মৌখিরা গ্রামের মন্দির, মৌখিরা, পূর্ব বর্ধমান
শ্যামল কুমার ঘোষ
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার অন্তর্গত একটি প্রাচীন ও বর্ধিষ্ণু গ্রাম মৌখিরা। বাসে পানাগড়-ইলামবাজার রাস্তার ১১ মাইল স্টপেজে নেমে টোটোতে বা যন্ত্রচালিত ভ্যানে এই গ্রামে যাওয়া যায়। গ্রামে রায় পরিবারের বাড়ির পাশের মন্দির গুচ্ছে পাঁচটি দেউল, তিনটি আটচালা মন্দির ও একটি পঞ্চরত্ন মন্দির আছে। এই মন্দিরগুলির মধ্যে পঞ্চরত্ন মন্দিরটি নারায়ণের ( লক্ষ্মী-জনার্দনের ) উদ্দেশ্যে নির্মিত। বাকি মন্দিরগুলি শিবের উদ্দেশ্যে নির্মিত। লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দিরটি সম্বন্ধে আগেই লিখেছি। এখানে অন্যান্য মন্দিরগুলি সম্বন্ধে আলোচনা করব। লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দিরটি সম্বন্ধে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন :
লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দির, মৌখিরা, পূর্ব বর্ধমান
রাস্তা থেকে মন্দির ক্ষেত্রে ঢুকলে বাঁ দেখা যাবে একই ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত তিনটি মন্দির। এদের মধ্যে দুটি দেউল ও একটি আটচালা মন্দির। দেউল দুটি পূর্বমুখী ও আটচালা মন্দিরটি উত্তরমুখী। ডান দিকে দেখা যাবে একই ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, পশ্চিমমুখী তিনটি দেউল। আরও একটু সামনে এগিয়ে গেলে সামনে দুটি দক্ষিণমুখী আটচালা মন্দির দেখা যাবে। এই সবগুলি মন্দিরই শিবের উদ্দেশ্যে নির্মিত। সব কটি মন্দিরেরই খিলানের উপরে টেরাকোটা কাজ আছে। ডান দিকের দেউল তিনটি ছাড়িয়ে ডান দিকে গেলে উত্তরমুখী লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দির দেখা যাবে।
কৃষ্ণকালীর সংক্ষিপ্ত কাহিনী : রাধারাণী শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে গোপনে দেখা করতে যেতেন। একদিন রাধারাণীর শাশুড়ি-ননদ জটিলা-কুটিলা জানতে পেরে রাধারাণীর স্বামী আয়ান ঘোষকে জানান। অন্তর্যামী শ্রীকৃষ্ণ আয়ানের আগমণের কথা জানতে পেরে রাধারাণীকে কিছু ফুল এনে তাঁকে পুজো করতে বলেন। রাধারাণী যখন শ্রীকৃষ্ণকে পুজো করছিলেন তখন শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে মা কালীতে পরিবর্তন করেন। আয়ান ঘোষ এসে দেখলেন রাধারাণী কালীর উপাসনা করছেন।
মন্দিরগুলি পরিদর্শনের তারিখ : ১৩.১২.২০১৯
********
লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দির, মৌখিরা, পূর্ব বর্ধমান
রাস্তা থেকে মন্দির ক্ষেত্রে ঢুকলে বাঁ দেখা যাবে একই ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত তিনটি মন্দির। এদের মধ্যে দুটি দেউল ও একটি আটচালা মন্দির। দেউল দুটি পূর্বমুখী ও আটচালা মন্দিরটি উত্তরমুখী। ডান দিকে দেখা যাবে একই ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, পশ্চিমমুখী তিনটি দেউল। আরও একটু সামনে এগিয়ে গেলে সামনে দুটি দক্ষিণমুখী আটচালা মন্দির দেখা যাবে। এই সবগুলি মন্দিরই শিবের উদ্দেশ্যে নির্মিত। সব কটি মন্দিরেরই খিলানের উপরে টেরাকোটা কাজ আছে। ডান দিকের দেউল তিনটি ছাড়িয়ে ডান দিকে গেলে উত্তরমুখী লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দির দেখা যাবে।
বাঁ দিকের তিনটি মন্দির ও দূরে দুটি মন্দির দেখা যাচ্ছে। |
প্রথম মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
দ্বিতীয় মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
তৃতীয় মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
চতুর্থ মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
পঞ্চম মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
ডান দিকের তিনটি মন্দির |
প্রথম থেকে তৃতীয় মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
প্রথম থেকে দ্বিতীয় মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
প্রথম মন্দিরের খিলানের উপরের কাজ |
নন্দির উপর শিব-পার্বতী, কৃষ্ণকালী ও অন্য চিত্র |
কৃষ্ণকালী |
কৃষ্ণ কর্তৃক রাধার মানভঞ্জন |
********
আমি কাছেপিঠেই থাকি।
উত্তরমুছুনএই মৌখিরা কালিকাপুর নিয়ে অনেক লিখেছি।
আমার ব্লগ এ আছে।
ভাল। আপনার এই ব্লগ।
ছবি সুন্দর
ধন্যবাদ।
মুছুন