বুড়ো শিব মন্দির, হরিরামপুর শিবতলা, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
হাওড়া-তারকেশ্বর রেলপথে হরিপাল ১৬ তম রেলস্টেশন। রেলপথে হাওড়া থেকে দূরত্ব ৪৫ কিমি। হরিপাল স্টেশন থেকে হরিপাল-জাঙ্গিপাড়া-জগৎবল্লভপুর রাস্তায় উপর, জাঙ্গিপাড়া ব্লকের অন্তর্গত কোতলপুর অঞ্চল পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত একটি গ্রাম মোহনবাটি। এই গ্রাম থেকে দুই কিমি দূরের একটি গ্রাম হরিরামপুর। এখানে শিবতলায় উনিশ শতকে নির্মিত একটি শিবমন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি বুড়ো শিবের মন্দির নামে পরিচিত।
মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর প্রতিষ্ঠিত, পশ্চিমমুখী, একদ্বারবিশিষ্ট, আটচালা শৈলীর। মন্দিরে কোন ঢাকা বারান্দা নেই। মন্দিরের সামনের দেওয়াল টেরাকোটা অলংকরণে অলংকৃত। যদিও সেই টেরাকোটার অনেক ফলক নষ্ট হয়ে গেছে। যা অবশিষ্ট আছে তাও সংস্কারের সময় রঙের প্রলেপ দেওয়ায় অনেকটাই ম্লান। গর্ভগৃহের সামনে পত্রাকৃতি খিলান। খিলানের উপরে চোদ্দটি আটচালা প্রতীক মন্দির। তার মধ্যে পর্যায়ক্রমে শিবলিঙ্গ ও বিভিন্ন মূর্তি। তার উপরে রামরাবণের যুদ্ধ। এছাড়া কুলুঙ্গির মধ্যে বিভিন্ন মূর্তি আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি দশভুজা মূর্তি।
এই মন্দিরের কাছেই বকশি পাড়ায় ( সারদাময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ) একটি ভাঙা শিবমন্দির এখনও আছে। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। উঁচু ভিত্তিবেদির উপর প্রতিষ্ঠিত, পশ্চিমমুখী মন্দিরটির সামনের দেওয়াল টেরাকোটার অলংকারযুক্ত। কিন্তু সেই 'টেরাকোটা'র সামান্যই অবশিষ্ট আছে। মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে পত্রাকৃতি খিলান। খিলানের উপরে যুদ্ধের দৃশ্য ( সম্ভবত রাম-রাবণের যুদ্ধ )। দরজার দুপাশে দুটি স্তম্ভ। এছাড়া প্রচুর নকশাও আছ। গর্ভগৃহে শিবলিঙ্গ এখনও পূজিত হন।
কী ভাবে যাবেন ?
হরিরামপুরের উপরোক্ত মন্দিরদুটিতে যেতে হলে হাওড়া থেকে তারকেশ্বর লোকালে উঠুন। নামুন হরিপাল স্টেশনে। স্টেশনের পাশ থেকে জগৎবল্লভপুর / বড়গাছিয়া গামী বাসে উঠুন। যদি এই বাস না পান তবে জাঙ্গিপাড়া থানা গামী ট্রেকারে উঠুন। জাঙ্গিপাড়া থানা থেকে বাস বা 'ম্যাজিক' গাড়িতে উঠুন। নামুন মোহনবাটি। সেখান থেকে হেঁটে মন্দির। অনেকটা হাঁটতে হবে। প্রথমে গ্রাম পড়বে চাঁকপুর। তারপর হরিরামপুর। এখানে পালপাড়ায় আর একটি আটচালা শিবমন্দির আছে। সেটাও দেখে নিতে পারেন।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
শ্যামল কুমার ঘোষ
হাওড়া-তারকেশ্বর রেলপথে হরিপাল ১৬ তম রেলস্টেশন। রেলপথে হাওড়া থেকে দূরত্ব ৪৫ কিমি। হরিপাল স্টেশন থেকে হরিপাল-জাঙ্গিপাড়া-জগৎবল্লভপুর রাস্তায় উপর, জাঙ্গিপাড়া ব্লকের অন্তর্গত কোতলপুর অঞ্চল পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত একটি গ্রাম মোহনবাটি। এই গ্রাম থেকে দুই কিমি দূরের একটি গ্রাম হরিরামপুর। এখানে শিবতলায় উনিশ শতকে নির্মিত একটি শিবমন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি বুড়ো শিবের মন্দির নামে পরিচিত।
মন্দিরটি উঁচু ভিত্তিবেদির উপর প্রতিষ্ঠিত, পশ্চিমমুখী, একদ্বারবিশিষ্ট, আটচালা শৈলীর। মন্দিরে কোন ঢাকা বারান্দা নেই। মন্দিরের সামনের দেওয়াল টেরাকোটা অলংকরণে অলংকৃত। যদিও সেই টেরাকোটার অনেক ফলক নষ্ট হয়ে গেছে। যা অবশিষ্ট আছে তাও সংস্কারের সময় রঙের প্রলেপ দেওয়ায় অনেকটাই ম্লান। গর্ভগৃহের সামনে পত্রাকৃতি খিলান। খিলানের উপরে চোদ্দটি আটচালা প্রতীক মন্দির। তার মধ্যে পর্যায়ক্রমে শিবলিঙ্গ ও বিভিন্ন মূর্তি। তার উপরে রামরাবণের যুদ্ধ। এছাড়া কুলুঙ্গির মধ্যে বিভিন্ন মূর্তি আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি দশভুজা মূর্তি।
![]() |
শিব মন্দির |
![]() |
মন্দিরের সামনের বিন্যাস |
![]() |
খিলানের উপরের কাজ |
![]() |
রাম-রাবণের যুদ্ধ |
![]() |
কুলুঙ্গির মধ্যে বিভিন্ন মূর্তি - ১ |
![]() |
কুলুঙ্গির মধ্যে বিভিন্ন মূর্তি - ২ |
![]() |
দশভুজা মূর্তি |
এই মন্দিরের কাছেই বকশি পাড়ায় ( সারদাময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ) একটি ভাঙা শিবমন্দির এখনও আছে। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। উঁচু ভিত্তিবেদির উপর প্রতিষ্ঠিত, পশ্চিমমুখী মন্দিরটির সামনের দেওয়াল টেরাকোটার অলংকারযুক্ত। কিন্তু সেই 'টেরাকোটা'র সামান্যই অবশিষ্ট আছে। মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে পত্রাকৃতি খিলান। খিলানের উপরে যুদ্ধের দৃশ্য ( সম্ভবত রাম-রাবণের যুদ্ধ )। দরজার দুপাশে দুটি স্তম্ভ। এছাড়া প্রচুর নকশাও আছ। গর্ভগৃহে শিবলিঙ্গ এখনও পূজিত হন।
![]() |
ভগ্ন শিবমন্দির |
![]() |
মন্দিরের সামনের বিন্যাস - ১ |
![]() |
মন্দিরের সামনের বিন্যাস - ২ |
![]() |
মন্দিরের খিলান |
![]() |
মন্দিরের কোনাচ |
![]() |
মন্দিরের টেরাকোটার কাজ - ১ |
![]() |
মন্দিরের টেরাকোটার কাজ - ২ |
![]() |
মন্দিরের টেরাকোটার কাজ - ৩ |
![]() |
মন্দিরের এক দিকের স্তম্ভ |
![]() |
অন্য দিকের স্তম্ভ |
![]() |
প্রতিষ্ঠাফলক |
![]() |
রাম-রাবণের যুদ্ধ ( আংশিক ) |
হরিরামপুরের উপরোক্ত মন্দিরদুটিতে যেতে হলে হাওড়া থেকে তারকেশ্বর লোকালে উঠুন। নামুন হরিপাল স্টেশনে। স্টেশনের পাশ থেকে জগৎবল্লভপুর / বড়গাছিয়া গামী বাসে উঠুন। যদি এই বাস না পান তবে জাঙ্গিপাড়া থানা গামী ট্রেকারে উঠুন। জাঙ্গিপাড়া থানা থেকে বাস বা 'ম্যাজিক' গাড়িতে উঠুন। নামুন মোহনবাটি। সেখান থেকে হেঁটে মন্দির। অনেকটা হাঁটতে হবে। প্রথমে গ্রাম পড়বে চাঁকপুর। তারপর হরিরামপুর। এখানে পালপাড়ায় আর একটি আটচালা শিবমন্দির আছে। সেটাও দেখে নিতে পারেন।
মন্দিরদুটি পরিদর্শনের তারিখ : ১৬.১২.২০১৬
সহায়ক গ্রন্থ :
১) হুগলি জেলার পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
১) হুগলি জেলার পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
---------------------------------
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
--------------------------------------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন