তিনটি শিব মন্দির ও একটি রাস মঞ্চ, ডিহি বলিহারপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
শ্যামল কুমার ঘোষ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া-ঘাটাল বাস রাস্তায় প্রায় ২৫.৮ কিমি দূরে ( পাঁশকুড়া থেকে ) দাসপুর গ্রাম। দাসপুরের পূর্ব দিকের একটি গ্রাম ডিহি বলিহারপুর। গ্রামটি দাসপুর থানা ও দাসপুর ১ ব্লকের অধীন।
গ্রামে গোস্বামী পরিবারের দুটি পূর্বমুখী, একটি দক্ষিণমুখী শিব মন্দির এবং একটি রাস মঞ্চ আছে। শিব মন্দিরগুলি অল্প উঁচু ভিত্তিবেদির স্থাপিত ও আটচালা শৈলীর। কোন অলিন্দ নেই। প্রতিটি মন্দিরের একটি করে প্রবেশদ্বার। পূর্বমুখী শিব মন্দির দুটিতে খিলানের উপরে সামান্য টেরাকোটার অলংকরণ আছে। এই মন্দির দুটির দক্ষিণ দিকের বানেশ্বর শিব মন্দিরটি ১২২৬ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৮১৯ খ্রীষ্টাব্দে এবং উত্তর দিকের বীরেশ্বর শিব মন্দিরটি ১২১৯ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৮১২ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। মন্দির দুটিতে দুটি প্রতিষ্ঠাফলক আছে। দক্ষিণমুখী বিশ্বেশ্বর শিব মন্দিরে কোন টেরাকোটা ফলক নেই। মন্দিরটিতে কোন প্রতিষ্ঠাফলকও নেই। তিনটি মন্দিরের প্রবেশদ্বারের দু পাশে দুটি করে দ্বারপাল আছে। রাসমঞ্চটি চাঁদনি আকৃতির। প্রণব রায় তাঁর "মেদিনীপুর জেলার প্রত্ন-সম্পদ" গ্রন্থে লিখেছেন এটি রাধাকৃষ্ণের 'চাঁদনি' মন্দির ছিল এবং এটি ১৭২৪ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরগুলির সামনে খুব সুন্দর ফুলের বাগান আছে। তিনটি মন্দিরের গর্ভগৃহে তিনটি শিবলিঙ্গ নিত্য পূজিত।
ডিহি বালিহারপুরের মন্দির চত্বর |
পূর্বমুখী দুটি মন্দির |
বাঁ দিকের মন্দির |
বাঁ দিকের মন্দিরের সামনের দেওয়ালের বিন্যাস |
ডান দিকের মন্দির |
ডান দিকের মন্দিরের সামনের দেওয়ালের বিন্যাস |
দক্ষিণমুখী মন্দির |
কী ভাবে যাবেন ?
হাওড়া থেকে মেদিনীপুর গামী ট্রেনে উঠে পাঁশকুড়া স্টেশনে নামুন। স্টেশনের কাছেই পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড। সেখান থেকে ঘাটাল গামী বাসে দাসপুরে নামুন। দাসপুর থেকে টোটোতে ডিহি বলিহারপুরের মন্দিরে যাওয়া যায়।
সহায়ক গ্রন্থ :
১) পুরাকীর্তি সমীক্ষা - মেদিনীপুর : তারাপদ সাঁতরা
২) মেদিনীপুর জেলার প্রত্ন-সম্পদ : প্রণব রায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন