রাসমঞ্চ, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত রাসমঞ্চটি আনুমানিক ১৬০০ খ্রীষ্টাব্দে বীর হাম্বীর নির্মাণ করেন। উচ্চতায় ১.৫ মিটার ও দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ২৪.৫ মিটার। পিরামিড আকৃতির চূড়াবিশিষ্ট ঝামাপাথরের এক প্রশস্ত ভিত্তিবেদির উপর প্রতিষ্ঠিত এই আশ্চর্য মন্দিরটির গর্ভগৃহের চারপাশ ঘিরে আছে তিন প্রস্থ খিলানযুক্ত দেওয়াল। পুরো মন্দিরটি ১০.৭ মিটার উচ্চতায় উঠে এক স্বল্পপরিসর সমতল ছাদে মিলিত হয়েছে। বাইরের খিলানগুলির গায়ে পোড়ামাটির পদ্ম ও পূর্ব দিকের দেওয়ালে গাইয়ে-বাজিয়েদের কিছু 'টেরাকোটা' মূর্তি দেখা যায়। মল্ল রাজাদের আমলে, বার্ষিক রাস-উৎসবের সময়, বিষ্ণুপুরের সমস্ত রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহ জনসাধারণের দর্শনের জন্য এখানে এনে রাখা হত। সে প্রথার ছেদ পড়েছে বহুকাল। মন্দির গঠনশৈলীর দিক দিয়ে এই রাসমঞ্চটির মত অভিনব ইমারত কেবলমাত্র দুই বঙ্গেই নয়, সমগ্র ভারতবর্ষে বিরল। এটি বিষ্ণুপুরের গৌরব। বর্তমানে এটি 'ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ' - এর রক্ষণাধীন।
|
বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চ - ১ |
|
বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চ - ২ |
|
বিষ্ণুপুরের রাসমঞ্চ - ৩ |
|
রাসমঞ্চের ভিতরের চিত্র |
|
রাসমঞ্চের একটি স্তম্ভ |
|
পূর্ব দিকের দেওয়াল |
|
পূর্ব দিকের দেওয়ালের 'টেরাকোটা' চিত্র - ১ |
|
পূর্ব দিকের দেওয়ালের 'টেরাকোটা' চিত্র - ২ |
|
পূর্ব দিকের দেওয়ালের 'টেরাকোটা' চিত্র - ৩ |
|
পূর্ব দিকের দেওয়ালের 'টেরাকোটা' চিত্র - ৪ |
|
পূর্ব দিকের দেওয়ালের 'টেরাকোটা' চিত্র - ৫ |
|
পূর্ব দিকের দেওয়ালের 'টেরাকোটা' চিত্র - ৬ |
|
'টেরাকোটা'র পদ্ম |
সহায়ক গ্রন্থ :
১) বাঁকুড়া জেলার পুরাকীর্তি : অমিয়কুমার বন্দোপাধ্যায়
২) বিষ্ণুপুর : এস. এস. বিশ্বাস
******
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন