কৃষ্ণরাই মন্দির, কাঞ্চনপল্লী, কল্যাণী রথতলা, নদিয়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
শিবনিবাসের
কৃষ্ণচন্দ্রীয় মন্দির স্থাপত্যরীতি
অনুসরণ করেই ১৭৮৬ সালে
রথতলার কাঞ্চনপল্লীতে
কৃষ্ণরাইয়ের মন্দির নির্মিত
হয়েছিল। মন্দিরটি বাংলার অন্যতম
বৃহৎ আটচালা মন্দির। মন্দিরে লাগানো
প্রস্তরফলক থেকে জানা যায়
যে ইং ১৭৮৬
সালে ( ১৭০৮ শকাব্দ ) কলকাতা নিবাসী
ধর্মপ্রাণ নয়নচাঁদ মল্লিক ও তাঁর পুত্র গৌর
চরণ মল্লিক এই
মন্দির নির্মাণ করেন।
পরে নিমাই চরণ
মল্লিক ইং ১৮৩৭
সালে বিগ্রহের নিত্য
সেবার স্থায়ী বন্দোবস্ত
করেন।
মন্দিরটি
উঁচু
ভিত্তিবেদির
উপর
স্থাপিত।
আবৃত
অলিন্দে
নক্সাকরা
খিলানযুক্ত
তিনটি
প্রবেশদ্বার বৃহদাকার
স্তম্ভের
উপর
স্থাপিত। স্তম্ভগুলিও
কাজকরা।
দু'টি
জানলার
খিলানও নক্সাকরা।
গর্ভগৃহের কাঠের
দরজায়
খোদিত দশাবতার মূর্তি ও
অপূর্ব
সুন্দর
লতাপাতার শিল্পকর্ম
মুগ্ধ
হয়ে দেখতে
হয়। মন্দিরটি
বিস্তির্ণ
প্রাঙ্গণযুক্ত।
বৃহৎ
দরজা
ও নহবৎখানা
পেরিয়ে
মন্দিরের
ভিতর
প্রবেশ
করতে
হয়।
প্রশস্ত
প্রাঙ্গনের
চারপাশ
পাঁচিল
দিয়ে
ঘেরা। গর্ভগৃহে
বিগ্রহ
একটি
সিংহাসনে
আসীন। বিগ্রহটি
পূর্বে
চৈতন্যদেবের
অন্তরঙ্গ
ভক্ত
শিবানন্দ
সেনের ছিল।
সতের
শতকের
গোড়ার
দিকে
মহারাজ
প্রতাপাদিত্যের
খুল্লতাতপুত্র
কচু
রায়
গঙ্গাতীরে
কৃষ্ণরাইয়ের একটি মন্দির
নির্মাণ
করান।
সেই মন্দিরটি
কালক্রমে
গঙ্গাবক্ষে
নিমজ্জিত
হয়। তখন
পূর্বোক্ত ঐ দুই
ব্যক্তি ১৭৮৬
সালে বর্তমান
মন্দিরটি
নির্মাণ
করান।
বর্তমানে 'সেন শিবানন্দ
শ্রীপাট ' সেবায়ত সমিতি মন্দিরের
দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত।
মন্দিরটির সংস্কারের
প্রয়োজন।
মন্দিরটিতে
যেতে হলে শিয়ালদহ
স্টেশন থেকে কল্যাণী
লোকালে উঠে কল্যাণী
ঘোষপাড়া স্টেশনে নামতে
হবে। স্টেশনে নেমে ITI
মোড় থেকে কাঁচরাপাড়া
গামী ২৭ নং
বাসে উঠে রথতলায়
নামতে হবে। বাস
স্টপেজের অনতিদূরেই
মন্দির । মন্দিরটি দুপুরে বন্ধ
থাকে।
|
মন্দিরের সামনের প্রান্তর |
|
কৃষ্ণরাই মন্দির, কাঞ্চনপল্লী, রথতলা, কল্যাণী - ১ |
|
কৃষ্ণরাই মন্দির, কাঞ্চনপল্লী, রথতলা, কল্যাণী - ২ |
|
মন্দিরের সামনের ত্রিখিলান বিন্যাস |
|
ডান দিকের খিলানের উপরের কাজ |
|
একটি স্তম্ভের কাজ |
|
প্রতিষ্ঠাফলক ও দুটি ফুল |
|
গর্ভগৃহের খিলানের উপরের কাজ |
|
গর্ভগৃহে সিংহাসনে আসীন কৃষ্ণরাই ও রাধিকা |
|
কৃষ্ণরাই ও রাধিকা বিগ্রহ - ১ |
|
কৃষ্ণরাই ও রাধিকা বিগ্রহ - ২ |
|
মন্দিরের দরজার কাঠের কাজ - ১ |
|
মন্দিরের দরজার কাঠের কাজ - ২
মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ২৬.০২.২০১৫
|
সহায়ক গ্রন্থ / প্রবন্ধ :
১. ইতিহাসের
রূপরেখায় নদিয়া ও
নদিয়ার পুরাকীর্তি ( প্রবন্ধ ) :
মোহিত রায় ,পশ্চিমবঙ্গ, নদিয়া
জেলা সংখ্যা , ১৯৯৭
২. বাংলার মন্দির স্থ্যাপত্য
ও ভাস্কর্য :
প্রণব রায়
-------------------------------------------
আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
--------------------------------------------
খুব ভাল তথ্য
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন