়ে  যায়।  এ  বিষয়ে  একটি  পদ্য  মন্দিরের  বাঁ  দিকে  তুলসীমঞ্চের  দেওয়ালে  খোদাই  করা  আছে : 

         সিন্দু  বিন্দু  নেত্র  চন্দ্র  পরিমিত  সনে, 

         পূর্ণানন্দে  সাথে  করি  এক  শুভক্ষণে,

         বালানন্দ  ইষ্টদেব  আসিয়া  হেতায়,

         হেরিলেন  জীববলি  আর্ত্ত  বেদনায় 

         ক্ষান্ত  কর  রক্তস্রোত  দিলেন  বিধান। 

         সে  বিধান  মেনে  নিল  ভক্ত  পুণ্যবান।

                                                -- তারানন্দ  ও  কৃষ্ণানন্দ

      অর্থাৎ  সিন্দু  =  ৭,  বিন্দু  =  ০,  নেত্র  ৩,  চন্দ্র  =  ১    অঙ্কের  বামাগতি   নিয়মানুসারে  ১৩০৭  বঙ্গাব্দে  ( ১৯০০  খ্রি. )  বালানন্দ  ব্রহ্মচারী  এক  শুভক্ষণে  পূর্ণানন্দকে  সঙ্গে  নিয়ে  এখানে  এসে  জীববলি  দেখে  বেদনার্ত  হন।   সেই  রক্তস্রোত  বন্ধ  করার  বিধান  দিলে  পুণ্যবান  ভক্তগণ  তা  মেনে  নেন।

        কী  ভাবে  যাবেন ?

            হাওড়া,  শিয়ালদহ  বা  শ্যামবাজার  থেকে  বি. টি. রোড  গামী  বাসে  উঠে  সিঁথির  মোড়ে  নামুন।  সেখান  থেকে  কুঠিঘাট  গামী  অটোতে  উঠে  কুঠিঘাটে  নামুন।  সেখান  থেকে  কাছেই  মন্দির। 

            মন্দিরটি  পরিদর্শনের  তারিখ :  ১৮.০৮.২০২১ 


মন্দিরের শিখর 

নাটমন্দিরসহ কৃপাময়ী কালী মন্দির, বরানগর
( দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে তোলা )

নাটমন্দিরসহ কৃপাময়ী কালী মন্দির, বরানগর
( সামনে থেকে তোলা )

মন্দিরের ত্রিখিলান বিন্যাস 

মাঝের খিলানের উপরের কাজ 

'কলাগেছ্যা' রীতির গোল স্তম্ভগুচ্ছ

দ্বিতলের দেওয়ালের কাজ 

উত্তরদিকের তিনটি শিব মন্দির

শ্বেতপাথরের ফলক 

সিংহ দরজা 

কৃপাময়ী কালী মাতা - ১

কৃপাময়ী কালী মাতা - ২

কৃপাময়ী কালী মাতা - ৩

     সহায়ক  গ্রন্থ

                 ১)  বাংলার  মন্দির  স্থাপত্য  ও  ভাস্কর্য :  প্রণব  রায় 

                                             ********

            পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য কালী মন্দির সম্বন্ধে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন / লিংকের উপর আঙুল দিয়ে টোকা দিন :