রাধাবল্লভ মন্দির, খানাকুল-কৃষ্ণনগর, হুগলি
শ্যামল কুমার ঘোষ
খানাকুল থানা ও খানাকুল ব্লকের অন্তর্গত একটি গ্রাম কৃষ্ণনগর। খানাকুল থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত। হুগলি জেলায় কৃষ্ণনগর নামে আরও একটি প্রসিদ্ধ গ্রাম আছে। তাই তার থেকে পৃথক করার জন্য এটিকে খানাকুল-কৃষ্ণনগর বলে অভিহিত করা হয়। অন্য কৃষ্ণনগরকে জাঙ্গিপাড়া-কৃষ্ণনগর বলা হয়। তারকেশ্বর বা আরামবাগ থেকে বাসে এখানে যাওয়া যায়। যাদবেন্দ্র চৌধুরী ও তাঁর পৌত্র বংশীধর চৌধুরী সপ্তদশ শতাদ্বীতে পণ্ডিত নারায়ণ চন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ওরফে নারাণ ঠাকুরের সহায়তায় এই অঞ্চলের তিনশ গ্রাম নিয়ে খানাকুল-কৃষ্ণনগরের সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই অঞ্চল সেই সময় সমগ্র বাংলায় একটি আদর্শ স্থান বলে গণ্য হত। বংশীধর চৌধুরী খানাকুল-কৃষ্ণনগরের সমাজ স্থাপনের জন্য বঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ কুলীন ও পণ্ডিতদের নিয়ে এসে এই স্থানে বসবাস করান। একমাত্র নবদ্বীপ ছাড়া এত পণ্ডিত ব্যক্তির বাস বাংলায় আর কোথাও ছিল না বলে এই স্থানকে তখন দ্বিতীয় নবদ্বীপ বলা হত। যাদবেন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত খানাকুল-কৃষ্ণনগরের রাধাবল্লভ জিউর মন্দিরটি প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের এক অপূর্ব নিদর্শন।
উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, পূর্বমুখী রাধাবল্লভ মন্দিরটি একরত্ন বা এক শিখর বিশিষ্ট। বর্গাকার মন্দিরের গর্ভগৃহের উপর চারচালা শৈলীর একরত্নটি ক্রমহ্রস্বমান আকৃতিতে সরু হয়ে উঠে যাওয়ায় একরত্ন মন্দির শিল্পের এক নতুন দর্শনীয় দৃষ্টান্ত হয়েছে। মন্দিরের সামনে ও দক্ষিণ দিকে তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ। মন্দিরের সামনে ও দক্ষিণ দিকে অলিন্দ। মন্দিরের পরিমাপ দৈর্ঘ্যে ১৪.৯ মিটার এবং প্রস্থে ১৪.২৫ মিটার। মন্দিরের সামনের পুরো দেওয়াল জুড়ে 'টেরাকোটা' অলংকরণ বর্তমান। তবে এই 'টেরাকোটা'য় মূর্তি অনুপস্থিত। দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে অল্প 'টেরাকোটা' এবং রত্নের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকেও 'টেরাকোটা' বর্তমান। অলিন্দে রঙিন পঙ্খের কাজ দর্শনীয়। গর্ভগৃহে রাধাবাবল্লভ-রাধিকা ও অপর একজোড়া কৃষ্ণ-রাধিকা মূর্তি নিত্য পূজিত।
মন্দিরটির পরিদর্শনের তারিখ : ২২.১২.২০১৭
উঁচু ভিত্তিবেদির উপর স্থাপিত, পূর্বমুখী রাধাবল্লভ মন্দিরটি একরত্ন বা এক শিখর বিশিষ্ট। বর্গাকার মন্দিরের গর্ভগৃহের উপর চারচালা শৈলীর একরত্নটি ক্রমহ্রস্বমান আকৃতিতে সরু হয়ে উঠে যাওয়ায় একরত্ন মন্দির শিল্পের এক নতুন দর্শনীয় দৃষ্টান্ত হয়েছে। মন্দিরের সামনে ও দক্ষিণ দিকে তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ। মন্দিরের সামনে ও দক্ষিণ দিকে অলিন্দ। মন্দিরের পরিমাপ দৈর্ঘ্যে ১৪.৯ মিটার এবং প্রস্থে ১৪.২৫ মিটার। মন্দিরের সামনের পুরো দেওয়াল জুড়ে 'টেরাকোটা' অলংকরণ বর্তমান। তবে এই 'টেরাকোটা'য় মূর্তি অনুপস্থিত। দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে অল্প 'টেরাকোটা' এবং রত্নের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকেও 'টেরাকোটা' বর্তমান। অলিন্দে রঙিন পঙ্খের কাজ দর্শনীয়। গর্ভগৃহে রাধাবাবল্লভ-রাধিকা ও অপর একজোড়া কৃষ্ণ-রাধিকা মূর্তি নিত্য পূজিত।
মন্দিরটির পরিদর্শনের তারিখ : ২২.১২.২০১৭
![]() |
শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ মন্দির ( বাঁ দিক থেকে তোলা ) |
![]() |
রাধাবল্লভ মন্দিরের ফটক |
![]() |
ফটকের উপরে পঙ্খের কাজ |
![]() |
শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ মন্দির ( বাঁ দিক থেকে তোলা, বড় করে ) |
![]() |
শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ মন্দির ( সামনে থেকে তোলা ) |
![]() |
মন্দিরের সামনের ত্রিখিলান বিন্যাস |
![]() |
বাঁ দিকের খিলানের উপরের কাজ |
![]() |
মাঝের খিলানের উপরের কাজ |
![]() |
ডান দিকের খিলানের উপরের কাজ |
![]() |
দক্ষিণ দিকের তিনটি খিলানের একটি খিলান |
![]() |
মন্দিরের এক প্রান্তের টেরাকোটার কাজ |
![]() |
টেরাকোটার কাজ - ১ |
![]() |
টেরাকোটার কাজ - ২ |
![]() |
মন্দিরের চারচালা রত্ন |
![]() |
শ্রীশ্রী রাধাবল্লভ বিগ্রহ |
সহায়ক গ্রন্থাবলী :
১) হুগলি জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ ( ৩ য় খণ্ড ) : সুধীরকুমার মিত্র
২) হুগলি জেলার পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
১) হুগলি জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ ( ৩ য় খণ্ড ) : সুধীরকুমার মিত্র
২) হুগলি জেলার পুরাকীর্তি : নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
--------------------------------------------------------------
রামায়ণের ৭টি খণ্ডের ৬৪ টি উপাখ্যান ও ১৮৫ টি টেরাকোটা ফলকের আলোকচিত্র সংবলিত আমার লেখা এবং 'রা প্রকাশন' কর্তৃক প্রকাশিত বই 'বাংলার টেরাকোটা মন্দিরে রামায়ণ' প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি ডাক যোগে সংগ্রহ করতে হলে যোগাযোগ করুন : 9038130757 এই নম্বরে।
কলকাতার কলেজস্ট্রিটের মোড়ে দুই মোহিনীমোহন কাঞ্জিলালের কাপড়ের দোকানের মাঝের রাস্তা ১৫, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিটের উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর টাওয়ারের দু'তলায় 'রা প্রকাশনে'র দোকান। ওখান থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। কোনও অসুবিধা হলে উপরোক্ত নম্বরে ফোন করতে পারেন।
--------------------------------------------------------------