লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, কাঁকড়াকুলি, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
ধনিয়াখালি থানা ও ব্লকের অন্তর্গত সোমসপুর - ২ নং পঞ্চায়েত এলাকার অধীন একটি গ্রাম কাঁকড়াকুলি বা কাঁকড়াখুলি। দামোদরের একটি শাখা এই গ্রামের উপর দিয়ে গেছে।
এই গ্রামে অনেকগুলি মন্দির আছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চন্দ্রশেখর কর প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির। উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, ত্রিখিলান প্রবেশপথবিশিষ্ট ও পূর্বমুখী মন্দিরটি বাংলা আটচালা শৈলীর। গর্ভগৃহের সামনে অলিন্দ। আগে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকার দুটি দরজা ছিল। একটি সামনে অর্থাৎ পূর্ব দিকে এবং অপরটি দক্ষিণ দিকে। এখন সামনের দরজাটি বন্ধ করে জানলায় পরিবর্তন করা হয়েছে। দক্ষিণ দিকের দরজাটি বর্তমানে গর্ভগৃহে ঢোকার জন্য ব্যবহার করা হয়। মন্দিরের সামনের দিকের দেওয়াল 'টেরাকোটা অলংকরণে অলংকৃত। অলিন্দের খিলানের উপরও টেরাকোটার কাজ আছে। টেরাকোটা অলংকরণের অনেক ফলক এখন নষ্ট হয়ে গেছে। মন্দিরের নির্মাণকাল ১৬৫৫ শকাব্দ অর্থাৎ ১৭৩৩ খ্রিষ্টাব্দ। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠাফলক আছে। গর্ভগৃহে শ্রীধর, লক্ষ্মীজনার্দন ও সীতারাম নামক তিনটি নারায়ণ শিলা নিত্য পূজিত। শ্রীধর নামক নারায়ণ শিলাটি করদের দৌহিত্র মিত্রবংশের গৃহদেবতা। সীতারাম নামক নারায়ণ শিলাটি বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত সীতারাম মন্দিরের। মন্দিরটি বর্তমানে দেখাশোনা করেন কর ও তাঁদের দৌহিত্র মিত্রবংশের লোকজন।
মন্দিরটির পরিদর্শনের তারিখ : ১৭.০১.২০১৮
মন্দিরটির পরিদর্শনের তারিখ : ১৭.০১.২০১৮
লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, কাঁকড়াকুলি |
মন্দিরের সামনের বিন্যাস |
মন্দিরের ত্রিখিলান বিন্যাস |
বাঁ দিকের খিলানের উপরের কাজ |
মাঝের খিলানের উপরের কাজ |
ডান দিকের খিলানের উপরের কাজ |
মন্দিরের এক দিকের কোনাচ |
অপর দিকের কোনাচ |
অপর দিকের কোনাচ ( বড় করে ) |
অপর দিকের কোনাচ ( বড় করে ) |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ১ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ২ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ৩ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ৪ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ৪ ( বড় করে ) |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ৫ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ৬ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ৭ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ৮ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ৯ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ১০ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ১১ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ১২ |
ভিত্তিবেদি সংলগ্ন কাজ |
গর্ভগৃহের খিলানের উপরের কাজ |
প্রতিষ্ঠাফলক |
গ্রামে একটি ছয়কোনা রাসমঞ্চ আছে। সামান্য উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত রাসমঞ্চটি পঞ্চশিখর বিশিষ্ট। কেদ্রীয় চূড়াটি উঁচু। প্রতিটি শিখরের উপরিভাগ রেখদেউল ধরণের আড়াআড়িভাবে খাঁজকাটা। বর্তমানে চারদিকে দেওয়াল তুলে সেটি মন্দিরে পরিণত করা হয়েছে।
পূর্বের রাসমঞ্চ |
সহায়ক গ্রন্থ :
১) হুগলি জেলার পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য -------------------------------------------
আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
---------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন