লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, আজুড়িয়া, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
শ্যামল কুমার ঘোষ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-২ ব্লকের অধীন একটি গ্রাম আজুরিয়া। হাওড়া-মেদিনীপুর রেলপথে পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে ঘাটাল গামী বাসে প্রথমে গৌরা মোড়। সেখান থেকে টোটো বা ট্রেকারে এই গ্রামে যাওয়া যায়। গ্রামে স্থানীয় চরণ পরিবারের প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী লক্ষ্মীজনার্দনের মন্দিরটি উল্লেখযোগ্য।
উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত মন্দিরটি পূর্বমুখী, ত্রিখিলান প্রবেশপথবিশিষ্ট ও নবরত্ন শৈলীর। গর্ভগৃহের সামনে অলিন্দ। গর্ভগৃহে প্রবেশের দুটি দরজা। একটি পূর্ব দিকে, অপরটি উত্তর দিকে। মন্দিরের সামনের দেওয়ালের তিনটি খিলানের উপরে, দুই প্রান্তের এক সারি করে কুলুঙ্গির মধ্যে এবং বাঁকানো কার্নিসের নিচের দুই সারি কুলুঙ্গির মধ্যে 'টেরাকোটা'র ফলক আছে। 'টেরাকোটা'র বিষয় : কৃষ্ণলীলা, দশাবতার ও রামায়ণের কাহিনী। গর্ভগৃহের সামনের দিকের দরজার দুপাশে দুটি মালাজপরতসাধু ও দুটি 'বাতায়ানবার্তিনী' মূর্তি আছে। উত্তর দিকের শিখর-দেওয়ালে পঙ্খ-পলস্তারায় তৈরি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের মূর্তি লক্ষ্য করা যায়। বাঁকানো কার্নিসের নিচে নিবদ্ধ প্রতিষ্ঠাফলক থেকে জানা যায় যে মন্দিরটি ১৭৯৭ শকাব্দে ( ১৮৭১ খ্রীষ্টাব্দে ) নির্মিত। সম্প্রতি মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু অপটু হাতে চড়া রঙের প্রলেপে 'টেরাকোটা' এখন অনেকটাই ম্লান।
মন্দিরটির কাছাকাছি আটকোণা ও ন'চূড়াযুক্ত একটি রাসমঞ্চ আছে। এর প্রতি খিলানের স্তম্ভে যে বাদিকামূর্তিগুলি আছে তা একান্তই মনোরম।
মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ১৬.০১.২০১৯
সহায়ক গ্রন্থ :
উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত মন্দিরটি পূর্বমুখী, ত্রিখিলান প্রবেশপথবিশিষ্ট ও নবরত্ন শৈলীর। গর্ভগৃহের সামনে অলিন্দ। গর্ভগৃহে প্রবেশের দুটি দরজা। একটি পূর্ব দিকে, অপরটি উত্তর দিকে। মন্দিরের সামনের দেওয়ালের তিনটি খিলানের উপরে, দুই প্রান্তের এক সারি করে কুলুঙ্গির মধ্যে এবং বাঁকানো কার্নিসের নিচের দুই সারি কুলুঙ্গির মধ্যে 'টেরাকোটা'র ফলক আছে। 'টেরাকোটা'র বিষয় : কৃষ্ণলীলা, দশাবতার ও রামায়ণের কাহিনী। গর্ভগৃহের সামনের দিকের দরজার দুপাশে দুটি মালাজপরতসাধু ও দুটি 'বাতায়ানবার্তিনী' মূর্তি আছে। উত্তর দিকের শিখর-দেওয়ালে পঙ্খ-পলস্তারায় তৈরি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের মূর্তি লক্ষ্য করা যায়। বাঁকানো কার্নিসের নিচে নিবদ্ধ প্রতিষ্ঠাফলক থেকে জানা যায় যে মন্দিরটি ১৭৯৭ শকাব্দে ( ১৮৭১ খ্রীষ্টাব্দে ) নির্মিত। সম্প্রতি মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু অপটু হাতে চড়া রঙের প্রলেপে 'টেরাকোটা' এখন অনেকটাই ম্লান।
মন্দিরটির কাছাকাছি আটকোণা ও ন'চূড়াযুক্ত একটি রাসমঞ্চ আছে। এর প্রতি খিলানের স্তম্ভে যে বাদিকামূর্তিগুলি আছে তা একান্তই মনোরম।
মন্দিরটি পরিদর্শনের তারিখ : ১৬.০১.২০১৯
লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, আজুড়িয়া |
মন্দিরের শিখর ( সামনে থেকে তোলা ) |
মন্দিরের শিখর ( বাঁ দিক থেকে তোলা ) |
মন্দিরের সামনের বিন্যাস |
মন্দিরের ত্রিখিলান বিন্যাস |
বাঁ দিকের খিলানের উপরের কাজ |
মাঝের খিলানের উপরের কাজ |
ডান দিকের খিলানের উপরের কাজ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ১ |
কুলুঙ্গির মধ্যের কাজ - ২ |
ডান দিকের কোনাচ |
প্রতিষ্ঠাফলক |
গর্ভগৃহের দরজার খিলানের উপরের কাজ |
দরজার একপাশের মূর্তি |
'বাতায়নবর্তিনী' |
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর |
রাসমঞ্চ |
রাসমঞ্চের নিচের অংশ - ১ |
রাসমঞ্চের নিচের অংশ - ২ |
খিলানের কাজ |
বাদিকামূর্তি - ১ |
বাদিকামূর্তি - ২ |
বাদিকামূর্তি - ৩ |
বাদিকামূর্তি - ৪ |
বাদিকামূর্তি - ৫ |
বাদিকামূর্তি - ৬ |
বাদিকামূর্তি - ৭ |
বাদিকামূর্তি - ৮ |
বাদিকামূর্তি - ৯ |
বাদিকামূর্তি - ১০ |
বাদিকামূর্তি - ১১ |
সহায়ক গ্রন্থ :
১) পুরাকীর্তি সমীক্ষা : মেদিনীপুর ~ তারাপদ সাঁতরা
*****
|
এইভাবে রং করে টেরাকোটা মূর্তিগুলোকে খুন করা হয়েছে, তার সাথে খুন হয়ে গিয়েছে পুরো মন্দিরটা। ছিঃ ছিঃ
উত্তরমুছুনএকদম
উত্তরমুছুন