ভগ্ন পঞ্চরত্ন শিব মন্দির, বিল্বগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান
শ্যামল কুমার ঘোষ
পূর্ব বর্ধমান জেলার ( বর্ধমান-রামপুরহাট রেলপথের ) বনপাস রেল স্টেশনের কাছের একটি গ্রাম বিল্বগ্রাম। গ্রামটি বর্ধমান শহর থেকে ২৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত স্থানীয় মুখার্জী পরিবারের পঞ্চরত্ন শিব মন্দিরটি উল্লেখযোগ্য।
সামান্য উঁচু ভিত্তিভূমির উপর স্থাপিত, ইঁটের তৈরি, দক্ষিণমুখী মন্দিরটি প্রাথমিকভাবে পঞ্চরত্ন শৈলীর ছিল। তবে এখন চার কোনার রত্নগুলি পড়ে গেছে। কেবল মাঝের রত্নটি অবশিষ্ট আছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের একটিই দরজা, সামনে। মন্দিরের সামনের দেওয়ালে পোড়ামাটির অলঙ্করণ আছে। তবে তার বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। যে কটি টেরাকোটা ফলক অবশিষ্ট আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য : লক্ষ্মী-সরস্বতী সহ মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা, কালী, শিশু কৃষ্ণ, গণেশ বন্দনারত দুই ব্যক্তি, yali, টেরাকোটার বড় বড় ফুল, পাখি ইত্যাদি। গর্ভগৃহে শিবলিঙ্গ নিত্য পূজিত।
কী ভাবে যাবেন ?
বর্ধমান-রামপুরহাট রেলপথের বনপাশ স্টেশন থেকে টোটোতে সহজেই এই গ্রামে যাওয়া যায়। বর্ধমানের নবাবহাটের উত্তরা বাসস্ট্যান্ড থেকে গুসকরার বাসে ( সব বাস যায় না ) সিউড়ি রোডের উপর অবস্থিত বড় চৌরাস্তায় নেমে টোটোতে এই গ্রামে যাওয়া যায়। বর্ধমানের নবাবহাটের উত্তরা বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোতা গামী বাসে সরাসরি এই গ্রামে যাওয়া যায়।
|
লক্ষ্মী-সরস্বতী সহ দুর্গা |
|
পঞ্চরত্ন ( এখন একটি রত্ন অবশিষ্ট ) মন্দির, বিল্বগ্রাম |
|
মন্দিরের সামনের বিন্যাস |
|
খিলানের উপরের কাজ |
|
বাঁ দিকের কৌণিক ভাস্কর্য |
|
ডান দিকের কৌণিক ভাস্কর্য |
|
লক্ষ্মী-সরস্বতী সহ দুর্গা |
|
কালী ও অন্য চিত্র |
|
শিশু কৃষ্ণ |
|
ভিত্তিভূমি সংলগ্ন টেরাকোটা ফলক |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন