বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ -

 

          রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' গত বইমেলাতে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মুদ্রিত মূল্য - ৫৯৯ টাকা।


বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন :  9038130757 এই নম্বরে। 

         কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় রা প্রকাশনের দোকান 'রা বইহেমিয়ন'ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।

            প্রকাশনীতে বইটা বেস্টসেলার হয়েছে। 



বইটির কয়েক জনের পাঠ-প্রতিক্রিয়া -

Avijit Kumar Chatterjee

বইটি খুলতেই যেন এক ভিন্ন জগতে প্রবেশ। প্রতিটি পাতা যেন কথায় কথায় গল্প বলে; ইতিহাসের সোনালি ধুলোয় মোড়া প্রাচীন মন্দিরের অলিন্দ থেকে ভেসে আসে কৃত্তিবাসী রামায়ণের ধ্বনি। আর সেই ধ্বনির সঙ্গে বইয়ের প্রতিটি ছবির উপস্থাপনা এমনভাবে মিলেমিশে গেছে, যে আপনি অনুভব করবেন যেন স্বচক্ষে দেখে চলেছেন -- মন্দির গাত্রে উৎকীর্ণ রামায়ণ কাহিনীর অলঙ্কৃত টেরাকোটা ফলক।
লেখক নিছক তথ্যের স্তূপ নয়, বরং বাংলার মন্দির স্থাপত্যের এক অপরূপ রূপকথা বুনেছেন প্রতিটি শব্দে। কৃত্তিবাসী রামায়ণের দুরূহ ও অপ্রচলিত শব্দগুলোর অর্থ অত্যন্ত যত্ন সহকারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যাতে পাঠক অতি সহজেই গ্রন্থটির গভীরে প্রবেশ করতে পারেন।
বইটির সজ্জা, ছবি এবং বিষয়ের গভীরতা শুধু তথ্যবহুল নয়, শিল্পসমৃদ্ধও বটে। সাদা-কালো ছবির ব্যবহারে প্রকাশক এক প্রাচীন সৌন্দর্যের ছোঁয়া এনেছেন, যা পাঠকের চোখে কেবল ইতিহাস নয়, বরং এক শিল্পের মাধুর্য তুলে ধরে। এটি নিছক এক গ্রন্থ নয়, বরং বাংলার মাটির বুকে লুকিয়ে থাকা এক অপরূপ রূপকথা।



Radheshyam Sutradhar নমস্কার l আমার বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরে বাড়ি l আপনার লেখা টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ বইটি আমি সংগ্রহ করেছি l অসাধারণ লিখেছেন l নেক্সট আর একটি টেরাকোটা বিষয়ে বইয়ের অপেক্ষায় থাকলাম ll


অখিল বিশ্বাস
মূল্যবান কাজ। ধন্যবাদ। 

Abhishek Adhikari
এই বইটি মন্দির গবেষণা কার্যে একটি অমূল্য সংযোজন হয়েছে।

Ganesh Bhattacharyya
প্রচ্ছদেই অনুমেয় যে অসাধারণ একটি গ্রন্থ৷


মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫

Annapurna Temple, Golak Kayal Thakurbari, Harish Chatterjee Street

        

                           অন্নপূর্ণা মন্দির, গোলক কয়াল ঠাকুরবাড়ি,

হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট, ভবানীপুর, কলকাতা 

         

         হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট থেকে এই ঠাকুরবাড়ির গলি পথে ঢুকে একটু এগিয়ে প্রথমে বাঁ দিকে এবং তারপর ডান দিকে ঘুরলে প্রথমেই পড়বে একটি আটচালা শিবমন্দির। অল্প উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, দক্ষিণমুখী শিবমন্দিরে একটি কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত ও নিত্য পূজিত। শিবমন্দিরের গায়ে একটি শ্বেতপাথরের ফলক আছে। এর পর এই শিবমন্দিরের লাগোয়া কয়েকটি ঘর সংবলিত, দক্ষিণমুখী ও একটি লম্বা-টানা অলিন্দযুক্ত দালান শৈলীর কয়ালদের ঠাকুরবাড়ি। বাঁ দিকের প্রথম ঘরটিতে আছেন রাধামাধব ও রাধারানি বিগ্রহ। রাধামাধব কালো পাথরের ও রাধারানি ধাতুময়ী। এছাড়াও এই ঘরে আছেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা, কালী, শণি, নাড়ু গোপাল ইত্যাদি অনেক দেবদেবী। সমস্ত বিগ্রহই নিত্য পূজিত।  

            এই ঘরের ডানদিকের একটি ঘরে দক্ষিণ দিকে মুখ করে আছেন দারু নির্মিত মা অন্নপূর্ণার মূর্তি। এখানে উল্লেখ্য, মা অন্নপূর্ণার প্রচলিত যে মূর্তি সর্বত্র দেখা যায় তা হল, অন্নপূর্ণার ডান হাতে অন্নদান করার হাতা, বাঁ হাতে অন্নপাত্র এবং তাঁর ডান পাশে শিব ভিক্ষাপাত্র হাতে বা ভিক্ষার ঝোলা কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ মন্দিরে দেখা যায়, একটি কাঠের সিংহাসনে মা অন্নপূর্ণা উপবিষ্টা। তাঁর ডান হাতে অন্নদান করার হাতা, বাঁ হাতে অন্নপাত্র। কিন্তু অন্নপূর্ণার ডান পাশে জায়গা না থাকার জন্য অন্নপূর্ণার সামনে, ঘরের বাঁ দিকে পূর্ব দিকে মুখ করে দণ্ডায়মান অবস্থায় আছেন গঙ্গাধর শিব। এই বিগ্রহ সিমেন্টের। শিবের ডান হাতে একটি ডমরু ঝোলানো ও ডান কাঁধে একটি কাপড়ের ঝোলা আছে। এছাড়াও এই ঘরে আছেন শ্বেতপাথরের বিষ্ণু ও লক্ষ্মী মূর্তি। বিগ্রহগুলি নিত্য পূজিত।

            ১২৮৯  বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে গোলক চন্দ্র কয়াল কালীঘাটের আদিগঙ্গার তীরে এই ঠাকুরবাড়ি ও সংলগ্ন ঘাটটি প্রতিষ্ঠা করেন। ঠাকুরবাড়ির সংলগ্ন ঘাটটি গোলক কয়ালের ঘাট নামে পরিচিত। নিত্য পূজা ছাড়াও চৈত্র মাসে অন্নপূজার সময় অন্নপূর্ণার বিশেষ পূজা ও অন্নকুট উৎসব পালিত হয়। বাকি দেবদেবীর বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ পূজাও অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতায় দারুনির্মিত অন্নপূর্ণার মূর্তি আর কোথাও দেখা যায় না। ঠাকুরবাড়ির বাইরের দেওয়ালে কলকাতা কর্পোরেশন কর্তৃক লেখা ( 'গোলক কয়াল ঘাট  গ্রেড ১  হেরিটেজের মর্যাদা প্রাপ্ত' ) একটি ধাতব ফলক লাগানো আছে। 


রাধামাধব ও রাধারানি

দারু নির্মিত মা অন্নপূর্ণা
গঙ্গাধর শিব

শ্বেতপাথরের বিষ্ণু ও লক্ষ্মী মূর্তি

কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ

দেওয়ালে লাগানো শ্বেতপাথরের ফলক 

কলকাতা কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত গ্রেড ১  হেরিটেজ ফলক 

           কী ভাবে যাবেন?

            ধর্মতলা থেকে ভবানীপুর গামী যেকোনও বাসে উঠে চক্রবেড়িয়াতে নামুন। সেখান থেকে সুহাসিনী গাঙ্গুলি সরণি ধরে আদি গঙ্গার দিকে হাঁটলে গোলক কয়াল ঠাকুরবাড়ি পৌঁছে যাবেন।   

    ----------------------------------------

রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মুদ্রিত মূল্য - ৫৯৯ টাকা।


বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন :  9038130757 এই নম্বরে। 

কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র বিপণি। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরের যে কোনো একটিতে ফোন করতে পারেন।

      প্রকাশনীতে বইটা বেস্টসেলার হয়েছে। 



সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫

Book : Banglar Terracotta Mandire Ramayana

    বই :  বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ 

                        ---------------------------

রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে। বইটির মুদ্রিত মূল্য - ৫৯৯ টাকা। 


 বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন :  9038130757 এই নম্বরে। 

কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।

      প্রকাশনীতে বইটা বেস্টসেলার হয়েছে।