শিবমন্দির ও বুড়িমার মন্দির, বহিরগাছি, নদিয়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
শিয়ালদহ-লালগোলা রেলপথে মুড়াগাছা একটি স্টেশন। শিয়ালদহ থেকে দূরত্ব ১১৭ কিমি। মুড়াগাছা স্টেশন থেকে ৩ কিমি পশ্চিমে বহিরগাছি গ্রাম। মুড়াগাছার পরের স্টেশন বেথুয়াডহরী। সেখান থেকেও টোটোতে ধর্মদা হয়ে এই গ্রামে যাওয়া যায়। কৃষ্ণনগর থেকে বাসেও যেতে পারেন।
বহিরগাছি ছিল নদিয়ারাজাদের গুরুর গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে মৃতপ্রায় নদী গুড়গুড়িয়া বা গুড়গুড়ে প্রবাহিত। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এই নদী পথে গুরুগৃহে আসতেন। রঘুনাথ সিদ্ধান্তবাগীশ ছিলেন নদিয়ারাজ রুদ্র রায়ের গুরুদেব। পণ্ডিত রামভদ্র ন্যায়ালংকার ছিলেন নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের গুরু। তাঁদের আদি নিবাস ছিল যশোহর জেলার সারল গ্রামে। কৃষ্ণনগর থেকে সারল গ্রামের দূরত্বের জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগরের কাছে, বহিরগাছি গ্রামে, গুরুদেবের জন্য বাসগৃহ, দ্বাদশ শিবমন্দির, দেবালয় ইত্যাদি নির্মাণ করে দেন।
বারোটি শিবমন্দিরের মধ্যে এখন একটি চারচালা মন্দির অবশিষ্ট আছে। বহুবার সংস্কৃত এই মন্দিরের সামনে খিলানের উপর সামান্য কাজ আছে। মন্দিরের মধ্যে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ নিত্যপূজিত। ভট্টাচার্য পাড়ায় এই পণ্ডিত বংশের বিভিন্ন শরিকদের গৃহে পুরানো পুঁথি ও অন্যান্য পুৱাবস্তু আজও বর্তমান।
|
শিবমন্দির |
|
খিলানের উপরের কাজ |
|
মন্দিরের শিবলিঙ্গ |
বহিরগাছি গ্রামের গ্রাম্য দেবী বুড়িমা। বুড়িমা কালীরই এক রূপ। বটগাছের নিচে তাঁর বেদি। পাশেই তাঁর মন্দির। বুড়িমা খুব জাগ্রত দেবী। মাঘ মাসের শেষে খুব ধুমধামের সঙ্গে ব্যৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
|
বুড়িমার নতুন মন্দির |
|
বুড়িমা |
সহায়ক গ্রন্থ :
১) নদীয়া জেলার পুরাকীর্তি : মোহিত রায় ( তথ্য-সংকলন ও গ্রন্থনা )
-------------------------- আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন