রামসীতা মন্দির, শাঁখারিটোলা স্ট্রিট, কলকাতা
শ্যামল কুমার ঘোষ
ভারতের হিন্দিভাষী অঞ্চলের মতো বাংলায় রাম-উপাসনা খুব বেশি জনপ্রিয় না হলেও রামায়ণের কাহিনী বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল। বিশেষ করে কৃত্তিবাসী রামায়ণ। এক সময় বাংলার অনেক বাড়িতে সন্ধ্যায় প্রদীপ বা হারিকেনের আলোয় কৃত্তিবাসী রামায়ণ পাঠের প্রচলন ছিল। বাংলার পল্লীতে-পল্লীতে সন্ধ্যায় রামায়ণ গানের আসর বসতো। এই আসর চলতো এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। আসরের শেষে রাম-সীতার গলার অকিঞ্চিৎকর মালা নিলামে বিক্রি হতো। এর থেকেই বোঝা যায় যে বাংলার জন-মানসে রামসীতা কত খানি প্রভাব বিস্তার করে ছিল।
বাংলায় রাম-উপাসনা একেবারেই ছিল না তা কিন্তু সঠিক নয়। বাংলার কিছু কিছু মন্দিরের গর্ভগৃহে যেমন রাম-সীতা-লক্ষণের বিগ্রহ পূজিত হয় তেমন কিছু কিছু মন্দিরে শালগ্রাম শিলায় রঘুনাথ রামচন্দ্রের পূজাও অনুষ্ঠিত হয়। এমন কি অনেক কৃষ্ণমন্দিরেও আলাদা করে রামচন্দ্রের বিগ্রহও পূজিত হন।
আমার মতো অনেক কলকাতাবাসীর অগোচরে প্রায় একশো বছর ধরে রামসীতা বিগ্রহ পূজিত হচ্ছেন এই কলকাতায়। কলকাতার শিয়ালদহের কাছে আর. আহমেদ দাঁতের হাসপাতালের পাশের গলির নাম ক্রিক রোড। এই রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে ডান দিকের রাস্তা ধরে একটু এগুলেই বাঁ দিকে পড়বে একটি লাল রঙের বাড়ি। এই বাড়ির এক তলায় আছে রামসীতার মন্দির। দরজা দিয়ে ঢুকে ডান দিকে তাকালেই চোখে পড়বে বিগ্রহ। সামনে বিশাল প্রশস্থ চত্বর। শ্বেতপাথরের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলে পড়বে গর্ভগৃহ। গর্ভগৃহের সামনে অলিন্দ। গর্ভগৃহে রামসীতা ও অন্যান্য বিগ্রহ নিত্য পূজিত। নিত্য পূজা ছাড়াও রাম নবমীতে মন্দিরে বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই জুলাই ( ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের ৩০শে আষাঢ় ) মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা করেন শীতল চন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রাজলক্ষ্মী দেবী। মন্দিরের বাইরের দেওয়ালে একটি শ্বেতপাথরের প্রতিষ্ঠাফলক আছে।
রামসীতা বিগ্রহ |
মন্দিরের প্রবেশদ্বার |
গর্ভগৃহে ওঠার সিঁড়ি |
রামসীতা ও অন্যান্য বিগ্রহ |
রামসীতা বিগ্রহ |
প্রতিষ্ঠাফলক |
-------------------------------------------
--------------------------------------------
Apurva amar mamar bari parar mandir choto Bela thaka deka aschi
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন