শ্যামসুন্দর জিউ মন্দির, বাঁশবুনিয়া গোস্বামী বাড়ি, শান্তিপুর, নদিয়া
শ্যামল কুমার ঘোষ
বৈষ্ণব চূড়ামণি শ্রীঅদ্বৈতাচার্য়ের চতুর্থ পুত্র বলরাম গোস্বামীর জ্যেষ্ঠ পুত্র মথুরেশ গোস্বামীর কনিষ্ঠ পুত্র রামেশ্বর থেকেই ছোট গোস্বামী বাড়ির উৎপত্তি। রামেশ্বর গোস্বামীর ছোট পুত্র সন্তোষ গোস্বামীই বাঁশবুনিয়া গোস্বামী বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা। কথিত আছে, আগে এখানে বাঁশগাছের বন ছিল। সেজন্যই নাম বাঁশবুনিয়া।
আনুমানিক ৩৫০ বছর আগে সন্তোষ গোস্বামী বাঁশবন পরিষ্কার করে শ্যামসুন্দর জীউর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। মূল মন্দির ছাড়াও এই গোস্বামী বাড়িতে একটি ভোগ মন্দির ও কিছুটা দূরে একটি রাস মন্দির আছে। আগে এখানে বিদ্যাচর্চার জন্য টোল ছিল। এই বাড়িতে আগে দুর্গাপূজাও হত ধুমধামের সঙ্গে।
নিত্যানন্দ গোস্বামী ছিলেন এই বংশের সুসন্তান । তিনি শান্তিপুরে বাংলা (অধুনা হিন্দু ) স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন এবং বাংলা ভাষায় " বঙ্গভাষা ব্যকরণ " ও " সুলভ ব্যকরণ " পুস্তক রচনা করেন। বর্তমানে এই বংশের অষ্টম পুরুষদের দ্বারা শ্রীশ্রীশ্যামসুন্দর জীউর সেবাকার্য পরিচালিত হচ্ছে।
শান্তিপুরে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন। রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে। তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন।
সহায়ক গ্রন্থ :
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
শান্তিপুরে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে শান্তিপুর লোকাল ধরুন। রেলপথে শান্তিপুরের দূরত্ব ৯৩ কি. মি. ; ট্রেনে সময় লাগে ঘন্টা আড়াই। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক শান্তিপুরের ওপর দিয়ে গেছে। তাই বাসে বা গাড়িতেও যেতে পারেন।
বাঁশবুনিয়া গোস্বামী বাড়ির তোরণপথ |
শ্রীশ্রী শ্যামসুন্দর জিউ মন্দির |
ভোগ মন্দির |
রাসমন্দির |
শ্রীশ্রী শ্যামসুন্দর বিগ্রহ - ১ |
শ্রীশ্রী শ্যামসুন্দর বিগ্রহ - ২ |
১. রাসোৎসব - ২০১৫ উপলক্ষে শান্তিপুর বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা
-----------------------
আমার ইমেল : shyamalfpb@gmail.com প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন