স্বরূপনারায়ণ মন্দির, ডিহিবায়রা, আরামবাগ, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
রেলপথে হাওড়া থেকে আরামবাগের দূরত্ব ৮২ কিমি। ট্রেনে সময় লাগে ২ ঘন্টা। আরামবাগ থানা ও ব্লকের অন্তর্গত, আরামবাগ থেকে ৩/৪ কিমি দূরে অবস্থিত একটি গ্রাম ডিহিবায়রা। প্রাচীন কালে এই অঞ্চলের প্রসিদ্ধি ছিল। এখানকার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নরেন্দ্রনারায়ণ বুন্দেলখণ্ড থেকে এখানে আসেন। তাঁর বংশধর রণজিৎ রায় দেবী বিশালাক্ষীর কৃপাধন্য ছিলেন বলে কথিত।
এখানে স্থানীয় পালবংশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্বরূপনারায়ণের একটি ছোট আটচালা মন্দির আছে। দৈর্ঘে প্রায় ৪.৮৮ মিটার এবং প্রস্থে ৪.৪২ মিটার। মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, দক্ষিণমুখী ও ত্রিখিলান প্রবেশপথযুক্ত। গর্ভগৃহের সামনে অলিন্দ। গর্ভগৃহে ঢোকার একটিই দরজা। নির্মাণকাল ১৭৮০ শকাব্দ অর্থাৎ ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠাফলক আছে। এই প্রতিষ্ঠাফলকে একটি নাম আছে কিনু চরণ দাস। সম্ভবত ইনি মন্দিরের নির্মাণ-শিল্পী ছিলেন। মন্দিরের সামনের দেওয়ালে 'টেরাকোটা'র অলংকরণ আছে। এই টেরাকোটার বিষয় : রামায়ণের কাহিনী, নৌকা বিলাস, কালী, ষষ্ঠী, রাধাকৃষ্ণ, অন্নপূর্ণা, কার্তিক, সরস্বতী, মকর ইত্যাদি মূর্তি, বক রাক্ষস বধ, গড়গড়ায় তামাক সেবন ও নানা মূর্তি। গর্ভগৃহে স্বরূপনারায়ণ ( নারায়ণ শিলা ) ও অন্য দুটি বিগ্রহ নিত্য পূজিত।
মন্দিরটির পরিদর্শনের তারিখ : ১৯.১১.২০১৭
সহায়ক গ্রন্থ :
১) হুগলি জেলার পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য -----------------------------------------
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মুদ্রিত মূল্য - ৫৯৯ টাকা।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে। কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
প্রকাশনীতে বইটি সেরা বইয়ের সম্মান স্বর্ণকলম ২০২৫ পেয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন