Pages

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

Chandi Temple, Purba Gobindapur Palpara, Prasadpur, Hooghly


শ্রীশ্রী চণ্ডীমাতার  মন্দির,  পূর্বগোবিন্দপুর  পালপাড়া,  হুগলি 

                       শ্যামল  কুমার  ঘোষ 


               হাওড়া-তারকেশ্বর  রেলপথে  হরিপাল  ১৬ তম   রেলস্টেশন।  রেলপথে  হাওড়া  থেকে  দূরত্ব  ৪৫  কিমি।  হরিপাল  স্টেশন  থেকে  হরিপাল-জাঙ্গিপাড়া-জগৎবল্লভপুর  রাস্তার  উপর  জাঙ্গিপাড়া  ব্লকের  একটি  গ্রাম  প্রসাদপুর।  এই  গ্রাম  থেকে  এক  কিমি  দূরের  একটি  গ্রাম  পূর্ব  গোবিন্দপুর।  এই  গ্রামে   ১৬৪৯  শকাব্দে  ( ১৭২৭  খ্রীষ্টাব্দে )  নির্মিত  চণ্ডীমন্দিরটি  উল্লেখযোগ্য। 

               অল্প  উঁচু  ভিত্তিবেদির  উপর  প্রতিষ্ঠিত,  দক্ষিণমুখী,  ত্রিখিলান  প্রবেশপথযুক্ত  মন্দিরটি  আটচালা  শৈলীর।  গর্ভগৃহের  সামনে  ঢাকা  বারান্দা  আছে।  গর্ভগৃহে  ঢোকার  দুটি  দরজা।  একটি  সামনে  এবং  আর  একটি  পূর্ব  দিকে।  মন্দিরের  সামনের  দেওয়াল  টেরাকোটা  অলংকারযুক্ত।  কিন্তু  সংস্কারের  সময়  'টেরাকোটা'র  উপর  রঙের  প্রলেপ  দেওয়াতে  তা  অনেকটাই  ম্লান  হয়ে  গেছে।  বাং  ১৩৩৫  ও  ১৪১৫  সালে  মন্দিরটির  সংস্কার  করা  হয়।  মন্দিরটি  নির্মাণ  করেন  স্থানীয়  পাল  পরিবার।  মন্দিরে  চণ্ডী  ছাড়াও  মনসা, শীতলা,  লক্ষ্মী-নারায়ণ  এবং  মা  মঙ্গলচণ্ডীও  পূজিত  হন। 

চণ্ডী  মাতার  মন্দির,  পূর্ব  গোবিন্দপুর

মন্দিরের  সামনের  বিন্যাস

প্রতিষ্ঠাফলক

এক  পাশের  খিলানের  উপরের  কাজ

মাঝের  খিলানের  উপরের  কাজ

রামরাবণের   যুদ্ধ

মন্দিরের  কোনাচ 

মন্দিরের  টেরাকোটার  কাজ

               পূর্ব  গোবিন্দপুরের  মন্দিরে  যেতে  হলে  হাওড়া  থেকে  তারকেশ্বর  লোকালে  উঠুন।  নামুন  হরিপাল  স্টেশনে।  স্টেশনের  পাশ  থেকে  জগৎবল্লভপুর/ বড়গাছিয়া  গামী  বাসে  বা  ট্রেকারে  উঠুন।  যদি  তা  না  পান  তবে  জাঙ্গিপাড়া  থানা  গামী  ট্রেকারে  উঠুন।  জাঙ্গিপাড়া  থানা  থেকে  বাস  বা  'ম্যাজিক'  গাড়িতে  উঠুন।  নামুন  প্রসাদপুর।  সেখান  থেকে  রিকশায়  বা  হেঁটে  মন্দির।  এখানে  গেলে  পাশের  গ্রাম  চেচুয়া  ডিঙ্গলহাটি  গ্রামের   লক্ষ্মীজনার্দন  মন্দির  দেখে  আসতে  পারেন।  মন্দিরটি  সম্বন্ধে  জানতে  ক্লিক  করুন:  ক্ষ্মীজনার্দন  মন্দির,  চেচুয়া  ডিঙ্গলহাটি 


  সহায়ক  গ্রন্থ :

                  ১)  হুগলি  জেলার  পুরাকীর্তি :  নরেন্দ্রনাথ  ভট্টাচার্য

----------------------------------------------------------

রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।


 বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন :  9038130757 এই নম্বরে। 

কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।  

--------------------------------------------------------         

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন