একরত্ন গোপীনাথ মন্দির, দাসপুর,
পশ্চিম মেদিনীপুর
শ্যামল কুমার ঘোষ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া-ঘাটাল বাস রাস্তায় প্রায় ২৫.৮ কিমি দূরে ( পাঁশকুড়া থেকে ) দাসপুর গ্রাম। সেখান থেকে পূর্ব দিকে হাঁটা পথে গ্রামের দত্ত পাড়ায় অবস্থিত সিংহ পরিবারের প্রতিষ্ঠিত গোপীনাথের মন্দিরটি গ্রামের একটি উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি ছিল। কিন্তু কালের করাল গ্রাসে তা এখন জরাজীর্ন এবং পরিত্যক্ত। কিন্তু কিছু কিছু টেরাকোটার নমুনা দেখলে বোঝা যায় যে এই টেরাকোটা খুবই উচ্চ মানের ছিল।
ভূমি সমতলে স্থাপিত, পূর্বমুখী মন্দিরটি একরত্ন শৈলীর। গর্ভগৃহের সামনে ত্রিখিলান প্রবেশপথবিশিষ্ট অলিন্দ। ১৮৯৮ খ্রীষ্টাব্দের ভূমিকম্পে ও ১৯৭৮ খ্রীষ্টাব্দের বন্যায় মন্দিরটির প্রভূত ক্ষতি হয়। শ্রী তারাপদ সাঁতরার লেখা থেকে জানা যায় যে মন্দিরটি ১৭১৬ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্দিরে আগে একটি প্রতিষ্ঠাফলক ছিল। স্থানীয় একজনের কাছে জানা গেল যে মন্দিরটি আগে হরিসাধন সিং (সিংহ ) -এর মালিকাধীন ছিল। এখন এটি তাঁর মেয়ে অর্চনা দে'র মালিকাধীন।
অর্ধ স্তম্ভের কাজ - ১ ( রাধাকৃষ্ণের নৃত্যের ভঙ্গিমা ) |
গোপীনাথ মন্দির, দাসপুর |
মন্দিরের সামনের বিন্যাস |
বাঁ দিকের খিলানের উপরের কাজ |
রামায়ণের যুদ্ধ |
মাঝের খিলানের উপরের কাজ |
ডান দিকের খিলানের উপরের কাজ |
রামরাবণের যুদ্ধ |
কুলুঙ্গির কাজ - ১ |
কুলুঙ্গির কাজ - ২ |
কুলুঙ্গির কাজ - ৩ |
কুলুঙ্গির কাজ - ৪ |
কুলুঙ্গির কাজ - ৫ |
কুলুঙ্গির কাজ - ৬ |
অর্ধ স্তম্ভের কাজ - ১ ( রাধাকৃষ্ণের নৃত্যের ভঙ্গিমা ) |
অর্ধ স্তম্ভের কাজ - ২ ( রাধাকৃষ্ণের নৃত্যের ভঙ্গিমা ) |
অর্ধ স্তম্ভের কাজ - ৩ ( রাধাকৃষ্ণের নৃত্যের ভঙ্গিমা ) |
অর্ধ স্তম্ভের কাজ - ৪ ( রাধাকৃষ্ণের নৃত্যের ভঙ্গিমা ) |
অর্ধ স্তম্ভের কাজ - ৫ ( রাধাকৃষ্ণের নৃত্যের ভঙ্গিমা ) |
কুলুঙ্গির কাজ |
ভার বাহক |
একটি অর্ধস্তম্ভ |
হংসশ্রেণী |
অর্ধস্তম্ভের ভিত্তিবেদি সংলগ্ন কাজ ( উপরে কৃষ্ণের নৌকায় গোপীদের দধিভাণ্ড বহন নিচে, হার্মাদ রণতরী ) |
বাঁ দিকের পূর্ণস্তম্ভের কাজ |
উপরে, গোপীদের দধিভাণ্ড বহন ও শ্রীকৃষ্ণকে প্রদান নিচে, ঝাঁপানে চড়া তামাকু সেবনরত জমিদার ও অন্য চিত্র |
গোপীদের দধিভাণ্ড বহন ও শ্রীকৃষ্ণকে প্রদান |
ঝাঁপানে চড়া তামাকু সেবনরত জমিদার ও অন্য চিত্র |
গানবাজনার আসর |
যুদ্ধযাত্রা |
পদাতিক সৈন্য |
কী ভাবে যাবেন ?
হাওড়া স্টেশন থেকে মেদিনীপুর গামী ট্রেনে উঠে পাঁশকুড়া স্টেশনে নামুন। স্টেশনের কাছেই পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড। সেখান থেকে ঘাটাল গামী বাসে দাসপুর স্টপেজে নামুন। সেখান থেকে পূর্ব দিকে হেঁটে মন্দিরে যাওয়া যায়।
সহায়ক গ্রন্থ :
১) পুরাকীর্তি সমীক্ষা - মেদিনীপুর : তারাপদ সাঁতরা
২) মেদিনীপুর জেলার প্রত্ন-সম্পদ : প্রণব রায়
২৯ ডিসেম্বর গিয়েছিলাম এই মন্দিরে।
উত্তরমুছুনজেনে উদবিগ্ন হবেন, মন্দিরটি ভেঙে ধূলিসাৎ করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
চিন্ময় দাশ। মেদিনীপুর।
উত্তরমুছুনজায়গা চাই।
উত্তরমুছুন