রামসীতা মন্দির, রামসীতা ঘাট স্ট্রিট, দোলতলা, ভদ্রকালী, উত্তরপাড়া, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
হাওড়া-ব্যাণ্ডেল রেলপথে উত্তরপাড়া চতুর্থ স্টেশন। রেলপথে হাওড়া থেকে দূরত্ব ৯.৭ কিমি। স্টেশন থেকে পূর্ব দিকে এক কিলোমিটার দূরে ভদ্রকালী রামসীতা ঘাট স্ট্রীটের দোলতলায় রামসীতার মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির প্রতিষ্ঠিত, দক্ষিণমুখী, ত্রিখিলানযুক্ত একটি দালান মাত্র। গর্ভগৃহের সামনে অলিন্দ, তার সামনে রোয়াক। শেওড়াফুলির রাজা মনোহর রায়ের পুত্র রাজা রাজচন্দ্র রায় ১১৬৯ সনের ১৫ ই আশ্বিন ( ১৭৬২ খ্রীষ্টাব্দে ) মন্দিরটি এবং মন্দিরে রাম, লক্ষণ, ভরত, শত্রুঘ্ন, হনূমান ও সীতাদেবীর দণ্ডায়মান মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে মন্দিরটি অবশ্য সংস্কার করা হয় এবং গৌর-নিতায়ের মাটির মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মন্দিরের এক দিক পরে বাড়ানো হয়। এই বর্ধিত অংশে শ্যামরায় ও রাধিকার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
রাম, সীতা, লক্ষণ, ভরত, শত্রুঘ্ন ও হনুমানের মূর্তি শ্বেতপাথরে নির্মিত। রামের মূর্তি সবচেয়ে বড়। তারপর লক্ষণ, তারপরে সীতাদেবী। মূর্তি গুলির মুখমণ্ডল খুবই কমনীয় ও শ্রীমণ্ডিত। রাম-লক্ষণ-ভরত -শত্রুঘ্নের বাঁ কাঁধে ধনুক ও ডান হাতে লগুড়। মূর্তি গুলির বস্ত্রগুলি রং দিয়ে সুন্দর ভাবে অঙ্কিত করা হয়েছে। মন্দিরে সকল বিগ্রহই নিত্য পূজিত। মন্দিরটি বর্তমানে ভদ্রকালী দোলতলা দেবসেবা সমিতি কর্তৃক পরিচালিত।
মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ১০.১০.২০১৬
|
রামসীতা মন্দির, ভদ্রকালী, হুগলি |
|
ভদ্রকালী মন্দিরে লাগানো ফলক |
|
রামচন্দ্র ও অন্যান্য মূর্তি |
|
রামচন্দ্র ও লক্ষণের মূর্তি |
|
সীতাদেবীর মূর্তি |
|
ভরত, শত্রুঘ্ন ও হনুমানের মূর্তি |
|
গৌড়-নিতাই মূর্তি |
|
শ্যামরায় ও রাধিকার মূর্তি |
উপরোক্ত মন্দিরে যেতে হলে হাওড়া থেকে পূর্বরেলের মেন লাইনের লোকালে উঠুন। উত্তরপাড়া স্টেশনে নামুন। স্টেশনের পূর্ব দিক থেকে রিকশায় উঠে পৌঁছে যান ভদ্রকালী দোলতলার মন্দিরে। জি. টি. রোড দিয়ে গাড়িতেও যেতে পারেন।
সহায়ক গ্রন্থ :
১) হুগলি জেলার দেব দেউল : সুধীর কুমার মিত্র
২) ভদ্রকালী মন্দিরে লাগানো প্রস্তর ফলক
-------------------------------------------
আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
-------------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন