মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬

Bijay Baidyanath Shib Temple, Rajbari Temple Complex,Ambika Kalna,Purba Bardhaman

   বিজয়  বৈদ্যনাথ  শিব  মন্দির,  রাজবাড়ি  মন্দির  চত্বর,  অম্বিকা  কালনা, পূর্ব  বর্ধমান 

            শ্যামল  কুমার  ঘোষ 


            অম্বিকা  কালনার  রাজবাড়ি  মন্দির  চত্বরে  কৃষ্ণচন্দ্র  মন্দিরের  পিছনে  অবস্থিত  বিজয়  বৈদ্যনাথ  শিবমন্দির।  এই  মন্দিরটি  আলাদা  পাঁচিল  দিয়ে  ঘেরা  হলেও  কৃষ্ণচন্দ্র  মন্দিরের  প্রবেশ-দ্বার  পেরিয়ে  এই  মন্দিরে  প্রবেশ  করতে  হয়।  এই  মন্দির  প্রাঙ্গণের   দক্ষিণ  দিকের  দরজা  দিয়ে  কৃষ্ণচন্দ্র  মন্দিরপ্রাঙ্গণে যাওয়া  যায়। 

             মন্দিরটিতে  শ্বেতপাথরের  ফলকে  লিখিত  একটি   প্রতিষ্ঠাফলক  রয়েছে,  যা  হয়তো  নষ্ট  হওয়া  মূল  প্রতিষ্ঠাফলকের  পরিবর্তে  সংস্থাপিত।  এটির  পাঠ  নিম্নরূপ :

 কুমার  শ্রীমিত্রসেন-ধর্ম্মপত্নী  শ্রিয়ান্বিতা। 
 লক্ষ্মীদেবী  বৈদ্যনাথং  সমরাধ্য  সুতার্থিনী।। ১।। 
 ত্রিলোকচন্দ্রংতনয়ং  লব্ধা  দেব  প্রসাদতঃ।
 নির্ম্মায়  মন্দিরমিদং  কারুকার্য্যসুশোভিতম্।।২।।  
 বিজয়াদি  বৈদ্যনাথনাম্নাত্র  শিবলিঙ্গকম্।
 মহেশ্বরস্য  প্রীত্যর্থৎ  স্থাপয়ামাস  ভক্তিতঃ।।৩।।

            অর্থাৎ,  কুমার  শ্রীমিত্রসেনের  ধৰ্মপত্নী  শ্রীযুক্তা  লক্ষ্মীদেবী  পুত্রার্থী  হয়ে  বৈদ্যনাথ  শিবকে  আরাধনা  করে  দেবানুগ্রহে  ত্রিলোকচন্দ্র  নামক  পুত্র  লাভ  করেন।  এরপর  তিনি  কারুকার্যখচিত  এই  মন্দির  নির্মাণ  করে  বিজয়বৈদ্যনাথ  নামক  শিবলিঙ্গ  মহাদেবের  প্রীতির  জন্য  ভক্তিপূর্বক  স্থাপন  করলেন।

            কুমার  মিত্রসেন  ছিলেন  রাজা  চিত্রসেন  রায়ের  পিতৃব্য।  ত্রিলোকচন্দের  জননী  বৈদ্যনাথকে  আরাধনা  করে  ত্রিলোকচন্দ্রকে  লাভ  করেন।  সেই  ত্রিলোকচন্দ্র  যখন  রাজা  হন  তখন  মানত  পূরণের  জন্য  এই  মন্দির  নির্মিত  হয়।  যতদূর  মনে  হয়,  কৃষ্ণচন্দ্র  মন্দির  নির্মাণের  সময়ই  এই  মন্দির  নির্মিত  হয়।  এখানে  উল্লেখযোগ্য  যে  কৃষ্ণচন্দ্র  মন্দির  নির্মাণের  সময়  ১৭৫১ - ৫৫  খ্রীষ্টাব্দ। 

           মন্দিরটি উঁচু  ভিত্তিবেদির  উপর  স্থাপিত,  পূর্বমুখী,  আটচালা  মন্দির।  এর  আয়তন  ১৯  ফুট ( ৫.৮ মি. ) × ২০ ফুট (৬ মি. -বারান্দাসহ )।  উচ্চতা  প্রায় ৩০ ফুট ( ৯ মি. )।  গর্ভগৃহের  সামনে  তিনটি  পত্রাকৃতি  খিলানযুক্ত  আবৃত  অলিন্দ  আছে।  খিলান  তিনটির  উপরের  চারপাশে  আছে  প্রতীক  শিবালয়  ও  তার  মধ্যে  শিবলিঙ্গ।  তোরণগুলির  তিনটি  খিলান  ধারণের  জন্য  দুটি  পূর্ণ  স্তম্ভ  ও  দুটি  অর্ধ  স্তম্ভ  রয়েছে।  গর্ভগৃহে  একটি  মাত্র  দরজা।  মন্দিরটির  সামনের  দেওয়ালের  দুপাশে  ও  উপরে  দুই  সারি  কুলুঙ্গির  মধ্যে  অজস্র  টেরাকোটা  মূর্তি  আছে। কিন্তু  ত্রিখিলান  প্রবেশ  পথের উপরের  পৃথক  চার  সারি  ও  তাদের  সংযুক্ত  অংশে  পোড়ামাটির  ফুল  ছাড়া  কোন  মূর্তি  নেই।  ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  দেওয়ালেও  পোড়ামাটির  মূর্তি  ফলক  আছে।  পোড়ামাটির  কাজগুলির  মধ্যে  উল্লেখযোগ্য,  বীণাবাদনরতা  পক্ষী-মানবী, নর্তকী,  যুদ্ধযাত্রা,  জমিদারের  অন্যত্র  গমন  ও  ফুলকারি  নকশা  ইত্যাদি।  দুটি  পূর্ণস্তম্ভের  নিচের  ও  অন্যত্র  অনেক  জায়গার  পোড়ামাটির  কাজ  নষ্ট  হয়ে  গেছে।  মন্দিরের  বাকি  তিনটি  দেওয়াল  পলেস্তারা  আবৃত। 

            মন্দিরের  গর্ভগৃহে  বিজয়বৈদ্যনাথ  নামক  কাল  পাথরের  শিবলিঙ্গ  নিত্য  পূজিত।  শিবলিঙ্গের  উচ্চতা  প্রায়  ৪  ফুট  ৬  ইঞ্চি  ( ১৩৭  সেমি ) ।  মন্দিরটি  ভারতীয়  পুরাতত্ত্ব  সর্বেক্ষণ,  কলকাতা  মণ্ডল  দ্বারা  সংরক্ষিত। 

কৃষ্ণকে যমুনার জলপূর্ণ ঘাটের দ্বারা স্নান করানো


বিজয়  বৈদ্যনাথ  শিবমন্দির

মন্দিরের  সামনের  বিন্যাস

একটি  খিলানের  উপরের কাজ

গর্ভগৃহের  সামনের  খিলানের  কাজ

প্রতিষ্ঠা-ফলক 

ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  টেরাকোটার  অলংকরণ -১
( উপরে, কৃষ্ণলীলা )

ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  টেরাকোটার  অলংকরণ -২
( কুবলইপীড়, চানুরা, মুষ্টিক ও কংস বধ )

ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  টেরাকোটার  অলংকরণ -৩
( উপরে, কৃষ্ণলীলা )

ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  টেরাকোটার  অলংকরণ -৪
( উপরে, বসুদেব-দেবকী কর্তৃক বিষ্ণু বন্দনা, কংস নিয়জিত নিদ্রিত প্রহরীরা, 
বসুদেবের যমুনা অতিক্রমের দৃশ্য ও পুতনা বধ  )

ভিত্তিবেদি  সংলগ্ন  টেরাকোটার  অলংকরণ -৫
( উপরে, পুতনা বধ )

কুলুঙ্গির  মধ্যে  নিবদ্ধ  টেরাকোটা  মূর্তি -১

কুলুঙ্গির  মধ্যে  নিবদ্ধ  টেরাকোটা  মূর্তি -২

কুলুঙ্গির  মধ্যে  নিবদ্ধ  টেরাকোটা  মূর্তি -৩

কুলুঙ্গির  মধ্যে  নিবদ্ধ  টেরাকোটা  মূর্তি -৪

কুলুঙ্গির  মধ্যে  নিবদ্ধ  টেরাকোটা  মূর্তি -৫

কুলুঙ্গির  মধ্যে  নিবদ্ধ  টেরাকোটা  মূর্তি -৬

একটি  ব্যাতিক্রমী  টেরাকোটা  চিত্র 

কৃষ্ণকে যমুনার জলপূর্ণ ঘাটের দ্বারা স্নান করানো 

বীণাবাদনরতা  পক্ষীমানবী  ও  অন্য  চিত্র

বাদ্যযন্ত্রসহ

শিকার  দৃশ্য 

হাতির  পিঠে  চড়ে  শিকার

ফুলকারি  নকশা -১

ফুলকারি  নকশা -২

বিজয়  বৈদ্যনাথ  শিবলিঙ্গ

            অম্বিকা  কালনার  এই  মন্দিরে  যেতে  হলে  শিয়ালদহ  থেকে  সকাল  ৮ টা  ৬ মিনিটের  কাটোয়া  লোকাল  বা  হাওড়া  থেকে  কাটোয়া  লোকাল  ধরুন।  ব্যাণ্ডেল  থেকেও  অম্বিকা  কালনা  যাওয়ার  গাড়ি  পাবেন।  স্টেশন  থেকে  রিকশা  বা  টোটোতে  মন্দিরে  পৌঁছে  যান।  নদিয়া  জেলার  শান্তিপুর  থেকেও  গঙ্গা  পেরিয়ে  কালনায়  যেতে  পারেন।

            মন্দিরটি  পরিদর্শনের  তারিখ :  ০১.০৭.২০১৬

                  
 সহায়ক  গ্রন্থাবলি   :
        ১) কালনা  মহকুমার  প্রত্নতত্ত্ব   ও  ধর্মীয়  সংস্কৃতির  ইতিবৃত্ত    বিবেকানন্দ  দাস 
        ২)  বাংলার  মন্দির  স্থাপত্য  ও  ভাস্কর্য  :  প্রণব  রায়

                                             ********* 
  

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

Krishnachandra Temple, Rajbari Temple Complex, Ambika Kalna, Purba Bardhaman

কৃষ্ণচন্দ্র  মন্দির, রাজবাড়ি  মন্দির  চত্বর,  অম্বিকা  কালনা,  পূর্ব  বর্ধমান 
      
    শ্যামল  কুমার  ঘোষ


            অম্বিকা  কালনার  রাজবাড়ি  মন্দির  চত্বরের  পূর্ব  দিকে  অবস্থিত  কৃষ্ণচন্দ্র  মন্দির।  ১৬৭৩  শকাব্দে ( ১৭৫১  খ্রিস্টাব্দে )   বর্ধমানরাজ  ত্রিলোকচন্দ্রের  মাতা  লক্ষ্মীকুমারী  এই  মন্দির  প্রতিষ্ঠা  করেন।  উঁচু  ভিত্তিবেদির  উপর  স্থাপিত,  দক্ষিণমুখী,  তিনতলবিশিষ্ট  মন্দিরটি  পঁচিশরত্ন  মন্দির। 

            মন্দিরের  গর্ভগৃহে  প্রধান  সিংহাসনে  রয়েছেন  কৃষ্ণচন্দ্র  ও  রাধার  বিগ্রহ।  উচ্চতা  যথাক্রমে  ২ ফুট  ৬ ইঞ্চি ( ৭৬ সেমি )  ও  ২  ফুট  ( ৬১  সেমি )।  সঙ্গে  রয়েছেন  চার  সখি।  মূর্তিগুলি  সবই  দারু  নির্মিত। 

            মন্দিরের  প্রথম  তলের  ছাদ  ধনুরাকৃতি  হয়ে  যে  কোণের  সৃষ্টি  করেছে  তার  চারটি  কোণে  পর্দার  আকারে  খানিকটা  উঁচু  করে  দেওয়াল  তোলা।  সেই  দেওয়ালে  আছে  চুন-সুরকির  বড়  আকৃতির  হাতি  ও  সিংহের  মূর্তি। 

            ঐ  পর্দা-দেওয়ালের  উপরেই  উঁচু  করা  কোণগুলিতে  আছে  ৩ টি  করে  চারকোণে  মোট  ১২ টি  চূড়া।  অর্থাৎ  প্রথম  তলের  ছাদে  আছে  মোট  ১২ টি  চূড়া।  এর  পর  বেড়  কমিয়ে  খানিকটা  উপরে  অষ্টকোণাকৃতি  ২য়  তল  সৃষ্টি  করা  হয়েছে।  তার  ছাদের  আটকোণে  আছে   ৮ টি  চূড়া।  এরপর  বেড়ের  প্রসারতা  কমিয়ে  ২য়  তলের  চেয়ে  অপেক্ষাকৃত  কম  উচ্চতায়  ৩য়  তল  সৃষ্টি  করা  হয়েছে।  তার  চারকোণে  ৪ টি  এবং  মাঝখানে  আছে  একটি  বড়  চূড়া।  অর্থাৎ  চূড়াগুলির  সজ্জা  হচ্ছে  ১২+৮+৪+১ ।  মোট  পঁচিশ। 

            মন্দিরের  সামনে  সন্নিবদ্ধ  রয়েছে  একটি  'একবাংলা '  মণ্ডপ।  এটি  পরিদর্শন  কক্ষ  রূপে  ব্যবহৃত  হয়। 

            গর্ভগৃহের  সামনে  ত্রিখিলান  দালান।  তোরণগুলির  তিনটি  খিলান  ধারণের  জন্য  মধ্যে  দুটি  পূর্ণ  স্তম্ভ  ও  ধারে  দুটি  অর্ধ  স্তম্ভ  রয়েছে।  স্তম্ভগুলিতে  ফুলকারি  নকশা  ছাড়াও  আছে  টেরাকোটার  অলংকরণ। অন্যান্য  মূর্তির  মধ্যে  সপরিবার  দশভুজা  মহিষাসুরমর্দিনীর  একটি  প্যানেল  আছে।  খিলানগুলির   উপর  প্রতীক  শিব  মন্দির  ও  তার  মধ্যে  শিবলিঙ্গ।  গর্ভগৃহে  মূল  দ্বার  একটি।  মন্দিরের  পূর্ব  দিকে  আছে   ত্রিখলান  সজ্জা।  অলিন্দ  নেই।  দুটি  জানলা।  পশ্চিম  দিকে  ত্রিখিলান  সজ্জা  বিশিষ্ট  ভোগ  কক্ষ।  দুটি  জানলা  ও  একটি  দরজা।  কিন্তু  কোন  অলিন্দ  নেই।  পিছনে  ত্রিখিলান  ভরাটকরা।  কোন  দরজা  বা  জানলা  নেই।  উত্তর  দিকের  ভিতরে  রয়েছে  সিঁড়ি।  ঐ  সিঁড়ি  উঠে  গেছে  ৩য়  তলে।  

            মন্দিরের  সামনের  দেওয়ালে,  স্তম্ভের  গায়ে, চালা-মণ্ডপটির  সর্বত্র  রয়েছে  অজস্র  টেরাকোটা  মূর্তি  ও  ফুলকারি  নকশা।  মূল  মন্দিরের  সামনের  দেওয়ালে  কার্নিসের  নিচ  পর্যন্ত  খোপে  খোপে  অসংখ্য  মূর্তিফলক  বসানো।  ভাস্কর্যের  ক্ষেত্রে  'কল্পলতা'  বা  'মৃত্যুলতা'কে  দেওয়ালের  কোণে  বা  গায়ে  খাড়াকরে  লাগানোই  প্রচলিত  রীতি।  এখানেও  কোণের  দুপাশে  তা  সমতলভাবে  নিবদ্ধ  এবং  তা  একতলার  কার্নিস  পর্যন্ত  উঠে  গেছে।

            শুধুমাত্র  টেরাকোটা  প্রাচুর্য  নয়,  বিষয়বস্তুর  বৈচিত্র,  সুন্দর  সুন্দর  টেরাকোটা  মূর্তি  ও  ফুলের  নকশা  যা  এই  মন্দিরে  রয়েছে  তা  উচ্চমানের  বলা  যায়।  ধর্মীয়  ও  সামাজিক  দৃশ্যের  ফলকগুলির  মধ্যে  উল্লেখযোগ্য,  কৃষ্ণলীলার  নানা  দৃশ্য,  বকাসুর  বধ, নৌকাবিলাশ,  যুদ্ধ  চিত্র,  বন্দুকধারী  ফিরিঙ্গি  সৈন্য,  শিকার  দৃশ্য  প্রভৃতি। তবে  টেরাকোটাগুলির  বেশিরভাগই  নষ্ট  হয়ে  গেছে  বা  হতে  চলেছে। পূর্ব, পশ্চিম  ও  উত্তর  দিকের  দেওয়ালের  গায়ে  রয়েছে  ফুলকারি  নকশা,  এগুলিতে  কোন  মূর্তিসজ্জা  নেই।

            মন্দিরের  বিগ্রহ  নিত্য  পূজিত।  সকালে  মাখন  ও  মিছরি  ভোগ,  তারপর  পূজা,  মধ্যাহ্নে  ভোগ  ও  শয়ন,  বৈকালে  উত্থান  এবং  সন্ধ্যায়  সন্ধ্যারতি  ও  ভোগ।  মন্দিরটি  প্রাচীর  দিয়ে  ঘেরা  একটি  স্বয়ংসম্পূর্ণ  ঠাকুরবাড়ি,  রন্ধনশালা  প্রভৃতিও  আছে।  মন্দিরটি  ভারতীয়  পুরাতত্ত্ব  সর্বেক্ষণ,  কলকাতা  মণ্ডল  দ্বারা  সংরক্ষিত। 
          
কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির

কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির ( উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে তোলা )

মন্দিরে রাতের আলোক-সজ্জা

মন্দিরের সামনে সন্নিবদ্ধ একবাংলা মণ্ডপ 

গর্ভগৃহের সামনের খিলান-দ্বার

ভরাটকরা খিলানের কাজ

পরিবারসহ মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি

কৃষ্ণলীলা - ১
(বকাসুর বধ, নৌকাবিলাস ও অন্যান্য চিত্র )

কৃষ্ণলীলা - ২

কৃষ্ণলীলা - ৩ ( কৃষ্ণের দাবাগ্নি ভক্ষণ )

কৃষ্ণলীলা - ৪

কৃষ্ণলীলা - ৫
( কৃষ্ণকে যমুনার জলপূর্ণ ঘটের দ্বারা স্নান ) 

কৃষ্ণলীলা - ৬

কৃষ্ণলীলা - ৭

বাঘ শিকার - ১

বাঘ শিকার - ২

'কল্পলতা'-য় টেরাকোটা চিত্র - ১

'কল্পলতা' বা মৃত্যুলতা-য় টেরাকোটা চিত্র - ২

'কল্পলতা' বা মৃত্যুলতা-য় টেরাকোটা চিত্র - ৩

কুলুঙ্গিতে নিবদ্ধ টেরাকোটা-মূর্তি

টেরাকোটার ফুল

টেরাকোটার নকশা

কৃষ্ণচন্দ্র, রাধিকা ও চার সখি

কৃষ্ণচন্দ্র ও রাধিকা বিগ্রহ

            মন্দিরের  প্রাচীর  বেষ্টনীর  মধ্যে  রয়েছে  তিনটি  উপমন্দির।  বদ্রিনারায়ণ,  রাধাবল্লভ  ও  রামসীতার  মন্দির।  মন্দিরের  সামনে  আছে  রাধাবল্লভ  মন্দির,  পশ্চিম  দিকে  আছে  বদ্রিনারায়ণের  মন্দির।  এটি   ইঁটের  তৈরি  দালান  মন্দির।  মন্দিরে  বদ্রিনারায়ণের  বিগ্রহ  নিত্য  পূজিত।  আর  পূর্ব  দিকে  আছে  রামসীতার  মন্দির।  এটি  ইঁটের  তৈরি  দালান  মন্দির।  মন্দিরে  রামসীতার  বিগ্রহ  নিত্য  পূজিত।

বদ্রিনারায়ণের মন্দির

বদ্রিনারায়ণের বিগ্রহ

রামসীতার মন্দির

রামসীতা ও অন্যান্য বিগ্রহ

রামসীতা বিগ্রহ

             অম্বিকা  কালনার  এই  মন্দিরে  যেতে  হলে  শিয়ালদহ  থেকে  সকাল  ৮ টা  ৬ মিনিটের  কাটোয়া  লোকাল  বা  হাওড়া  থেকে  কাটোয়া  লোকাল  ধরুন।  ব্যাণ্ডেল  থেকেও  অম্বিকা  কালনা  যাওয়ার  গাড়ি  পাবেন।  স্টেশন  থেকে  রিকশা  বা  টোটোতে  মন্দিরে  পৌঁছে  যান।  নদিয়া  জেলার  শান্তিপুর  থেকেও  গঙ্গা  পেরিয়ে  কালনায়  যেতে  পারেন। 

            মন্দিরটি  পরিদর্শনের  তারিখ : ০১.০৭.২০১৬


    সহায়ক  গ্রন্থাবলি   :

         ১) কালনা  মহকুমার  প্রত্নতত্ত্ব   ও  ধর্মীয়  সংস্কৃতির  ইতিবৃত্ত         বিবেকানন্দ  দাস  
         ২) পশ্চিমবঙ্গের  মন্দির : শম্ভু  ভট্টাচার্য

                                                 **********