শ্রীশ্রী দ্বারিকা চণ্ডী মন্দির, দ্বারহাট্টা, হরিপাল, হুগলী
শ্যামল কুমার ঘোষ
দ্বারিকা চণ্ডীর পূর্বের মন্দির মোহিনী মোহন সিংহ রায়ের পূর্বপুরুষ নির্মাণ করেন। মন্দিরটি ১১২৬ সালে স্থাপিত বলে মন্দিরের গায়ে একটি প্রস্তর-ফলক লাগানো আছে। সেই মন্দির টেরাকোটা অলংকরণে অলংকৃত ছিল। পরে মন্দিরটি জীর্ণ হয়ে গেলে সর্বসাধারণের আর্থিক ও সক্রিয় সহায়তায় ৬ ই আশ্বিন, ১৪১৩ সনে মন্দিরটি নতুন ভাবে গড়ে ওঠে। বর্তমান মন্দিরের বাইরের দেওয়ালে কোন টেরাকোটার অলংকরণ নেই। অলিন্দে সামান্যই টেরাকোটা অবশিষ্ট আছে। মন্দিরটি অল্প উঁচু ভিত্তিবেদির উপর প্রতিষ্ঠিত, পূর্বমুখী, আটচালা রীতির। গর্ভগৃহের সামনে আবৃত অলিন্দ আছে। মন্দিরের পিছনে পঞ্চমুণ্ডীর আসন ও পাশে দেবীর পুকুর এখনও আছে।
গর্ভগৃহে শ্রীশ্রী দ্বারিকা চণ্ডী প্রতিষ্ঠিত ও নিত্য পূজিত। দ্বারিকা চণ্ডী চতুর্ভুজা দুর্গা মূর্তি। দেবীর সঙ্গে আছেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গনেশ। কিন্তু মহিষাসুর অনুপস্থিত। দুর্গা পুজোর সময় দ্বারিকা চণ্ডীর বলিদান হওয়ার পর চারপাশের দশ-বারটি গ্রামের পুজোর বলিদান হয়।
শ্রীশ্রী দ্বারিকা চণ্ডীর মন্দির, দ্বারহাট্টা |
মন্দিরের সামনের বিন্যাস |
মন্দিরের শিখরদেশ |
মন্দিরের পিছনের পঞ্চমুমুণ্ডীর আসন |
শ্রীশ্রী দ্বারিকা চণ্ডী মাতা - ১ |
শ্রীশ্রী দ্বারিকা চণ্ডী মাতা - ২ |
দ্বারহাট্টার মন্দিরে যেতে হলে হাওড়া থেকে তারকেশ্বর লোকালে উঠুন। নামুন হরিপাল স্টেশনে। স্টেশনের পাশ থেকে বড়গাছিয়া গামী বাসে উঠুন। নামুন রামহাটিতলা। সেখান থেকে রিকশায় বা হেঁটে মন্দির। রিকশায় গেলে রিকশা ছাড়বেন না। কারণ ফিরতি পথে রিকশা পাবেন না।
সহায়ক গ্রন্থ :
১) হুগলি জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ ( ৩ য় খণ্ড ) : সুধীর কুমার মিত্র
দ্বারহাট্টার আর একটি মন্দির রাজরাজেশ্বর মন্দির সম্বন্ধে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :
শ্রীশ্রী রাজরাজেশ্বর মন্দির, দ্বারহাট্টা, হুগলি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন